সূরা আল বাকারা [০০২] আরবি আয়াত এবং বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ সহ

সূরা আল বাকারা [০০২]
সূরা আল বাকারা [০০২]

সূরা আল বাকারা (سورة البقرة)

শ্রেণীমাদানী
নামের অর্থগাভী
অবতীর্ণ হওয়ার সময়হিজরতের পর মাদানী জীবনের শুরুর দিকে

পরিসংখ্যান

সূরার ক্রম
আয়াতের সংখ্যা২৮৬
পারার ক্রম১ (১-১৪১ আয়াত)
২ (১৪২-২৫২ আয়াত)
৩ (২৫৩-২৮৬ আয়াত)
রুকুর সংখ্যা৪০
সিজদাহ্‌র সংখ্যানেই
শব্দের সংখ্যা৬,২২১
অক্ষরের সংখ্যা২৫,‌৫০০
পূর্ববর্তী সূরা ←সূরা আল-ফাতিহা
পরবর্তী সূরা →সূরা আল-ইমরান

আরবি আয়াত এবং বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ

বাংলা অর্থবাংলা উচ্চারণআরবি আয়াত
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে।বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমبِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ‎‎
১. আলিফ লাম মীম।আলিফ লাম মীম।الم
২. এই সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নাই, এ সাবধানীদের জন্য পথ নির্দেশক।যা-লিকাল কিতা-বুলা-রাইবা ফীহি হুদাল লিলমুত্তাকীন।ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
৩. (সাবধানী ওরাই ) যারা অদৃশ্যে বিশ্বাষ করে,সালাত কায়েম করে এবং তাদের যা দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে।আল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিলগাইবি ওয়াইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুমইউনফিকূ ন।الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
. এবং যারা তাতে বিশ্বাষ করে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমার পুর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে,আর পরকালের প্রতি যারা দৃঢ় আস্থা রাখে।ওয়াল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিমাউনঝিলা ইলাইকা ওয়ামাদ উনঝিলা মিন কাবলিকা ওয়াবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনূন।والَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
৫. তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই পূর্ণ সফলকাম।উলাইকা ‘আলা-হুদাম মিররাব্বিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।أُوْلَـئِكَ عَلَى هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ وَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
৬. নিশ্চয় যারা কাফের, আপনি তাদের ভয় দেখান বা নাই দেখান উভয়ই সমান,তারা ঈমান আনবে না।ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ ছাওয়াউন‘আলাইহিম আআনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লাইউ’মিনূন।إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ
. আল্লাহ তাদের অন্তর ও কর্ণসমূহের উপর মহর মেরে দিয়েছেন ও তাদের চোখের উপর আবরণ রয়েছে আর তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ।খাতামাল্লা-হু ‘আলা- কুলূবিহিম ওয়া ‘আলা-ছাম‘ইহিমওয়া‘আলাদ আবসা-রিহিম গিশা-ওয়াতুও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম।خَتَمَ اللّهُ عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
৮. আর মানুষের মধ্যে এমন কতক লোক আছে যারা বলে আমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাষী অথচ তারা তারা বিশ্বাষী নয়।ওয়া মিনান্না-ছি মাইঁ ইয়াকূলু আ-মান্না- বিল্লা-হি ওয়া বিলইয়াওমিল আ-খিরি ওয়ামা-হুম বিমু’মিনীন।وَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللّهِ وَبِالْيَوْمِ الآخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ
. আল্লাহ ও মুমিনগণকে তারা ধোকা দিতে চায় কিন্ত তারা নিজেদেরকে নিজেরাই ধোকা দেয়,অথচ তারা তা বুঝতে পারে না।ইউখা-দি‘ঊনাল্লা-হা ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ ওয়ামা- ইয়াখদা‘ঊনা ইল্লাআনফুছাহুম ওয়ামাইয়াশ‘উরূন।يُخَادِعُونَ اللّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلاَّ أَنفُسَهُم وَمَا يَشْعُرُونَ
১০. তাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে,আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরো বৃদ্ধি করেছেন,আর তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি, কারন তারা মিথ্যাচারী।ফী কুলূবিহিম মারাদুন ফাঝা-দাহুমুল্লা-হু মারাদাওূঁ ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন আলীমুম বিমা- কা-নূ ইয়াকযিবূন।فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ اللّهُ مَرَضاً وَلَهُم عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ
১১. তাদের যখন বলা হয় পৃথীবিতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করোনা ,তখন তারা বলে আমরাইতো শান্তি স্থাপনকারী।ওয়া ইযা- কীলা লাহুম লা-তুফছিদূফিল আরদিকা-লইন্নামা- নাহনুমুসলিহূন।وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لاَ تُفْسِدُواْ فِي الأَرْضِ قَالُواْ إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ
১২. সাবধান এরাই ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী কিন্ত তারা বুঝতে পারে না।আলাইন্নাহুম হুমুল মুফছিদূনা ওয়ালা- কিল্লা- ইয়াশ‘উরূন।أَلا إِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُونَ وَلَـكِن لاَّ يَشْعُرُونَ
১৩. যখন তাদের বলা হয় অপরাপর লোকদের মত তোমরাও ঈমান আনো,তখন তারা বলে আমরা কি ঈমান আনব নির্বোধ বিশ্বাষীদের মত ? সাবধান!তারাই নির্বোধ কিন্ত তারা তা বুঝতে পারে না।ওয়া ইযা-কীলা লাহুম আ-মিনূকামাআ-মানান্না-ছুকা-লআনু’মিনু কামাআমানাছছুফাহাউ ‘আলাইন্নাহুম হুমুছছুফাহাউ ওয়ালা-কিল্লা-ইয়া‘লামূন।وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُواْ كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُواْ أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاء أَلا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاء وَلَـكِن لاَّ يَعْلَمُونَ
১৪. তারা মুমিনদের কাছে বলে আসলে আমরা ঈমান এনেছি আর নিভৃতে শয়তানের সাথে মিলিত হলে বলে আমরা তোমাদের সাথেই আছি বস্তুত আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্রা করি।ওয়াইযা- লাকুল্লাযীনা আ-মানূকা-লআ-মান্না-ওয়াইযা- খালাও ইলা-শাইয়াতীনিহিম কা-লূইন্না- মা‘আকুম ইন্নামা নাহনুমুছতাহঝিউন।وَإِذَا لَقُواْ الَّذِينَ آمَنُواْ قَالُواْ آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْاْ إِلَى شَيَاطِينِهِمْ قَالُواْ إِنَّا مَعَكْمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ
১৫. আল্লাহ তাদের সাথে পরিহাস করেন আর তাদেরকে অবাধ্যতায় তাদের বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াবার সুযোগ দেন।আল্লা-হু ইয়াছতাহঝিউ বিহিম ওয়া ইয়ামুদ্দুহুম ফী তুগইয়া-নিহিম ইয়া‘মাহূন।اللّهُ يَسْتَهْزِئُ بِهِمْ وَيَمُدُّهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ
১৬. ওরাই হেদায়েতের বদলে গোমরাহী কিনেছে ! সুতরাং তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়নি, তারা সৎ পথেও নেই।উলাইকাল্লাযীনাশ তারাউদ্দালা-লাতা বিলহুদা-ফামা-রাবিহাত্তিজা-রাতুহুম ওয়ামা কা-নূমুহতাদীন।أُوْلَـئِكَ الَّذِينَ اشْتَرُوُاْ الضَّلاَلَةَ بِالْهُدَى فَمَا رَبِحَت تِّجَارَتُهُمْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ
১৭. তাদের দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আলো জ্বালালো,উহা যকন তার চারিদিকে আলোকিত করল আল্লাহ তখন স্বীয় আলো উঠিয়ে নিলেন এবং তাদের ঘোর অন্ধকারে ফেলে দিলেন। তারা কিছুই দেখতে পায়না ।মাছালুহুম কামাছালিল্লাযীছতাওকাদা না-রান ফালাম্মাআদাআত মা-হাওলাহূ যাহাবাল্লা-হু বিনূরিহিম ওয়া তারাকাহুম ফী জুলুমা-তিল লা-ইউবসিরূন।مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَاراً فَلَمَّا أَضَاءتْ مَا حَوْلَهُ ذَهَبَ اللّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لاَّ يُبْصِرُونَ
১৮. তারা বধির,বোবা,অন্ধ সতরাং তারা ফিরবে না।সুম্মুম বুকমুন ‘উমইয়ুন ফাহুম লা-ইয়ারজি‘ঊন।صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَرْجِعُونَ
১৯. অথবা যেমন আকাশের মুষলধারা বৃষ্টি,যাতে রয়েছে ঘোর অন্ধকার,বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুতচমক, বজ্রধ্বনিতে তারা মৃত্যু ভয়ে তাদেরকর্ণকুহরে আংগুল গুজে দেয়আর আল্লাহ কাফিরদের পরিবেষ্টন করে রেখেছেন।আও কাসাইয়িবিম মিনাছছামাই ফীহি জুলুমা-তুওঁ ওয়া রা‘দুওঁ ওয়া বারকুইঁ ইয়াজ‘আলূনা আসা-বি‘আহুম ফীআ-যা-নিহিম মিনাসসাওয়া-‘ইকিহাযারাল মাওতি ওয়াল্লা-হু মুহীতূম বিলকা-ফিরীন।أَوْ كَصَيِّبٍ مِّنَ السَّمَاء فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصْابِعَهُمْ فِي آذَانِهِم مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ واللّهُ مُحِيطٌ بِالْكافِرِينَ
২০. বিদ্যুতচমক তাদের দৃষ্টিকে কেড়ে নেওয়ার উপক্রম করে; বিদ্যুত চমকালে তারা পথ চলতে থাকে, আর যখন অন্ধকার হয় তখন তারা থমকে দাড়ায়, আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদের শ্রবনিও দৃষ্টিশক্তি হরন করতে পারতেন। আল্লাহ নিশ্চয় সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।ইয়াকা-দুল বারকুইয়াখতাফুআবসা-রাহুম কুল্লামাআদাআ লাহুম মাশাও ফীহি ওয়া ইযাআজলামা ‘আলাইহিম কা-মূ ওয়ালাও শাআল্লা-হু লাযাহাবা বিছাম‘ইহিম ওয়া আবসা-রিহিম ; ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ كُلَّمَا أَضَاء لَهُم مَّشَوْاْ فِيهِ وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُواْ وَلَوْ شَاء اللّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ إِنَّ اللَّه عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
২১. হে মানুষ স্বীয় প্রতিপালকের উপাসনা কর; যিনি তোমাদের তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে সৃষ্টি করেছেন;সম্ভবতঃ তোমরা মুত্তকী হতে পার।ইয়া আয়্যু হান নাসু’বুদু রাব্বাকুমুল্লযী খালাক্বাকুম ওয়াল্লযীনা মিন ক্বালিকুম লা’আল্লাকুম তাত্তাকুন।يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُواْ رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
২২. যিনি পৃথীবিকে তোমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে ছাদ স্বরুপ করেছেন এবং আকাশ থেকে বারি বর্ষন করেও তদ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফল-মুল উৎপাদন করেন, সুতরাং জেনে শুনে কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ দাড় করোনা।আল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা ফিরা-শাওঁ ওয়াছছামাআ বিনাআওঁ ওয়া আনঝালা মিনাছছামাই মাআন ফাআখরাজা বিহী মিনাছছামারা-তি রিঝকাল্লাকুম ফালা-তাজ‘আলূলিল্লা-হি আনদা-দাওঁ ওয়া আনতুম তা‘লামূন।الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الأَرْضَ فِرَاشاً وَالسَّمَاء بِنَاء وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقاً لَّكُمْ فَلاَ تَجْعَلُواْ لِلّهِ أَندَاداً وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
২৩. আমার বান্দার (মোহাম্মদ সাঃ) উপর অবতীর্ণ বিষয়ে তোমাদের যদি কোন সন্দেহ থাকে তবে উহার অনুরুপ কোন সুরা আনয়ন কর এবং আল্লাহ ব্যতিত তোমাদের স্বাক্ষীদেরকে আহবান কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও।ওয়া ইন কুনতুম ফী রাইবিম মিম্মা-নাঝঝালনা- ‘আলা-আবদিনা- ফা’তূবিছূরাতিম মিম্মিছলিহী ওয়াদ‘ঊ শুহাদাআকুম মিন দূ নিল্লা-হি ইন কুনতুম সা-দিকীন।وَإِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّمَّا نَزَّلْنَا عَلَى عَبْدِنَا فَأْتُواْ بِسُورَةٍ مِّن مِّثْلِهِ وَادْعُواْ شُهَدَاءكُم مِّن دُونِ اللّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
২৪. যদি তোমরা তা না করতে পার এবং কখনই করতে পারবে না তবে সেই আগুনকে ভয় কর,মানুষও পাথর হবে যার ইন্দন, যা কাফিরদের জন্য প্রস্তত রয়েছে।ফাইল্লাম তাফ‘আলূওয়া লান তাফ‘আলূফাত্তাকুন্না-রাল্লাতী ওয়াকূদুহান্না-ছুওয়াল হিজা-রাতু উ‘ইদ্দাত লিলকা-ফিরীন।فَإِن لَّمْ تَفْعَلُواْ وَلَن تَفْعَلُواْ فَاتَّقُواْ النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ
২৫. সুসংবাদ দাও যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে নিশ্চয় তাদের জন্য সেই জান্নাত যার পাদশে দিয়ে নদী সমূহ প্রবাহিত । যখনই তাদের ফল-মুল খেতে দেয়া হবে তখনই তারা বলবে এটা আমাদেরকে পুর্বে জীবিকারুপে দেয়া হত,অনুরুপ তাদের ইচ্ছানুরুপ ফলই দেয়া হবে এবং তথায় তাদের জন্য পবিত্র রমণী রয়েছে অধিকন্তু তথায় তারা স্থায়ী হবে।ওয়া বাশশিরিল্লাযীনা আ-মানূওয়া‘আমিলুসসালিহা-তি আন্না লাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু কুল্লামা- রুঝিকূমিনহা- মিন ছামারাতির রিঝকান কা-লূহা-যাল্লাযী রুঝিকনা- মিন কাবলু ওয়া উতূবিহী মুতাশা-বিহাওঁ ওয়া লাহুম ফীহাআঝওয়া-জুম মুতাহহারাতুওঁ ওয়া হুম ফীহা- খা-লিদূ ন।وَبَشِّرِ الَّذِين آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ كُلَّمَا رُزِقُواْ مِنْهَا مِن ثَمَرَةٍ رِّزْقاً قَالُواْ هَـذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِن قَبْلُ وَأُتُواْ بِهِ مُتَشَابِهاً وَلَهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ وَهُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
২৬. আল্লাহ মশা বা তদঅপেক্ষা ক্ষুদ্র বস্তুর উপমা দিতে সংকোচ বোধ করেন না।সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা যানে এ সত্য উদাহরন তাদের রবের কাছ থেকে এসেছে,কিন্ত কাফিররা বলে আল্লাহ কি অভিপ্রায়ে এমন উদাহরন দিয়েছেন ? এর দ্বারা অনেককেই তিনি বিভ্রান্ত করেন। আবার বহু লোককে হেদায়েত দান করেন। বস্তত ফাসিক ব্যতিত কাউকে তিনি বিভ্রান্ত করেন না।ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াছতাহঈআইঁ ইয়াদরিবা মাছালাম্মা- বা‘ঊদাতান ফামা- ফাওকাহা- ফাআম্মাল্লাযীনা আ-মানূফাইয়া‘লামূনা আন্নাহুল হাক্কুমিররাব্বিহিম ওয়া আম্মাল্লাযীনা কাফারূ ফাইয়াকূলূনা মা-যাআরা-দাল্লা-হু বিহা-যা- মাছালা- । ইউদিল্লুবিহী কাছীরাওঁ ওয়াহদী বিহী কাছীরাওঁ ওয়ামা- ইউদিল্লুবিহীইল্লাল ফা-ছিকীন।إِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحْيِي أَن يَضْرِبَ مَثَلاً مَّا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُواْ فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُواْ فَيَقُولُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَـذَا مَثَلاً يُضِلُّ بِهِ كَثِيراً وَيَهْدِي بِهِ كَثِيراً وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلاَّ الْفَاسِقِينَ
২৭. যারা আল্লাহর সাথে দৃঢ় প্রদিশ্রুতি করার পর তা ভংগ করে এবং যে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে । আর দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায় তারাই ক্ষতিগ্রস্থ।আল্লাযীনা ইয়ানকুদূ না ‘আহদাল্লা-হি মিম বা‘দি মীছা-কিহী ওয়া ইয়াকতা‘ঊনা মা আমারাল্লাহু বিহীআইঁ ইউসালা ওয়া ইউফছিদূ না ফিল আরদিউলাইকা হুমুল খাছিরূন।الَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهْدَ اللَّهِ مِن بَعْدِ مِيثَاقِهِ وَيَقْطَعُونَ مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ أَن يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِي الأَرْضِ أُولَـئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ
২৮. কিরুপে আল্লাহকে তোমরা অস্বীকার কর? অথচ তোমরাই ছিলে মৃত তিনি তোমাদের প্রাণ দিয়েছেন আবার তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন এবং পুনরায় জীবন্ত করবেন । তোমাদের তাঁর দিকেই ফিরতে হবে।কাইফা তাকফুরূনা বিল্লা-হি ওয়া কুনতুম আমওয়া-তান ফাআহইয়া-কুম ছু ম্মা ইউমীতুকুম, ছু ম্মা ইউহঈকুম ছুম্মা ইলাইহি তুরজা‘ঊন।كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنتُمْ أَمْوَاتاً فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
২৯. তিনি পৃথীবির সব কিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন । তারপরে আকাশের দিকে দৃষ্টি করেন এবং উহাকে (আকাশকে) সাত আসমান রুপে বিন্যস্ত করেন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে মহা জ্ঞানী।হুওয়াল্লাযী খালাকালাকুম মা-ফিল আরদিজামী‘আন ছু ম্মাছ তাওয়াইলাছছামাই ফাছাওওয়া-হুন্না ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিওঁ ওয়া হুওয়া বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
৩০. আর (স্মরন কর) যখন আপনার প্রভু ফেলেশতাদের বললেন,আমি পৃথীবিতে খলিফা সৃষ্টি করেছি , তারা বলল আপনি কি তথায় এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যারা অশান্তি ঘটাবে এবং রক্তপাত করবে ? অথচ আমরাইতো আপনার প্রসংশাসহ তাসবিহ ও পবিত্রতা ঘোষনা করি,তিনি বলেন নিশ্চয় আমি যা যানি তোমরা তা জাননাওয়া ইযকা-লা রাব্বুকা লিলমালইকাতি ইন্নী জা-‘ইলুন ফিল আরদিখালীফাতান কালূআতাজ‘আলুফীহা- মাইঁ ইউফছিদুফীহা- ওয়া ইয়াছফিকু দ দিমাআ ওয়ানাহনু নুছাব্বিহুবিহামদিকা ওয়া নুকাদ্দিছুলাকা কা-লা ইন্নী আ‘লামুমা-লা- তা‘লামূন।وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً ۖ قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَن يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ ۖ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ
৩১. এবং তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন,তারপর সে সকল ফেলেমতাদের সামনে পেশ করলেন এবং বললেন ,তোমরা এ সমুদয়ের নাম আমাকে বলে দাও যদি তোমরা সত্যবাদী হও ।ওয়া‘আল্লামা আ-দামাল আছমাআ কুল্লাহা- ছু ম্মা ‘আরাদাহুম ‘আলাল মালাইকাতি ফাকা-লা আম্বিঊনী বিআছমাই হাউলাই ইন কুনতুম সা-দিকীন।وَعَلَّمَ آدَمَ الأَسْمَاء كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ فَقَالَ أَنبِئُونِي بِأَسْمَاء هَـؤُلاء إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
৩২. তারা বলল আপনি মহান পবিত্রময় আমাদেরতো কোন জ্ঞান নেই যা আপনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন তাছাড়া নিশ্চয় আপনি মহা জ্ঞানী মহা বিজ্ঞ।কা-লূছুবহা-নাকা লা- ‘ইলমা লানা ইল্লা-মা ‘আল্লামতানা-ইন্নাকা আনতাল ‘আলীমুল হাকীম।قَالُواْ سُبْحَانَكَ لاَ عِلْمَ لَنَا إِلاَّ مَا عَلَّمْتَنَا إِنَّكَ أَنتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ
৩৩. তিনি বললেন হে আদম ওদের (ফেরেশতাদের) এদের ( এ সকলের) নাম বলে দাও । যখন সে তাদেরকে নাম সমূহ বলে দিল , তিনি বললেন আমি কি বলিনি যে সমগ্র আসমান যামিনের অদৃশ্য বস্তু সম্মন্ধে আমি অবহিত এবং তোমরা যা ব্যক্ত কর বা গোপন রাখ নিশ্চিতভাবে আমি তাও জানি ?কা-লা ইয়াআ-দামূআম্বি’হুম বিআছমাইহিম ফালাম্মাআম্বাআহুম বিআছমাইহিম কা-লা আলাম আকুল্লাকুম ইন্নী আ‘লামুগাইবাছছামা-ওয়া-তি ওয়ল আরদি, ওয়া আ‘লামুমা- তুবদূ না ওয়ামা- কুনতুম তাকতুমূন।قَالَ يَا آدَمُ أَنبِئْهُم بِأَسْمَآئِهِمْ فَلَمَّا أَنبَأَهُمْ بِأَسْمَآئِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ
৩৪. যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম.আদমকে সেজদা কর;তখন ইবলিস ব্যতিত সবাই সিজদা করল,সে অমান্য করল ওগর্ব করল। সুতরাং সে কাফির হল।ওয়া ইযকুলনা- লিলমালাইকাতিছজু দূলিআ-দামা ফাছাজাদূ ইল্লা ইবলীছা আবা-ওয়াছতাকবারা ওয়া কা-না মিনাল কা-ফিরীন।وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلاَئِكَةِ اسْجُدُواْ لآدَمَ فَسَجَدُواْ إِلاَّ إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
৩৫. আমি বললাম হে আদম তুমি ও তোমার সহধর্মিণী জান্নাতে বসবাস কর এবং তথায় যা খুশি খেতে থাক। কিন্ত এ বৃক্ষের নিকটবর্তী হয়ো না। হলে তোমরা জালিমদের অর্ন্তভুক্ত হবেওয়াকু লনা-ইয়া আ-দামুছকুন আনতা ওয়াঝাওজুকাল জান্নাতা ওয়াকুলা-মিনহা-রাগাদান হাইছুশি’তুমা- ওয়ালা-তাকরাবা- হা-যিহিশশাজারাতা ফাতাকূনা- মিনাজ্জা-লিমীন।وَقُلْنَا يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ وَكُلاَ مِنْهَا رَغَداً حَيْثُ شِئْتُمَا وَلاَ تَقْرَبَا هَـذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الْظَّالِمِينَ
৩৬. কিন্ত শয়তান তাদেরকে উহা হইতে পদ্স্খলন ঘটাল এবং তারা যেখানে ছিল সেখান হতে বহিস্কার করল। আমি বললাম নেমে যাও তোমরা একে অপরের শক্ররুপে এবং পৃথীবিতে কিছুকালের জন্য তোমাদের বসবাস ও জীবিকা রইল।ফাআঝাল্লাহুমাশশাইতা-নু‘আনহা- ফাআখরাজাহুমা- মিম্মা-কা-না ফীহি ওয়া কুলনাহ বিতূবা‘দুকুম লিবা‘দিন ‘আদুওউওঁ ওয়া লাকুম ফিল আরদিমুছতাকাররুওঁ ওয়ামাতা-‘উন ইলা-হীন ।
فَأَزَلَّهُمَا الشَّيْطَانُ عَنْهَا فَأَخْرَجَهُمَا مِمَّا كَانَا فِيهِ وَقُلْنَا اهْبِطُواْ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ
৩৭. অতঃপর আদম তার প্রভুর থেকে কিছু বাণী প্রাপ্ত হল। আল্লাহ তার তওবা কবুল করলেন। নিশ্চয় তিসি ক্ষমাশীল ও দয়ালুফাতালাক্কা আ-দামুমির রাব্বিহী কালিমা-তিন ফাতা-বা ‘আলাইহি ইন্নাহূ হুওয়াত্তাওওয়া-বুর রাহীম।
فَتَلَقَّى آدَمُ مِن رَّبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
৩৮. আমি বললাম তোমরা এ স্থান থেকে নেমে যাও। পরে যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট কোন হেদায়েত আসবে তখন যারা আমার হেদায়েত মত চলবে তাদের কোন ভয় নেই ও তারা দুঃখিত হবে না।কুলনাহ বিতূমিনহা-জামী‘আন ফাইম্মা- ইয়া’তিইয়ান্নাকুম মিন্নী হুদান ফামান তাবি‘আ হুদা-ইয়া ফালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানূন।
قُلْنَا اهْبِطُواْ مِنْهَا جَمِيعاً فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
৩৯. যারা কুফরী করে ও আমার নিদর্শন সমূহকে অস্বীকার করে তারাই অগ্নীবাসি। তথায় তারা স্থায়ী হবে।ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়াকাযযাবূবিআ-য়া-তিনাউলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।وَالَّذِينَ كَفَرواْ وَكَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا أُولَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
৪০. হে বণী ইসরাঈল! আমার সে অনুগ্রহ স্মরন কর যদ্দারা আমি তোমাদেরকে অনুগৃহিত করেছি ওবং আমার সংগে তোমাদের অংগিকার পুর্ন কর। আমিও তোমাদের সংগে আমার অংগীকার পুর্ন করব আর আমাকেই ভয় কর।ইয়া-বানী ইছরাঈলাযকুরূনি‘মাতিয়াল্লাতী আন‘আমতু‘আলাইকুম ওয়াআওফূ বি‘আহদি ঊফি বি‘আহদিকুম ওয়াইয়্যা-ইয়া ফারহাবূন।
يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُواْ نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَوْفُواْ بِعَهْدِي أُوفِ بِعَهْدِكُمْ وَإِيَّايَ فَارْهَبُونِ
৪১. তোমাদের কাছে যা আছে তার সমর্থনে যা নাজিল করেছি তার প্রতি ঈমান আনো,তোমরা অগ্র কাফের হয়ো না। আর আমার আয়াতের বদলে কম মুল্য গ্রহন কর না এবং তোমরা শুধু আমাকেই ভয় কর।ওয়াআ-মিনূবিমা আনঝালতুমুসাদ্দিকালিল মা- মা‘আকুম ওয়ালা-তাকূনূ আওওয়ালা কা-ফিরিম বিহী ওয়ালা-তাশতারূবিআ-য়া-তী ছামানান কালীলাওঁ ওয়াইয়্যা-ইয়া ফাত্তাকূন।
وَآمِنُواْ بِمَا أَنزَلْتُ مُصَدِّقاً لِّمَا مَعَكُمْ وَلاَ تَكُونُواْ أَوَّلَ كَافِرٍ بِهِ وَلاَ تَشْتَرُواْ بِآيَاتِي ثَمَناً قَلِيلاً وَإِيَّايَ فَاتَّقُونِ
৪২. তোমরা সথ্যকে মিথ্যার সাথে সংমিশ্রন কর না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন কর না।ওয়ালা-তালবিছুল হাক্কা বিলবা-তিলি ওয়া তাকতুমুল হাক্কা ওয়া আনতুম তা‘লামূন।
وَلاَ تَلْبِسُواْ الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُواْ الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
৪৩. তোমরা যথাযথ ভাবে নামাজ কায়েম কর ও যাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।ওয়া আকীমুস সালা-তা ওয়া আ-তুঝঝাকা-তা ওয়ারকা‘ঊ মা‘আর রা-কি‘ঈন।وَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ وَآتُواْ الزَّكَاةَ وَارْكَعُواْ مَعَ الرَّاكِعِينَ
৪৪. বি আশ্চর্য! তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ কর আর নিজেদেরকে ভুলে যাও; অথচ তোমরা কিতাব পড় ! তবে কি তোমরা বুঝ না !আতা’মুরূনান্না-ছা বিলবিরবিওয়া তানছাওনা আনফুছাকুম ওয়া আনতুম তাতলূনাল কিতা-বা আফালা-তা‘কিলূন।
أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنسَوْنَ أَنفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلاَ تَعْقِلُونَ
৪৫. তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর এবং নিশ্চয় উহা কঠিন কাজ বিনীতগণ ব্যতিত।ওয়াছতা‘ঈনূ বিসসাবরি ওয়াসসালা-তি ওয়া ইন্নাহা-লাকাবীরাতুন ইল্লা-‘আলাল খা-শি‘ঈন।
وَاسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلاَّ عَلَى الْخَاشِعِينَ
৪৬. (তারাই বিনীত) যারা ধারনা রাখে যে তাদের রবের সাথে তাদের নিশ্চিত সাক্ষাত ঘটবে এবং তারই দিকে তারা ফিরবে ।আল্লাযীনা ইয়াজুন্নূনা আন্নাহুম মুলা-কূরাব্বিহিম ওয়াআন্নাহুম ইলাইহি রা-জি‘উন।
الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلاَقُوا رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
৪৭. হে বনী ইসরাঈলগণ আমার সে অনুগ্রহ স্মরন কর যদ্বদ্বরা আমি তোমাদেরকে অনুগ্রহ করেছি আর বিশ্বে সবার উপরে তোমাদের শ্রেষ্টত্ব দিয়েছি ।ইয়া-বানী ইছরাূঈলাযকুর নি‘মাতিইয়াল্লাতী আন‘আমতু ‘আলাইকুম ওয়াআন্নী ফাদ্দালতুকুম ‘আলাল ‘আ-লামীন।
يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُواْ نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ
৪৮. তোমরা সেদিনকে ভয় কর যেদিন কেউ কারো কোন কাজে আসবে না এবং কারো কোন সুপারিশ স্বীকৃত হবে না এবং কারো কাছ থেকে ক্ষতিপুরন গৃহিত হবে না এবং তারা কোন প্রকার সাহায্য পাবে না।ওয়াত্তাকূইয়াওমাল্লা-তাজঝী নাফুছুন ‘আন নাফছিন শাইআওঁ ওয়ালা-ইউকবালু মিনহা-শাফা‘আতুওঁ ওয়ালা-ইউ’খাযুমিনহা-‘আদলুওঁ ওয়ালা-হুম ইউনসারূন।وَاتَّقُواْ يَوْماً لاَّ تَجْزِي نَفْسٌ عَن نَّفْسٍ شَيْئاً وَلاَ يُقْبَلُ مِنْهَا شَفَاعَةٌ وَلاَ يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلاَ هُمْ يُنصَرُونَ
৪৯. স্মরন কর আমি যখন ফেরআউনের সম্প্রদায় থেকে তোমাদের নাজাত দিয়েছিলাম যারা তোমাদের পুত্রগণকে হত্যা করে ও তোমাদের কন্যাগণকে জীবিত রেখে তোমাদের যন্ত্রনা দিত এবং ওতে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এক মহাপরিক্ষা ছিল।ওয়া ইযনাজ্জাইনা-কুম মিন আ-লি ফির‘আওনা ইয়াছুমূনাকুম ছূআল ‘আযা-বি ইউযাব্বিহুনা আবনাআকুম ওয়াইয়াছতাহইউনা নিছাআকুম ওয়া ফী যা-লিকুম বালাউম মিররাব্বিকুম ‘আজীম।
وَإِذْ نَجَّيْنَاكُم مِّنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوَءَ الْعَذَابِ يُذَبِّحُونَ أَبْنَاءكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَاءكُمْ وَفِي ذَلِكُم بَلاء مِّن رَّبِّكُمْ عَظِيمٌ
৫০. যখন তোমাদের জন্য সমুদ্রকে বিভক্ত করেছিলাম এবং তোমাদের নাজাত দিয়েছিলাম ও ফেরআউন সম্প্রদায়কে নিমজ্জিত করেছিলাম আর উহা প্রত্যক্ষ করেছিলে।ওয়া ইযফারাকনা-বিকুমুল বাহরা ফাআনজাইনা-কুমওয়াআগরাকনাআ-লা ফির ‘আওনা ওয়া আনতুম তানজুরূন।
وَإِذْ فَرَقْنَا بِكُمُ الْبَحْرَ فَأَنجَيْنَاكُمْ وَأَغْرَقْنَا آلَ فِرْعَوْنَ وَأَنتُمْ تَنظُرُونَ
৫১. যখন মুসার জন্য চল্লিশ রাত্রি নির্ধারিত করেছিলাম তার প্রস্থানের পর তোমরা গো-ছানাকে উপাস্যরুপে গ্রহন করেছিলে এতে তোমরা অনাচার করেছিলে।ওয়াইয ওয়া- ‘আদনা-মূছা আরবা‘ঈনা লাইলাতান ছুম্মাত তাখাযতুমুল ‘ইজলা মিম বা‘দিহী ওয়া আনতুমজা-লিমূন।
وَإِذْ وَاعَدْنَا مُوسَى أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ اتَّخَذْتُمُ الْعِجْلَ مِن بَعْدِهِ وَأَنتُمْ ظَالِمُونَ
৫২. এরপরও আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।ছু ম্মা ‘আফাওনা- ‘আনকুম মিম বা‘দি যা-লিকা লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
ثُمَّ عَفَوْنَا عَنكُمِ مِّن بَعْدِ ذَلِكَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
৫৩. আর যখন আমি মুসাকে কিতাব ও ফুরক্বান দান করেছিলাম যাতে তোমরা হেদায়েত পেতে পার।ওয়া ইযআ-তাইনা- মূছাল কিতা-বা ওয়াল ফুরকা-না লা‘আল্লাকুম তাহতাদূন।وَإِذْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَالْفُرْقَانَ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
৫৪. আর যখন মুসা স্বগোত্রকে বললেন হে আমার জাতি গো বৎসকে উপাস্যরুপে গ্রহন করে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছ ,সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রভুর পানে ফিরে যাও এবং তোমরা নিজেদেরকে সংযত কর,প্রভুর নিকট তোমাদের ইহাই শ্রেয় তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরবশ হবেন,তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।ওয়া ইযকা-লা মূছা- লিকাওমিহী ইয়া-কাওমি ইন্নাকুম জালামতুম আনফুছাকুম বিত্তিখা-যিকুমুল ‘ইজলা ফাতূবূ ইলা-বা-রিইকুম ফাকতুলূআনফুছাকুম যা-লিকুম খাইরুল্লাকুম ‘ইনদা বা-রিইকুম ফাতা-বা ‘আলাইকুম ইন্নাহূ হুওয়াত্তাওওয়া-বুররাহীম।
وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ إِنَّكُمْ ظَلَمْتُمْ أَنفُسَكُمْ بِاتِّخَاذِكُمُ الْعِجْلَ فَتُوبُواْ إِلَى بَارِئِكُمْ فَاقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ عِندَ بَارِئِكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
৫৫. আর যখন তোমরা বলেছিলে হে মুসা আমরা আল্লাহকে স্বচোখে না দেখা পর্যন্ত তোমাকে বিশ্বাষ করব না ,যখন তোমরা ব্রজাহত হয়েছিলে তখন তা নিজেরাই দেখেছিলে।ওয়া ইয কুলতুমইয়া-মূছা- লান নু’মিনা লাকা হাত্তা- নারাল্লা-হা জাহরাতান ফা-আখাযাতকুমুসসা-‘ইকাতুওয়া আনতুম তানজুরূন।
وَإِذْ قُلْتُمْ يَا مُوسَى لَن نُّؤْمِنَ لَكَ حَتَّى نَرَى اللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْكُمُ الصَّاعِقَةُ وَأَنتُمْ تَنظُرُونَ
৫৬. মৃত্যুর পর তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করলাম,যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।ছু ম্মা বা‘আছনা-কুম মিম বা‘দি মাওতিকুম লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
ثُمَّ بَعَثْنَاكُم مِّن بَعْدِ مَوْتِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
৫৭. আমি মেঘ দ্বারা তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করলাম, তোমাদের নিকট মান্না ও সালওয়া প্রেরন করলাম আর (বলেছিলাম) আহার কর যে উত্তম রিযিক তোমাদের দিলাম তা থেকে, তারা (নির্দেশ না মেনে)
আমার প্রতি কোন জুলুম করেনি বরং নিজেদের প্রতিউ তারা জুলুম করেছিল।
ওয়াজাল্লালনা-‘আলাইকুমুল গামা-মা ওয়া আনঝালনা-‘আলাইকুমুল মান্না ওয়াছছালওয়া- কুলূমিন তাইয়িবা-তি মা-রাঝাকনা-কুম ওয়ামা-জালামূনা- ওয়ালা-কিন কানূআনফুছাহুম ইয়াজলিমূন।وَظَلَّلْنَا عَلَيْكُمُ الْغَمَامَ وَأَنزَلْنَا عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى كُلُواْ مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَمَا ظَلَمُونَا وَلَـكِن كَانُواْ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ
৫৮. (স্মরন কর)যখন আমি বললাম, এ জনপদে (শহরে) প্রবেশ কর যা খুশি স্বাচ্ছন্দে আহার কর ও নতশিরে দ্বার দিয়ে প্রবেশ কর।আর বল ক্ষমা চাই,আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করব এবং সৎকর্মশীলদের প্রতি আমি দান বাড়াবোওয়াইযকুলনাদখুলূ হা-যিহিল কারইয়াতা ফাকুলূমিনহা-হাইছুশি’তুম রাগাদাওঁ ওয়াদখুলূল বা-বা ছুজ্জাদাওঁ ওয়া কূলূহিত্তাতুন্নাগফিরলাকুম খাতা-ইয়া-কুম ওয়া ছানাঝীদুল মুহছিনীন।
وَإِذْ قُلْنَا ادْخُلُواْ هَـذِهِ الْقَرْيَةَ فَكُلُواْ مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ رَغَداً وَادْخُلُواْ الْبَابَ سُجَّداً وَقُولُواْ حِطَّةٌ نَّغْفِرْ لَكُمْ خَطَايَاكُمْ وَسَنَزِيدُ الْمُحْسِنِينَ
৫৯. কিন্ত যারা অন্যায় করেছিল তাদেরকে যা বলা হয়েছিল তার বিপরীত কথা বলল সুতরাং অত্যাচারীদের প্রতি আমি আকাশ থেকে শাস্তি নাযিল করলাম কারন তারা সত্য ত্যাগ করেছিলফাবাদ্দালাল্লাযীনা জালামূ কাওলান গাইরাল্লাযীকীলা লাহুম ফাআনঝালনা- ‘আলাল্লাযীনা জালামূ রিজঝাম্মিনাছছামাই বিমা- কা-নূইয়াফছুকূন।
فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُواْ قَوْلاً غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ فَأَنزَلْنَا عَلَى الَّذِينَ ظَلَمُواْ رِجْزاً مِّنَ السَّمَاء بِمَا كَانُواْ يَفْسُقُونَ
৬০. আর (স্মরন কর) যখন মুসা স্বগোত্রের জন্য পানি প্রার্থনা করলেন পর বললাম তোমার লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত কর’পরে তা থেকে ১২টি প্রসবন প্রবাহিত হল প্রত্যেক গোত্র স্বীয় পান করার স্থান (ঘাট) চিনে নিল। (বললাম) আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক থেকে তোমরা পানাহার কর এবং জমিনে অর্নথক কলহ সৃষ্টি (শান্তি ভংগ)করোনাওয়া ইযিছতাছকা-মূছা- লিকাওমিহী ফাকুলনাদরিব্বি‘আসা-কাল হাজারা ফানফাজারাত মিনহুছনাতা- ‘আশরাতা ‘আইনান কাদ ‘আলিমা কুল্লুউনা-ছিম মাশরাবাহুম কুলূওয়াশরাবূমির রিঝকিল্লা-হি ওয়ালা-তা‘ছাও ফিল আরদিমুফছিদীন।وَإِذِ اسْتَسْقَى مُوسَى لِقَوْمِهِ فَقُلْنَا اضْرِب بِّعَصَاكَ الْحَجَرَ فَانفَجَرَتْ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْناً قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٍ مَّشْرَبَهُمْ كُلُواْ وَاشْرَبُواْ مِن رِّزْقِ اللَّهِ وَلاَ تَعْثَوْاْ فِي الأَرْضِ مُفْسِدِينَ
৬১. আর যখন তোমরা বলেছিলে হে মুসা একই রকম খাদ্যে কখনও আমরা সবর করব না সুতরাং তুমি স্বীয় রবের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা কর তিনি যেন ভূমিজাত দ্রব্য শাক-সব্জী কাঁকুড় গম মসুর পেঁয়াজ উৎপাদন করেন ,মুসা বললেন তোমরা কি উত্তম বস্তুকে নিকৃষ্টতর বস্তুর সাথে বদল করতে চাও ? তবে কোন নগরে অবতরন কর.তোমরা যা চাও তা তথায় আছে ,আর তাদের উপর লান্ছনা ও দারিদ্রতা আপতিত হল এবং তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হল,এ জন্য যে তারা আল্লাহর আয়াতকে অমান্য করত এবং নবীগণকে প্রেরীত পুরুষদের অন্যায়ভাবে হত্যা করত,কেননা অবাধ্যতা ও সীমা লংন্ঘন করার জন্য তাদের এই পরিণতি হয়েছিল।ওয়া ইযকুলতুম ইয়া-মূছা-লান নাসবিরা ‘আলা- তা‘আ-মিওঁ ওয়া-হিদিন ফাদ‘উলানারাব্বাকা ইউখরিজলানা- মিম্মা-তুমবিতুল আরদুমিম বাকলিহা- ওয়াকিছছাইহা-ওয়াফূমিহা- ওয়া‘আদাছিহা-ওয়া বাসালিহা-; কা-লা আতাছতাবদিলূনাল্লাযী হুওয়া আদনাবিল্লাযী হুওয়া খাইরুন ইহবিতূমিসরান ফাইন্না লাকুম মা- ছাআলতুম ওয়া দুরিবাত ‘আলাইহিমুযযিল্লাতু ওয়ালমাছকানাতু ওয়াবাউ বিগাদাবিম মিনাল্লা-হি যা-লিকা বিআন্নাহুম কা-নূইয়াকফুরূনা বিআ-য়া-তিল্লা-হি ওয়া ইয়াকতুলূনান্নাবিইঈনা বিগাইরিল হাক্কিযা-লিকা বিমা-‘আসাও ওয়া কা-নূইয়া‘তাদূ ন।
وَإِذْ قُلْتُمْ يَا مُوسَى لَن نَّصْبِرَ عَلَىَ طَعَامٍ وَاحِدٍ فَادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُخْرِجْ لَنَا مِمَّا تُنبِتُ الأَرْضُ مِن بَقْلِهَا وَقِثَّآئِهَا وَفُومِهَا وَعَدَسِهَا وَبَصَلِهَا قَالَ أَتَسْتَبْدِلُونَ الَّذِي هُوَ أَدْنَى بِالَّذِي هُوَ خَيْرٌ اهْبِطُواْ مِصْراً فَإِنَّ لَكُم مَّا سَأَلْتُمْ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ وَالْمَسْكَنَةُ وَبَآؤُوْاْ بِغَضَبٍ مِّنَ اللَّهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُواْ يَكْفُرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ وَيَقْتُلُونَ النَّبِيِّينَ بِغَيْرِ الْحَقِّ ذَلِكَ بِمَا عَصَواْ وَّكَانُواْ يَعْتَدُونَ
৬২. নিশ্চয় যারা ঈমানদার এবং যারা ইয়াহুদি খৃষ্টান ও অগ্নি উপাসক এদের যারাই আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাষ করে ও সৎ কর্ম করে তাদের জন্য রবের কাছে পুরস্কার রয়েছে তাদের কোন ভয় নেই আর তারা দুঃখিতও হবে না।ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়াল্লাযীনা হা-দূওয়ান্নাসা-রা- ওয়াসসা-বিঈনা মান আ-মানা বিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়া‘আমিলা সা-লিহান ফালাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়ালা- খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানূন।
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالنَّصَارَى وَالصَّابِئِينَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَعَمِلَ صَالِحاً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
৬৩. (স্মরন কর) যখন তোমাদের অংগীকার নিয়েছিলাম ও তুরকে তোমাদের উপর উঠিয়ে (বলেছিলাম) আমি যা (গ্রন্থ) দিলাম দৃঢ়তার সাথে গ্রহন কর এবং এতে যা আছে তা স্মরন রাখ,যাতে তোমরা ভয় করে চলতে পার।ওয়া ইযআখাযনা-মীছা-কাকুম ওয়া রাফা‘না-ফাওকাকুমুত্তূরা; খুযূমাআ-তাইনা-কুম বিকুওওয়াতিওঁ ওয়াযকুরূমা-ফীহি লা‘আল্লাকুম তাত্তাকূন।
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ الطُّورَ خُذُواْ مَا آتَيْنَاكُم بِقُوَّةٍ وَاذْكُرُواْ مَا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
৬৪. তার পরেও তোমরা মুখ ফিরালে সুতরাং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে।ছু ম্মা তাওয়াল্লাইতুম মিম বা‘দি যা-লিকা, ফালাও লা-ফাদলুল্লা-হি ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুহূ লাকুনতুম মিনাল খা-ছিরীন।
ثُمَّ تَوَلَّيْتُم مِّن بَعْدِ ذَلِكَ فَلَوْلاَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَكُنتُم مِّنَ الْخَاسِرِينَ
৬৫. তোমাদের মধ্যে যারা (বিশ্রামের দিন) শনিবারে সীমা লন্ঘন করেছিল ,তাদের তোমরা নিশ্চিত জানো , আমি তাদের বলেছিলাম তোমরা ঘৃনিত বানর হয়ে যাও।ওয়া লাকাদ ‘আলিমতুমুল্লাযীনা‘তাদাও মিনকুম ফিছছাবতি ফাকুলনা-লাহুম কূনূকিরাদাতান খা-ছিঈন।
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِينَ اعْتَدَواْ مِنكُمْ فِي السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُواْ قِرَدَةً خَاسِئِينَ
৬৬. উহা আমি তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের শিক্ষা গ্রহনের জন্য দৃষ্টান্ত এবং মুত্তকীদের জন্য উপদেশ স্বরুপ করেছি।ফাজা‘আলনা-হা-নাকা-লালিলমা-বাইনাইয়াদাইহা-ওয়ামা-খালফাহা ওয়ামাও‘ইজাতালিললমুত্তাকীন।
فَجَعَلْنَاهَا نَكَالاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
৬৭. আর যখন মুসা স্বীয় গোত্রকে বলেছিল আল্লাহ তোমরে একটি গাভী যবেহের নিদের্শ দিয়েছেন,তারা বলেছিল তুমি কি আমাদের সাথে ঠাট্রা করছ ? মুসা বলল আল্লাহর স্মরন নিচ্ছি যাতে আমি অজ্ঞ দলের না হই।ওয়া ইযকা-লা মূছা- লিকাওমিহী ইন্নাল্লা-হা ইয়া’মুরূকুম আন তাযবাহুবাকারাতান কা-লূআতাত্তাখিযুনা হুঝুওয়ান কা-লা আ‘ঊযুবিল্লা-হি আন আকূনা মিনাল জা-হিলীন।وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ إِنَّ اللّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَذْبَحُواْ بَقَرَةً قَالُواْ أَتَتَّخِذُنَا هُزُواً قَالَ أَعُوذُ بِاللّهِ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ
৬৮. তারা বলল আমাদের জন্য আপনার প্রভুকে স্পষ্টভাবে বলে দিতে বলুন গাভীটি কিরুপ ? মুসা বললেন আল্লাহ বলেছেন উহা এমন এক গাভী যা বৃদ্ধও নয় ও অল্প বয়স্কও নয়-মধ্য বয়সী হবে,সুতরাং তোমরা নির্দেশ মত কাজ কর।কা-লুদ‘উলানা- রাব্বাকা ইউবাইয়িল্লানা- মা-হিয়া কা-লা ইন্নাহূ ইয়াকূলুইন্নাহাবাকারাতুল লা-ফা-রিদুওঁ ওয়ালা-বিকরুন ‘আওয়া-নুম বাইনা যা-লিকা ফাফ‘আলূ মা-তু’মারূন।
قَالُواْ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لّنَا مَا هِيَ قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ لاَّ فَارِضٌ وَلاَ بِكْرٌ عَوَانٌ بَيْنَ ذَلِكَ فَافْعَلُواْ مَا تُؤْمَرونَ
৬৯. তারা বলল আমাদের জন্য আপনার রবকে স্পষ্ট করে বলে দিতে বলুন উহার রং কি ?মুসা বললেন আল্লাহ বলেছেন উহা হলুদ বর্ণের গাভী,উহার রং উজ্জল গাঢ়,যা দর্শকদের আনন্দ দেয়।কালুদ‘উ লানা- রাব্বাকা ইউবাইয়িল্লানা-মা-লাওনুহা- কা-লা ইন্নাহূ ইয়াকূলুইন্নাহাবাকারাতুন সাফরাউ ফা-কি‘উল্লাওনুহা- তাছুররুন্না-জিরীন।
قَالُواْ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا لَوْنُهَا قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنّهَا بَقَرَةٌ صَفْرَاء فَاقِـعٌ لَّوْنُهَا تَسُرُّ النَّاظِرِينَ
৭০. তারা বলল আমাদের জন্য আপনার প্রভুকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে বলুন গরুটি কি ধরনের ? আমরা সংশয়ে পড়েছি আমাদের কাছে গরুতো একই রকম এবং ইনশাআল্লাহ নিশ্চয় আমরা পথ পাব।কা-লুদ‘উলানা-রাববকা ইউবাইয়িল্লানা- মা-হিয়া ইন্নাল বাকারা তাশা-বাহা ‘আলাইনা-ওয়া ইন্না ইনশাআল্লা-হু লামুহতাদূ ন।
قَالُواْ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِيَ إِنَّ البَقَرَ تَشَابَهَ عَلَيْنَا وَإِنَّا إِن شَاء اللَّهُ لَمُهْتَدُونَ
৭১. মুসা বললেন তিনি বলেছেন উহা এমন গাভী যা জমির চাষে ও ক্ষেতে সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি সুস্থ ও নিখুঁত,তারা বলল এতক্ষনে তুমি সত্যি কথা এনেছো,যদিও তারা যবাই করতে উদ্যত ছিলনা তবুও তারা উহাকে যবাই করল।কা-লা ইন্নাহূ, ইয়াকূলুইন্নাহা-বাকারাতুল্লা- যালূলুন তুছীরুল আরদা ওয়ালা-তাছকিল হারছা মুছাল্লামাতুল লা-শিয়াতা ফীহা- কা-লুল আ-না জি’তা বিলহাক্কি ফাযাবাহুহা-ওয়ামা-কা-দূইয়াফ‘আলূন।
قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ لاَّ ذَلُولٌ تُثِيرُ الأَرْضَ وَلاَ تَسْقِي الْحَرْثَ مُسَلَّمَةٌ لاَّ شِيَةَ فِيهَا قَالُواْ الآنَ جِئْتَ بِالْحَقِّ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُواْ يَفْعَلُونَ
৭২. (স্মরন কর) যখণ তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে এবং পরস্পর দোষারোপ করছিলে, অথচ তোমরা যা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করতে চাইছিলেনওয়া ইযকাতালতুম নাফছান ফাদ্দা-রা’তুম ফীহা- ওয়াল্লা-হু মুখরিজুম মা-কুনতুম তাকতুমূন।
وَإِذْ قَتَلْتُمْ نَفْساً فَادَّارَأْتُمْ فِيهَا وَاللّهُ مُخْرِجٌ مَّا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ
৭৩. অতঃপর আমি বললাম এর কোন অংশ দ্বারা (মৃত ব্যক্তিকে) আঘাত কর, এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তার নিদের্শন তোমাদেরকে দেখান যাতে তোমরা ভেবে দেখফাকুলনাদরিবূহু ব্বিা‘দিহা- কাযা-লিকা ইউহইল্লা-হুল মাওতা- ওয়া ইউরীকুম আ-য়া-তিহী লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
فَقُلْنَا اضْرِبُوهُ بِبَعْضِهَا كَذَلِكَ يُحْيِي اللّهُ الْمَوْتَى وَيُرِيكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
৭৪. এরপরও তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেল,উহা পাথর কিংবা তদপেক্ষাও কঠিনতর,এবং কতক পাথর এমনও আছে যে, তা থেকে নহর প্রবাহিত হয় এবং কতক পাথর এমন যে উহা বিদীর্ণ হবার পর তা থেকে পানি নির্গত হয় আবার কতক পাথর এমও আছে যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে গড়ে পড়ে,বস্তত তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্মন্ধে গাফেল নন।ছু ম্মা কাছাত কুলূবুকুম মিম বা‘দি যা-লিকা ফাহিয়া কাল হিজা-রাতি আও আশাদ্দু কাছওয়াতাওঁ ওয়াইন্না মিনাল হিজা-রাতি লামা-ইয়াতাফাজ্জারু মিনহুল আনহা-রু ওয়াইন্না মিনহা-লামা-ইয়াশশাক্কাকু ফাইয়াখরুজুমিনহুল মাউ ওয়া ইন্না মিনহা-লামা-ইয়াহবিতুমিন খাশইয়াতিল্লা-হি ওয়ামাল্লা-হু বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।
ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُم مِّن بَعْدِ ذَلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً وَإِنَّ مِنَ الْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ الأَنْهَارُ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ الْمَاء وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللّهِ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
৭৫. (হে ঈমানদারগণ) তোমরা কি এখনও আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে ? যখন তাদের একদল আল্লাহর বাণী শ্রবন করত ও জ্ঞাত হবার পর জেনে শুনে উহা বিকৃত করতআফাতাতমা‘ঊনা আইঁ ইউ’মিনূ লাকুম ওয়া কাদ কা-না ফারীকুম মিনহুম ইয়াছমা‘ঊনা কালা-মাল্লা-হি ছুম্মা ইউহাররিফূনাহু মিম বা‘দি মা- ‘আকালূহু ওয়া হুম ইয়া‘লামূন।
أَفَتَطْمَعُونَ أَن يُؤْمِنُواْ لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌ مِّنْهُمْ يَسْمَعُونَ كَلاَمَ اللّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُ مِن بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
৭৬. আর যখন তারা মুমিনদের সংস্পর্শে আসে বলে আমরা ঈমান এনেছি আবার যখন গোপনে পরস্পর মিলিত হয় তখন বলে আল্লাহ তোমাদের কাছে যা ব্যক্ত করেছেন তা কেন ঈমানদারকে বলে দাও? এর দ্বারা (ঈমানদারগণ)তোমাদের রবের সামনে তোমাদের বিরুদ্ধে প্রমান দাঁড় করাবে তোমরা কি তা বুঝনা ?ওয়া ইযা-লাকুল্লাযীনা আ-মানূ কা-লুআ-মান্না- ওয়াইযা-খালা-বা‘দুহুম ইলা-বা‘দিন কা-লূ আতুহাদ্দিছূনাহুম বিমা- ফাতাহাল্লা-হু ‘আলাইকুম লিইউহাজ্জূকুম বিহী ‘ইনদারাব্বিকুম আফালা-তা‘কিলূন।
وَإِذَا لَقُواْ الَّذِينَ آمَنُواْ قَالُواْ آمَنَّا وَإِذَا خَلاَ بَعْضُهُمْ إِلَىَ بَعْضٍ قَالُواْ أَتُحَدِّثُونَهُم بِمَا فَتَحَ اللّهُ عَلَيْكُمْ لِيُحَآجُّوكُم بِهِ عِندَ رَبِّكُمْ أَفَلاَ تَعْقِلُونَ
৭৭. তারা কি জানেনা যে তারা যা গোপন রাখে কিংবা প্রকাশ করে নিশ্চিতভাবে আল্লাহ তা জানেন ?আওয়ালা-ইয়া‘লামূনা আন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন।
أَوَلاَ يَعْلَمُونَ أَنَّ اللّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
৭৮. তাদের মধ্যে কতিপয় নিরক্ষর মূর্খ লোক আছে যারা মুখে পাঠ করে কিতাব সম্মন্ধে কোন জ্ঞান নেই ,তারা মিথ্যা ধারনায় মগ্ন।ওয়া মিনহুম উম্মিইয়ূনা লা-ইয়া‘লামূনাল কিতা-বা ইল্লা আমা-নিইইয়া ওয়াইনহুম ইল্লা-ইয়াজু ন্নূন।وَمِنْهُمْ أُمِّيُّونَ لاَ يَعْلَمُونَ الْكِتَابَ إِلاَّ أَمَانِيَّ وَإِنْ هُمْ إِلاَّ يَظُنُّونَ
৭৯. সুতরাং সে লোকদের জন্য কঠিন শাস্তি যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং সামান্য মূল্য পাবার আশায় বলে এটা আল্লাহ নিকট হতে এসেছে অতএব শাস্তি তাদের জন্য তাদের হাত যা রচনা করেছে,শাস্তি তাদের জন্য যা তারা উপার্জন করেছে।ফাওয়াইলুল লিল্লাযীনা ইয়াকতুবূনাল কিতা-বা বিআইদীহিম ছু ম্মা ইয়াকূলূনা হা-যা-মিন ‘ইনদিল্লা-হি লিইয়াশতারূ বিহী ছামানান কালীলান ফাওয়াইলুল্লাহুম মিম্মা-কাতাবাত আইদিহিম ওয়া ওয়াইলুল্লাহুম মিম্মা-ইয়াকছিবূন।
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
৮০. তারা বলে,কয়েকদিন ব্যতিত অগ্নি আমাদেরকে স্পর্শ করবে না ( হে মুহাম্মদ) আপনি বলুন তোমরা কি আল্লাহ থেকে কোন অংগিকার নিয়েছ? সুতরাং আল্লাহ তাঁর অংগীকার কখনো ভংগ করবে না কিংবা তোমরা আল্লাহ সম্মন্ধে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জান না।
ওয়াকা-লূলান তামাছ ছানান্না-রু ইল্লা আইইয়া-মাম মা‘দূদাতান কুল আত্তাখাযতুম ‘ইনদাল্লা-হি ‘ আহদান ফালাইঁ ইউখলিফাল্লা-হু ‘আহদাহূ আম তাকূলূনা ‘আলাল্লা-হি মা-লা-তা‘লামূন।
وَقَالُواْ لَن تَمَسَّنَا النَّارُ إِلاَّ أَيَّاماً مَّعْدُودَةً قُلْ أَتَّخَذْتُمْ عِندَ اللّهِ عَهْدًا فَلَن يُخْلِفَ اللّهُ عَهْدَهُ أَمْ تَقُولُونَ عَلَى اللّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ
৮১. হ্যাঁ যারা গোনাহ করে এবং যাদের গোনাহ তাদের পরিবেষ্টন করে তারাই জাহান্নামবাসী, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।বালা- মান কাছাবা ছাইয়িআতাওঁ ওয়া আহা-তাত বিহী খাতীআতুহূ ফাউলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।
بَلَى مَن كَسَبَ سَيِّئَةً وَأَحَاطَتْ بِهِ خَطِيـئَتُهُ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
৮২. পক্ষান্তরে যারা ঈমানদার ও সৎকাজ করে তারাই জান্নাতবাসী সেখানেই তারা চিরস্থায়ী হবে।ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া‘আমিলুসসা-লিহা-তি উলাইকা আসহা-বুল জান্নাতি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।
وَالَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ أُولَـئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
৮৩. আর স্মরন কর ( সে সময়ের কথা)যখন বনী ইস্রালদের থেকে অংগীকার নিয়েছিলাম যে,তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না , মাতা পিতা আত্নীয় স্বজন,এতিম ও মিসকিনদের প্রতি সদ্বব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে আর নামাজ যথাযথ ভাবে কায়েম করবে এবং যাকাত প্রদান করবে কিন্ত স্বল্প সংখ্যক লোক ছাড়া তোমরা সকলে ফিরে গেলে ( এঅংগিকার পালনে) ও মুখ ফিরিয়ে নিলে ।ওয়াইযআখাযনা-মীছা-কা বানীইছরাঈলা লা-তা‘ বুদূ না ইল্লাল্লা-হা ওয়া বিলওয়া-লিদাইনি ইহছা-নাওঁ ওয়া যিলকুরবা- ওয়ালইয়াতা-মা-ওয়ালমাছা-কীনি ওয়াকূলূ লিন্না-ছি হুছনাওঁ ওয়া আকীমুসসালা-তা ওয়া আ-তুঝঝাকা-তা ছু ম্মা তাওয়াল্লাইতুম ইল্লা-কালীলাম মিনকুম ওয়া আনতুম মু‘রিদূন।
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ لاَ تَعْبُدُونَ إِلاَّ اللّهَ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً وَذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَقُولُواْ لِلنَّاسِ حُسْناً وَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ وَآتُواْ الزَّكَاةَ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ إِلاَّ قَلِيلاً مِّنكُمْ وَأَنتُم مِّعْرِضُونَ
৮৪. ( হে ইহুদী সমাজ) যখন তোমাদের থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, তোমরা পরস্পরে রক্তপাত করবে না আর আপনজনকে স্বদেশ থেকে বহিস্কার করবেনা অতঃপর তোমরা ত্রুটি স্বীকার করেছিলে আর এ বিষয়ে তোমরাই এর স্বাক্ষী ।ওয়া ইয আখাযনা-মীছা-কাকুম লা-তাছফিকূনা দিমাআকুম ওয়ালা-তুখরিজূনা আনফুছাকুম মিন দিয়া-রিকুম ছু ম্মা আকরারতুম ওয়া আনতুম তাশহাদূন।
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَكُمْ لاَ تَسْفِكُونَ دِمَاءكُمْ وَلاَ تُخْرِجُونَ أَنفُسَكُم مِّن دِيَارِكُمْ ثُمَّ أَقْرَرْتُمْ وَأَنتُمْ تَشْهَدُونَ
৮৫. অতঃপর তোমরাই যারা পরস্পরে হত্যা করেছ এবং তোমাদের একদল তাদের স্বদেশ থেকে বহিস্কার করছ ,তোমরা তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও সীমা লন্ঘন দ্বারা সাহায্য করছ এবং তারা যখন বন্দীরুপে তোমাদের নিকট আসে তখন তোমরা মুক্তিপণ চাও অথচ তাদের বের করণই ছিল তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ,তাহলে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাষ কর আর কিছু অংশ অবিশ্বাষ কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এরুপ কাজ করে তাদের একমাতো প্রতিফল পার্থিব জীবনে হীণতাবৈ কিছুই নয় এবং কিয়ামতের দিন (শেষ বিচারের দিন)তারা কঠিনতম শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত হবে তারা যা করে আল্লাহ সে সম্মন্ধে গাফেল নন।ছু ম্মা আনতুম হাউলাই তাকতুলূনা আনফুছাকুম ওয়াতুখরিজূনা ফারীকাম মিনকুম মিন দিয়া-রিহিম তাজা-হারূনা ‘আলাইহিম বিলইছমি ওয়াল‘উদওয়া-নি ওয়াইয়ঁ ইয়া’তূকুম উছা-রা-তুফা-দূ হুম ওয়া হুওয়া মুহাররামুন ‘আলাইকুম ইখরা-জুহুম আফাতু’মিনূনা ব্বিা‘দিল কিতা-বি ওয়া তাকফুরূনা ব্বিা‘দিন ফামা-জাঝাউ মাইঁ ইয়াফ‘আলুযা-লিকা মিনকুম ইল্লা-খিঝইয়ুন ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া-ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইউরাদ্দূনা ইলা আশাদ্দিল ‘আযা-বি ওয়ামাল্লা-হু বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।
ثُمَّ أَنتُمْ هَـؤُلاء تَقْتُلُونَ أَنفُسَكُمْ وَتُخْرِجُونَ فَرِيقاً مِّنكُم مِّن دِيَارِهِمْ تَظَاهَرُونَ عَلَيْهِم بِالإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَإِن يَأتُوكُمْ أُسَارَى تُفَادُوهُمْ وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيْكُمْ إِخْرَاجُهُمْ أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاء مَن يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنكُمْ إِلاَّ خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
৮৬. ওরাই আখেরাতের বিণিময়ে পার্থিব ক্রয় করে সুতরাং তাদের শাস্তি হালকা হবে না এবং তারা কোন সাহায্য প্রাপ্তও হবে না।উলাইকাল্লাযীনাশ তারাউল হায়া-তাদ্দুনইয়া-বিলআ-খিরাতি ফালা- ইউখাফফাফু ‘আনহুমুল ‘আযা-বু ওয়া লাহুম ইউনসারূন।
أُولَـئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُاْ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالآَخِرَةِ فَلاَ يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلاَ هُمْ يُنصَرُونَ
৮৭. এবং নিশ্চয় মুসাকে কিতাব (তাওরাত) দিয়েছি ও তারপরে পর্যায়ক্রমে রাসুলগণকে প্রেরণ করেছি এবং মরিয়ম তনয় ঈসাকে স্পষ্ট প্রমান স্বরুপ দিয়েছি এবং পবিত্র আত্না ( বা জিব্রাঈল ফেরেশতা) দ্বারা তাকে শক্তিশালী করেছি,তবে কি কখনই কোন রাসুল এমন কিছু এনেছে যা তোমাদের মনঃপুত হয়নি তখনই তোমরা অহংকার করেছ আর কতককে অস্বীকার করেছ এবং কতককে হত্যা করেছ।ওয়ালাকাদ আ-তাইনা-মূছাল কিতা-বা ওয়া কাফফাইনা-মিম বা‘দিহী বিররুছুলি ওয়াআতাইনা-ঈছাবনা মারইয়ামাল বাইয়িনা-তি ওয়া আইয়াদনা-হুবিরূহিলকুদুছি আফাকুল্লামা-জাআকুম রাছূলুম বিমা-লা-তাহওয়াআনফুছুকুমুছতাকবারতুম, ফাফারীকান কাযযাবতুম ওয়া ফারীকান তাকতুলূন।
وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَقَفَّيْنَا مِن بَعْدِهِ بِالرُّسُلِ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ أَفَكُلَّمَا جَاءكُمْ رَسُولٌ بِمَا لاَ تَهْوَى أَنفُسُكُمُ اسْتَكْبَرْتُمْ فَفَرِيقاً كَذَّبْتُمْ وَفَرِيقاً تَقْتُلُونَ
৮৮. তার বলেছিল আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত, হ্যাঁ কুফুরী হেতু আল্লাহ তাদের লানত করেছেন,ফলে তাদের নগণ্যই বিশ্বাষীওয়া কা-লূকূলূবুনা-গুলফুন বাল্লা‘আনাহুমুল্লা-হু বিকুফরিহিম ফাকালীলাম মা-ইউমিনূন।
وَقَالُواْ قُلُوبُنَا غُلْفٌ بَل لَّعَنَهُمُ اللَّه بِكُفْرِهِمْ فَقَلِيلاً مَّا يُؤْمِنُونَ
৮৯. তাদের নিকট যা আল্লাহর নিকট তার থেকে সমর্থক কিতাব এল যদিও পূর্বে কাফেরদের বিরুদ্ধে তারা সাহায্যে বিজয় চাইত তবুও তারা যা জানত তা তাদের কাছে এল তখন তারা প্রত্যাখান করল, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর লানত।ওয়ালাম্মা- জাআহুম কিতা-বুম মিন ‘ইনদিল্লা-হি মুসাদ্দিকুল লিমা- মা ‘আহুম ওয়া কা-নূ মিন কাবলু ইয়াছতাফতিহূনা ‘আলাল্লাযীনা কাফারূ ফালাম্মা- জাআহুম মা‘আরাফূ কাফারূ বিহী ফালা‘নাতুল্লা-হি ‘আলাল কা-ফিরীন।وَلَمَّا جَاءهُمْ كِتَابٌ مِّنْ عِندِ اللّهِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَهُمْ وَكَانُواْ مِن قَبْلُ يَسْتَفْتِحُونَ عَلَى الَّذِينَ كَفَرُواْ فَلَمَّا جَاءهُم مَّا عَرَفُواْ كَفَرُواْ بِهِ فَلَعْنَةُ اللَّه عَلَى الْكَافِرِينَ
৯০. নিতান্তই জঘন্য যার বিণিময়ে তারা আত্নাকে বিক্রি করেছে উহা এই যে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন ঈর্ষান্মিত হয়ে তারা তা প্রত্যাখান করত শুধু এ জন্যই যে আল্লাহ তার মনোনিত বান্দাদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন,সুতরাং তারা ক্রোধের উপর ক্রোধের পাত্র হল,কাফেরদের জন্য রয়েছে লান্ছনাদায়ক শাস্তি।বি’ছামাশ তারাও বিহী আনফুছাহুম আইঁ ইয়াকফুরূবিমা আনঝালাল্লা-হু বাগইয়ান আইঁ ইউনাঝঝিলাল্লা-হু মিন ফাদলিহী ‘আলা-মাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবা-দিহী ফাবাউ বিগাদিন ‘আলা-গাদাবিন ওয়া লিলকা-ফিরীনা ‘আযা-বুম মুহীন।
بِئْسَمَا اشْتَرَوْاْ بِهِ أَنفُسَهُمْ أَن يَكْفُرُواْ بِمَا أنَزَلَ اللّهُ بَغْياً أَن يُنَزِّلُ اللّهُ مِن فَضْلِهِ عَلَى مَن يَشَاء مِنْ عِبَادِهِ فَبَآؤُواْ بِغَضَبٍ عَلَى غَضَبٍ وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ مُّهِينٌ
৯১. এবং যখন তাদেরকে বলা হয় আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তাতে তোমরা ঈমান আন,তারা বলে আমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তাতে আমরা ঈমান এনেছি,অথচ তা ব্যতিত সব কিছুই তারা প্রত্যাখান করে,যদিও উহা সত্য এবং উহার সর্মথক যা তাদের কাছে আছে!বলুন যদি তোম,রা মুমিন হতে তবে কেন তোমরা অতীতে নবীগণকে হত্যা করেছিলে ?ওয়া ইযা-কীলা লাহুম আ-মিনূ বিমাআনঝালাল্লা-হু কা-লূ নু’মিনু বিমাউনঝিলা ‘আলাইনা-ওয়া ইয়াকফুরূনা বিমা- ওয়ারাআহূ ওয়া হুওয়াল হাক্কুমুসাদ্দিকালিল মা- মা‘আহুম কুল ফালিমা তাকতুলূনা আম্বিয়াআল্লা-হি মিন কাবলুইন কুনতুম মু’মিনীন।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُواْ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ قَالُواْ نُؤْمِنُ بِمَا أُنزِلَ عَلَيْنَا وَيَكْفُرونَ بِمَا وَرَاءهُ وَهُوَ الْحَقُّ مُصَدِّقاً لِّمَا مَعَهُمْ قُلْ فَلِمَ تَقْتُلُونَ أَنبِيَاء اللّهِ مِن قَبْلُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
৯২. এবং (হে বনী ইস্রাঈলগণ) মুসা তোমাদের নিকট নির্দশন সহ এসেছিলেন পরে তার অনুপস্থিতিতে সীমা লংন্ঘনকারী হয়ে গোবৎসকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করেছিলে ।ওয়া লাকাদ জাআকুম মূছা- বিলবাইয়িনা-তি ছু ম্মাত্তাখাযতুমুল ‘ইজলা মিম বা‘দিহী ওয়া আনতুম জা-লিমূন।
وَلَقَدْ جَاءكُم مُّوسَى بِالْبَيِّنَاتِ ثُمَّ اتَّخَذْتُمُ الْعِجْلَ مِن بَعْدِهِ وَأَنتُمْ ظَالِمُونَ
৯৩. আরও স্মরেন কর (সে সময়ের কথা) তোমাদের যখন প্রতিশ্রুতি নিলাম এবং তুরকে তোমাদের উপর উঠিয়ে বলেছিলাম , যা দিলাম দৃঢ়রুপে গ্রহন কর এবং শ্রবণ কর;তারা বলেছিল আমরা শ্ররণ করলাম ও অমান্য করলাম,কুফুরীর দরুন তাদের হৃদয়ে গোবৎস প্রীতি সিঞ্চিত হয়েছিল বলুন যদি তোমরা বিশ্বাষী হও তবে তোমাদের বিশ্বাষ যার নির্দেশ দেয় উহা কত নিকৃষ্ট!ওয়া ইযআখাযনা- মীছা-কাকুম ওয়া রাফা‘না- ফাওকাকুমুত্তূরা খুযূমা আ-তাইনা-কুম বিকুওওয়াতিওঁ ওয়াছমা‘উ কা-লূছামি‘না ওয়া ‘আসাইনা- ওয়া উশরিবূফী কুলূবিহিমুল ‘ইজলা বিকুফরিহিম কুল বি’ছামা-ইয়া’মুরুকুম বিহী ঈমা-নুকুম ইন কুনতুম মু’মিনীন।
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ الطُّورَ خُذُواْ مَا آتَيْنَاكُم بِقُوَّةٍ وَاسْمَعُواْ قَالُواْ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَأُشْرِبُواْ فِي قُلُوبِهِمُ الْعِجْلَ بِكُفْرِهِمْ قُلْ بِئْسَمَا يَأْمُرُكُمْ بِهِ إِيمَانُكُمْ إِن كُنتُمْ مُّؤْمِنِينَ
৯৪. বলুন যদি আল্লাহর কাছে আখেরাতের বাসস্থান অন্য লোক ব্যতিত বিশেষভাবে শুধু তোমাদের জন্যই হয় ‘ তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর।,যদি সত্যবাদী হও।কুল ইন কা-নাত লাকুমুদ্দা-রুল আ-খিরাতু ‘ইনদাল্লা-হি খা-লিসাতাম মিন দূনিন্না-ছি ফাতামান্নাউল মাওতা ইন কুনতুম সা-দিকীন।
قُلْ إِن كَانَتْ لَكُمُ الدَّارُ الآَخِرَةُ عِندَ اللّهِ خَالِصَةً مِّن دُونِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُاْ الْمَوْتَ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
৯৫. কিন্ত তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য কখনও উহা (মৃত্যু) কামনা করবে না এবং আল্লাহ জালিমদের সম্পর্কে পরিজ্ঞাত ।ওয়া লাইঁ ইয়াতামান্নাওহু আবাদাম বিমা- কাদ্দামাত আইদীহিম ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুম বিজ্জা-লিমীন।
وَلَن يَتَمَنَّوْهُ أَبَدًا بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ وَاللّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمينَ
৯৬. আপনি নিশ্চয় তাদের জীবনের প্রতি সব মানুষ এমনকি মুশরিকদের চেয়ে অধিক লোভী দেখতে পাবেন,তারা প্রত্যেকেই সহস্র বছর বাঁচার আকান্খা করে ; তথাপি দীঘায়ু তাদেরকে শাস্তি থেকে দুরে রাখতে পারবেনা,তারা যা করে আল্লাহ তার দ্রষ্টা।ওয়ালাতাজিদান্নাহুম আহরাসান্না-ছি ‘আলা- হায়া-তিওঁ ওয়া মিনাল্লাযীনা আশরাকূ ইয়াওয়াদ্দু আহাদুহুম লাও ইউ‘আম্মারু আলফা ছানাতিওঁ ওয়ামা-হুওয়া বিমুঝাহঝিহিহী মিনাল ‘আযা-বি আইঁ ইউ‘আম্মারা ওয়াল্লা-হু বাসীরুম বিমা-ইয়া‘মালূন।
وَلَتَجِدَنَّهُمْ أَحْرَصَ النَّاسِ عَلَى حَيَاةٍ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ يُعَمَّرُ أَلْفَ سَنَةٍ وَمَا هُوَ بِمُزَحْزِحِهِ مِنَ الْعَذَابِ أَن يُعَمَّرَ وَاللّهُ بَصِيرٌ بِمَا يَعْمَلُونَ
৯৭. (হে নবী) বল, যে জিব্রাঈলের শত্রু হবে সে জানুক সে-ত(জিব্রাঈল) আল্লাহর নির্দেশে তোমার হৃদয়ে কোরআন পৌছেদিয়েছে যা পুর্ববর্তী কিতাবসমুহের সমর্থক এবং মুমিনগণের জন্য যা হেদায়ে ও শুভসংবাদ।কুল মান কা-না‘আদুওওয়ালিল জিবরীলা ফাইন্নাহূনাঝঝালাহূ ‘আলা-কালবিকা বিইযনিল্লা-হি মুসাদ্দিকাল লিমা-বাইনা ইয়াদাইহি ওয়া হুদাওঁ ওয়াবুশরা- লিলমু’মিনীন।قُلْ مَن كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللّهِ مُصَدِّقاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَبُشْرَى لِلْمُؤْمِنِينَ
৯৮. যারা আল্লাহর ফেরেশতা,রাসুলগণের, জিব্রাঈল ও মিকাইলের শত্রু হবে তারা জেনে রাখুক নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদের শত্রু।মান কা-না ‘আদুওওয়াল লিল্লা-হি ওয়ামালাইকাতিহী ওয়া রুছুলিহী ওয়াজিবরীলা ওয়ামীকা-লা ফাইন্নাল্লা-হা ‘আদুওউলিললকা-ফিরীন।
مَن كَانَ عَدُوًّا لِّلّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللّهَ عَدُوٌّ لِّلْكَافِرِينَ
৯৯. এবং আমরা তোমার প্রতি স্পষ্ট নিদর্শন নাযিল করেছি উহা ফাসিক ব্যতিত অন্য কেহই প্রত্যাখান করে না।ওয়া লাকাদ আনঝালনাইলাইকা আ-য়া-তিম বাইয়িনা-তিওঁ ওয়ামা-ইয়াকফুরু বিহা ইল্লাল ফা-ছিকূন।
وَلَقَدْ أَنزَلْنَا إِلَيْكَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَمَا يَكْفُرُ بِهَا إِلاَّ الْفَاسِقُونَ
১০০. তবে কি যখনই তারা অংগীকারাবদ্ধ হয়েছে তখনই তাদের কোন একদল সে অংগীকার ভংগ করেছে?এবং তাদের অধিকাংশই বেঈমান।আওয়া কুল্লামা- ‘আ-হাদূ‘আহদান নাবাযাহূ ফারীকুম মিনহুম বাল আকছারুহুম লা-ইউ’মিনূন।
أَوَكُلَّمَا عَاهَدُواْ عَهْداً نَّبَذَهُ فَرِيقٌ مِّنْهُم بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ
১০১. আর যখন তাদের নিকট আল্লাহর কাছ থেকে একজন রাসূল এল, তাদের সাথে যা আছে তা সমর্থন করে, তখন আহলে কিতাবের একটি দল আল্লাহর কিতাবকে তাদের পেছনে ফেলে দিল, (এভাবে যে) মনে হয় যেন তারা জানে নাওয়া লাম্মা-জাআহুম রাছূলুম মিন ‘ইনদিল্লা-হি মুসাদ্দিকুল্লিমা-মা‘আহুম নাবাযা ফারীকুম মিনাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা কিতা-বাল্লা-হি ওয়ারাআ জুহূরিহিম কাআন্নাহুম লাইয়া‘লামূন।
وَلَمَّا جَاءهُمْ رَسُولٌ مِّنْ عِندِ اللّهِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَهُمْ نَبَذَ فَرِيقٌ مِّنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ كِتَابَ اللّهِ وَرَاء ظُهُورِهِمْ كَأَنَّهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ
১০২. আর তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলাইমান কুফরী করেনি; বরং শয়তানরা কুফরী করেছে। তারা মানুষকে যাদু শেখাত এবং (তারা অনুসরণ করেছে) যা নাযিল করা হয়েছিল বাবেলের দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর। আর তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত যে, ‘আমরা তো পরীক্ষা, সুতরাং তোমরা কুফরী করো না।’ এরপরও তারা এদের কাছ থেকে শিখত, যার মাধ্যমে তারা পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। অথচ তারা তার মাধ্যমে কারো কোন ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর তারা শিখত যা তাদের ক্ষতি করত, তাদের উপকার করত না এবং তারা নিশ্চয় জানত যে, যে ব্যক্তি তা ক্রয় করবে, আখিরাতে তার কোন অংশ থাকবে না। আর তা নিশ্চিতরূপে কতই-না মন্দ, যার বিনিময়ে তারা নিজদেরকে বিক্রয় করেছে। যদি তারা বুঝত।ওয়াত্তাবা‘উ মা-তাতলুশশাইয়া-তীনু‘আলা- মুলকি ছুলাইমা-না ওয়ামা-কাফারা ছুলাইমা-নু ওয়ালা- কিন্নাশশাইয়া-তীনা কাফারূ ইউ‘আলিলমূনান্না-ছাছছিহরা ওয়ামা উনঝিলা ‘আলাল মালাকাইনি ব্বিা-বিলা হা-রূতা ওয়ামা-রূতা ওয়ামা- ইউ‘আলিলমা-নি মিন আহাদিন হাত্তা-ইয়াকূলা ইন্নামা-নাহনুফিতনাতুন ফালা-তাকফুর ফাইয়াতা‘আল্লামূনা মিনহুমা- মা-ইউফাররিকূনা বিহী বাইনাল মারই ওয়াঝাওজিহী ওয়ামা-হুম বিদাররীনা বিহী মিন আহাদিন ইল্লা- বিইযনিল্লা-হি ওয়াইয়াতা‘আল্লামূনা মা-ইয়াদুররুহুম ওয়ালাইয়ানফা‘উহুম ওয়ালাকাদ ‘আলিমূলামানিশতারা-হু মা-লাহূফিল আ-খিরাতি মিন খালাকিওঁ ওয়ালাবি’ছা মা-শারাও বিহী আনফুছাহুম লাও কা-নূইয়া‘লামূন।
وَاتَّبَعُواْ مَا تَتْلُواْ الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَـكِنَّ الشَّيْاطِينَ كَفَرُواْ يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولاَ إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلاَ تَكْفُرْ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلاَ يَنفَعُهُمْ وَلَقَدْ عَلِمُواْ لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الآخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْاْ بِهِ أَنفُسَهُمْ لَوْ كَانُواْ يَعْلَمُونَ
১০৩. আর যদি তারা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে (তাদের জন্য) প্রতিদান উত্তম হত। যদি তারা জানত।ওয়া লাও আন্নাহুম আ-মানূ ওয়াত্তাকাও লামাছূবাতুম মিন ‘ইনদিল্লা-হি খাইরুল লাও কা-নূ ইয়া‘লামূন।
وَلَوْ أَنَّهُمْ آمَنُواْ واتَّقَوْا لَمَثُوبَةٌ مِّنْ عِندِ اللَّه خَيْرٌ لَّوْ كَانُواْ يَعْلَمُونَ
১০৪. হে মুমিনগণ, তোমরা ‘রা‘ইনা’ বলো না; বরং বল, ‘উনজুরনা’ আর শোন, কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তাকূলূরা-‘ইনা- ওয়া কূলুনজু রনা- ওয়াছমা‘ঊ ওয়া লিলকা-ফিরীনা ‘আযা-বুন আলীম।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَقُولُواْ رَاعِنَا وَقُولُواْ انظُرْنَا وَاسْمَعُوا ْوَلِلكَافِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌ
১০৫. আহলে কিতাব ও মুশরিকদের মধ্য থেকে যারা কুফরী করেছে, তারা চায় না যে, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের উপর কোন কল্যাণ নাযিল হোক। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে তাঁর রহমত দ্বারা খাস করেন এবং আল্লাহ মহান অনুগ্রহের অধিকারী।মা-ইয়াওয়াদ্দুল্লাযীনা কাফারূ মিন আহলিল কিতা-বি ওয়ালাল মুশরিকীনা আইঁ ইউনাঝঝালা ‘আলাইকুম মিন খাইরিম মির রাব্বিকুম ওয়াল্লা-হু ইয়াখতাসসু বিরাহমাতিহী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু যুল ফাদলিল ‘আজীম।
مَّا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَلاَ الْمُشْرِكِينَ أَن يُنَزَّلَ عَلَيْكُم مِّنْ خَيْرٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَاللّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَن يَشَاء وَاللّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ
১০৬. আমি যে আয়াত রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই, তার চেয়ে উত্তম কিংবা তার মত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।মা-নানছাখ মিন আ-য়াতিন আও নুনছিহা- না’তি বিখাইরিম মিনহাআও মিছলিহা- আলাম তা‘লাম আন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
مَا نَنسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
১০৭. তুমি কি জান না যে, নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহর। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই।আলাম তা‘লাম আন্নাল্লা-হা লাহমুলকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আর দিওয়ামা-লাকুম মিন দূনিল্লা-হি মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ اللّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ نَصِيرٍ
১০৮. নাকি তোমরা চাও তোমাদের রাসূলকে প্রশ্ন করতে, যেমন পূর্বে মূসাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল? আর যে ঈমানকে কুফরে পরিবর্তন করবে, সে নিশ্চয় সোজা পথবিচ্যুত হল।আম তুরীদূ না আন তাছআলূ রাছূলাকুম কামা-ছুইলা মূছা-মিন কাবলু ওয়া মাইঁ ইয়াতাবাদ্দালিল কুফরা বিলঈমা-নি ফাকাদ্দাল্লা ছাওয়াআছছাবীল।
أَمْ تُرِيدُونَ أَن تَسْأَلُواْ رَسُولَكُمْ كَمَا سُئِلَ مُوسَى مِن قَبْلُ وَمَن يَتَبَدَّلِ الْكُفْرَ بِالإِيمَانِ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاء السَّبِيلِ
১০৯. আহলে কিতাবের অনেকেই চায়, যদি তারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পর কাফির অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারত! সত্য স্পষ্ট হওয়ার পর তাদের পক্ষ থেকে হিংসাবশত (তারা এরূপ করে থাকে)। সুতরাং তোমরা ক্ষমা কর এবং এড়িয়ে চল, যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর নির্দেশ দেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।ওয়াদ্দা কাছীরুম মিন আহলিল কিতা-বি লাও ইয়ারুদ্দূনাকুম মিম বা‘দি ঈমা-নিকুম কুফফা-রান হাছাদাম মিন ‘ইনদি আনফুছিহিম মিম বা‘দি মা-তাবাইইয়ানা লাহুমুল হাক্কু ফা‘ফূ ওয়াসফাহূহাত্তা- ইয়া’তিয়াল্লা-হু বিআমরিহী ইন্নাল্লা-হা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُم مِّن بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّاراً حَسَدًا مِّنْ عِندِ أَنفُسِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْحَقُّ فَاعْفُواْ وَاصْفَحُواْ حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ إِنَّ اللّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
১১০. আর তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও এবং যে নেক আমল তোমরা নিজদের জন্য আগে পাঠাবে, তা আল্লাহর নিকট পাবে। তোমরা যা করছ নিশ্চয় আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।ওয়া আকীমুসসালা-তা ওয়া আ-তুঝঝাকা-তা ওয়ামা- তুকাদ্দিমূ লিআনফুছিকুম মিন খাইরিন তাজিদূ হু ‘ইনদাল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।
وَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ وَآتُواْ الزَّكَاةَ وَمَا تُقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
১১১. আর তারা বলে, ইয়াহূদী কিংবা নাসারা ছাড়া অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এটা তাদের মিথ্যা আশা। বল, ‘তোমরা তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আস, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক’।ওয়া কা-লূ লাইঁ ইয়াদখুলাল জান্নাতা ইল্লা-মান কা-না হূদান আও নাসা-রা- তিলকা আমা নিইয়ুহুম কূল হা-তূ বুরহা-নাকুম ইন কুনতুম সা-দিকীন।
وَقَالُواْ لَن يَدْخُلَ الْجَنَّةَ إِلاَّ مَن كَانَ هُوداً أَوْ نَصَارَى تِلْكَ أَمَانِيُّهُمْ قُلْ هَاتُواْ بُرْهَانَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
১১২. হ্যাঁ, যে নিজকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও, তবে তার জন্য রয়েছে তার রবের নিকট প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।বালা- মান আছলামা ওয়াজহাহূ লিল্লা-হি ওয়া হুওয়া মুহছিনুন ফালাহূ আজরুহু ‘ইনদা রাব্বিহী ওয়ালা- খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানূন।
بَلَى مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهُ أَجْرُهُ عِندَ رَبِّهِ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
১১৩. আর ইয়াহূদীরা বলে, ‘নাসারাদের কোন ভিত্তি নেই’ এবং নাসারারা বলে ‘ইয়াহূদীদের কোন ভিত্তি নেই’। অথচ তারা কিতাব পাঠ করে। এভাবেই, যারা কিছু জানে না, তারা তাদের কথার মত কথা বলে। সুতরাং আল্লাহ কিয়ামত দিনে যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত সে বিষয়ে তাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন।ওয়াকা-লাতিল ইয়াহূদূ লাইছাতিন নাসা-রা- ‘আলা- শাইয়িওঁ ওয়াকা-লাতিন নাসা-রা-লাইছাতিল ইয়াহূদূ ‘আলা শাইয়িওঁ ওয়া হুম ইয়াতলূনাল কিতা-বা কাযা-লিকা কা-লাল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূনা মিছলা কাওলিহিম ফাল্লা-হু ইয়াহকুমুবাইনাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ফীমা-কানূ ফীহি ইয়াখতালিফূন।
وَقَالَتِ الْيَهُودُ لَيْسَتِ النَّصَارَى عَلَىَ شَيْءٍ وَقَالَتِ النَّصَارَى لَيْسَتِ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ الْكِتَابَ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ فَاللّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
১১৪. আর তার চেয়ে অধিক যালেম কে, যে আল্লাহর মাসজিদ সমূহে তাঁর নাম স্মরণ করা থেকে বাধা প্রদান করে এবং তা বিরাণ করতে চেষ্টা করে? তাদের তো উচিৎ ছিল ভীত হয়ে তাতে প্রবেশ করা। তাদের জন্য দুনিয়ায় রয়েছে লাঞ্ছনা আর আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব।ওয়ামান আজলামু মিম্মাম মানা‘আ মাছা-জিদাল্লা-হি আইঁ ইউযকারা ফীহাছমুহূওয়া ছা‘আ-ফী খারা-বিহা- উলাইকা মা-কা-না লাহুম আইঁ উয়াদখুলূহাইল্লা-খাইফীন লাহুম ফিদ্দুনইয়া-খিঝয়ুউঁ ওয়া লাহুম ফিল আ-খিরাতি ‘আযা-বুন ‘আজীম।
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن مَّنَعَ مَسَاجِدَ اللّهِ أَن يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا أُوْلَـئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَن يَدْخُلُوهَا إِلاَّ خَآئِفِينَ لهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ
১১৫. আর পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও, সে দিকেই আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয় আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।ওয়া লিল্লা-হিল মাশরিকু ওয়াল মাগরিবু ফাআইনামা-তুওয়াললূ ফাছাম্মা ওয়াজহুল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।
وَلِلّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللّهِ إِنَّ اللّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
১১৬. আর তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি পবিত্র মহান; বরং আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা তাঁরই । সব তারই অনুগত।ওয়াকা-লুত্তাখাযাল্লা-হু ওয়ালাদান ছুবহা-নাহূ বাল লাহূ মা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিকুল্লুল লাহূকা-নিতূন।
وَقَالُواْ اتَّخَذَ اللّهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَل لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ كُلٌّ لَّهُ قَانِتُونَ
১১৭. তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন কেবল বলেন ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায়।বাদী‘উছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আর দিওয়া ইযা-কাদাআমরান ফাইন্নামা-ইয়াকূলু লাহূ কুন ফাইয়াকূন।
بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَإِذَا قَضَى أَمْراً فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُن فَيَكُونُ
১১৮. আর যারা জানে না, তারা বলে, ‘কেন আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন না কিংবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে না’? এভাবেই, যারা তাদের পূর্বে ছিল তারা তাদের কথার মত কথা বলেছে। তাদের অন্তরসমূহ একই রকম হয়ে গিয়েছে। আমি তো আয়াতসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছি এমন কওমের জন্য, যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।ওয়া কা-লাল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূনা লাওলা-ইউকালিলমুনাল্লা-হু আও তা’তীনা আ-য়াতুন কাযা-লিকা কালাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম মিছলা কাওলিহিম তাশা-বাহাত কূলূবুহুম কাদ বাইইয়ান্নাল আ-য়া-তি লিকাওমিইঁ ইঊকিনূন।
وَقَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ لَوْلاَ يُكَلِّمُنَا اللّهُ أَوْ تَأْتِينَا آيَةٌ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم مِّثْلَ قَوْلِهِمْ تَشَابَهَتْ قُلُوبُهُمْ قَدْ بَيَّنَّا الآيَاتِ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ
১১৯. নিশ্চয় আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সত্যসহ, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং তোমাকে আগুনের অধিবাসীদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না।ইন্নাআরছালনা-কা বিলহাক্কি বাশীরাওঁ ওয়ানাযীরাওঁ ওয়ালা-তুছআলু‘আন আসহাবিল জাহীম।
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلاَ تُسْأَلُ عَنْ أَصْحَابِ الْجَحِيمِ
১২০. আর ইয়াহূদী ও নাসারারা কখনো তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না তুমি তাদের মিলাতের অনুসরণ কর। বল, ‘নিশ্চয় আল্লাহর হিদায়াতই হিদায়াত’ আর যদি তুমি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কর তোমার কাছে যে জ্ঞান এসেছে তার পর, তাহলে আল্লাহর বিপরীতে তোমার কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী থাকবে না।ওয়ালান তারদা-‘আনকাল ইয়াহূদু ওয়ালান নাসা-রা-হাত্তা-তাত্তাবি‘আ মিল্লাতাহুম কূল ইন্না হুদাল্লা-হি হুওয়াল হুদা-ওয়ালাইনিত্তাবা‘তা আহওয়াআহুম বা‘দাল্লাযী জাআকা মিনাল ‘ইলমি মা-লাকা মিনাল্লা-হি মিওঁ ওয়ালিইয়ূওঁ ওয়ালা-নাসীর।وَلَن تَرْضَى عَنكَ الْيَهُودُ وَلاَ النَّصَارَى حَتَّى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ قُلْ إِنَّ هُدَى اللّهِ هُوَ الْهُدَى وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءهُم بَعْدَ الَّذِي جَاءكَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ اللّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ نَصِيرٍ
১২১. যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি, তারা তা পাঠ করে যথার্থভাবে। তারাই তার প্রতি ঈমান আনে। আর যে তা অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।আল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল কিতা-বা ইয়াতলূনাহূ হাক্কা তিলা-ওয়াতিহী উলাইকা ইউ’মিনূনা বিহী ওয়া মাইঁ ইয়াকফুর বিহী ফাউলাইকা হুমুল খা-ছিরূন।
الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلاَوَتِهِ أُوْلَـئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمن يَكْفُرْ بِهِ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ
১২২. হে বনী ইসরাঈল, তোমরা আমার নিআমতকে স্মরণ কর, যা আমি তোমাদেরকে দিয়েছি। আর নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি সৃষ্টিকুলের উপর।ইয়া-বানী ইছরাঈলাযকুরূ নি‘মাতিইয়াল্লাতী আন‘আমতু ‘আলাইকুম ওয়া আন্নী ফাদ্দালতুকুম ‘আলাল ‘আ-লামীন।
يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُواْ نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ
১২৩. আর তোমরা ভয় কর সেদিনকে, যেদিন কেউ কারো কোন কাজে আসবে না এবং কোন ব্যক্তি থেকে বিনিময় গ্রহণ করা হবে না আর কোন সুপারিশ তার উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।ওয়াত্তাকূ ইয়াওমাল্লা-তাজঝী নাফছুন ‘আন নাফছিন শাইআওঁ ওয়ালা-ইউকবালু মিনহা‘আদলুওঁ ওয়ালা-তানফা‘উহা-শাফা-‘আতুওঁ ওয়ালা-হুম ইউনসারূন।
وَاتَّقُواْ يَوْماً لاَّ تَجْزِي نَفْسٌ عَن نَّفْسٍ شَيْئاً وَلاَ يُقْبَلُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلاَ تَنفَعُهَا شَفَاعَةٌ وَلاَ هُمْ يُنصَرُونَ
১২৪. আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীমকে তার রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর সে তা পূর্ণ করল। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাকে মানুষের জন্য নেতা বানাব’। সে বলল, ‘আমার বংশধরদের থেকেও’? তিনি বললেন, ‘যালিমরা আমার ওয়াদাপ্রাপ্ত হয় না’।ওয়াইযিবতালাইবরা-হীমা রাব্বুহূ বিকালিমা-তিন ফাআতাম্মাহুন্না কা-লা ইন্নী জা‘ইলুকা লিন্না-ছি ইমা-মান কা-লা ওয়া মিন যুররিইইয়াতী কা-লা লা-ইয়ানা-লু ‘আহদিজ্জা-লিমীন।
وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا قَالَ وَمِن ذُرِّيَّتِي قَالَ لاَ يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ
১২৫. আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং (আদেশ দিলাম যে,) ‘তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর’। আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ‘ইতিকাফকারী ও রুকূকারী-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর’।ওয়াইয জা‘আলনাল বাইতা মাছা-বাতাল লিন্না-ছি ওয়াআমনাওঁ ওয়াত্তাখিযূ মিম্মাকা-মি ইবরা-হীমা মুসাল্লাওঁ ওয়া‘আহিদনা ইলা ইবরা-হীমা ওয়াইছমা-‘ঈলা আন তাহহিরা বাইতিয়া লিত্তাইফীনা ওয়াল ‘আ-কিফীনা ওয়াররুক্কা‘ইছছুজূদ।
وَإِذْ جَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةً لِّلنَّاسِ وَأَمْناً وَاتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
১২৬. আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম বলল, ‘হে আমার রব, আপনি একে নিরাপদ নগরী বানান এবং এর অধিবাসীদেরকে ফল-মুলের রিয্ক দিন যারা আল্লাহ ও আখিরাত দিবসে ঈমান এনেছে’। তিনি বললেন, ‘যে কুফরী করবে, তাকে আমি স্বল্প ভোগোপকরণ দিব। অতঃপর তাকে আগুনের আযাবে প্রবেশ করতে বাধ্য করব। আর তা কত মন্দ পরিণতি’।ওয়াইযকা-লা ইবরা-হীমু রাব্বিজ‘আল হা-যা-বালাদান আ-মিনাওঁ ওয়ারঝুকআহলাহূ মিনাছছামারা-তি মান আ-মানা মিনহুম বিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি কা-লা ওয়ামান কাফারা ফাইমাত্তি‘উহূ কালীলান ছুম্মা আদতাররুহূইলা-‘আযা-বিন্না-রি ওয়াবি’ছাল মাসীর।
وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَـَذَا بَلَدًا آمِنًا وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنَ الثَّمَرَاتِ مَنْ آمَنَ مِنْهُم بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ قَالَ وَمَن كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُ قَلِيلاً ثُمَّ أَضْطَرُّهُ إِلَى عَذَابِ النَّارِ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
১২৭. আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল কাবার ভিত্গুলো উঠাচ্ছিল (এবং বলছিল,) ‘হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’।ওয়া ইয ইয়ারফা‘উ ইবরা-হীমুল কাওয়া‘ইদা মিনাল বাইতি ওয়াইছমা-‘ঈলু রাব্বানা-তাকাব্বাল মিন্না-ইন্নাকা আনতাছ ছামী‘উল ‘আলীম।

وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
১২৮. ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত কওম বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।রাব্বানা-ওয়াজা‘আলনা-মুছলিমাইনি লাকা ওয়ামিন যুররিইইয়াতিনা-উম্মাতাম মুছলিমাতাল্লাকা ওয়া আরিনা-মানা-ছিকানা-ওয়াতুব ‘আলাইনা-ইন্নাকা আনতাত্তাওওয়া-বুর রাহীম।رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
১২৯. ‘হে আমাদের রব, তাদের মধ্যে তাদের থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যে তাদের প্রতি আপনার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করবে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবে আর তাদেরকে পবিত্র করবে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’।রাব্বানা ওয়াব‘আছফীহিম রাছূলাম মিনহুম ইয়াতলূ‘আলাইহিম আ-য়া-তিকা ওয়া ইউ‘আলিলমুহুমুল কিতা-বা ওয়াল হিকমাতা ওয়াইউঝাক্কীহিম ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল হাকীম।
رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولاً مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ إِنَّكَ أَنتَ العَزِيزُ الحَكِيمُ
১৩০. আর যে নিজকে নির্বোধ বানিয়েছে, সে ছাড়া কে ইবরাহীমের আদর্শ থেকে বিমুখ হতে পারে? আর অবশ্যই আমি তাকে দুনিয়াতে বেছে নিয়েছি এবং নিশ্চয় সে আখিরাতে নেককারদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।ওয়া মাইঁ ইয়ারগাবু‘আম মিল্লাতি ইবরা-হীমা ইল্লা-মান ছাফিহা নাফছাহু ওয়ালাকাদিসতাফাইনা-হু ফিদ্দুনইয়া-ওয়া ইন্নাহূ ফিল আ-খিরাতি লামিনাসসা-লিহীন।
وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَاهِيمَ إِلاَّ مَن سَفِهَ نَفْسَهُ وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ
১৩১. যখন তার রব তাকে বললেন, ‘তুমি আত্মসমর্পণ কর’। সে বলল, ‘আমি সকল সৃষ্টির রবের কাছে নিজকে সমর্পণ করলাম’।ইযকা-লা লাহূ রাব্বুহূ আছলিম কা-লা আছলামতু লিল্লাহি রাব্বিল ‘আ-লামীন।

إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
১৩২. আর এরই উপদেশ দিয়েছে ইবরাহীম তার সন্তানদেরকে এবং ইয়াকূবও (যে,) ‘হে আমার সন্তানেরা, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দীনকে চয়ন করেছেন। সুতরাং তোমরা মুসলিম হওয়া ছাড়া মারা যেয়ো না।ওয়া ওয়াসসা-বিহাইবরা-হীমু বানীহি ওয়াইয়া‘কূবু ইয়া-বানিইইয়া ইন্নাল্লা-হাসতাফা-লাকুমুদ্দীনা ফালা-তামূতুন্না ইল্লা-ওয়া আনতুম মুছলিমূন।وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلاَ تَمُوتُنَّ إَلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ
১৩৩. নাকি তোমরা সাক্ষী ছিলে, যখন ইয়াকূবের নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়েছিল? যখন সে তার সন্তানদেরকে বলল, ‘আমার পর তোমরা কার ইবাদাত করবে’? তারা বলল, ‘আমরা ইবাদাত করব আপনার ইলাহের, আপনার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের ইলাহের, যিনি এক ইলাহ। আর আমরা তাঁরই অনুগত’।আম কুনতুম শুহাদাআ ইযহাদারা ইয়া‘কূবাল মাওতু ইযকা-লা লিবানীহি মাতা‘বুদূ না মিম বা‘দী কা-লূনা‘বুদু ইলা-হাকা ওয়া ইলা-হা আ-বাইকা ইবরা-হীমা ওয়া ইছমা-‘ঈলা ওয়াইছহা-কা ইলা-হাওঁ ওয়া-হিদাওঁ ওয়ানাহনু লাহূ মুছলিমূন।
أَمْ كُنتُمْ شُهَدَاء إِذْ حَضَرَ يَعْقُوبَ الْمَوْتُ إِذْ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعْبُدُونَ مِن بَعْدِي قَالُواْ نَعْبُدُ إِلَـهَكَ وَإِلَـهَ آبَائِكَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِلَـهًا وَاحِدًا وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
১৩৪. সেটা এমন এক উম্মত যা বিগত হয়েছে। তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের জন্যই, আর তোমরা যা অর্জন করেছ তা তোমাদের জন্যই। আর তারা যা করত সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না।তিলকা উম্মাতুন কাদ খালাত লাহা-মা-কাছাবাত ওয়া লাকুম মা-কাছাবতুম ওয়ালা-তুছআলূনা ‘আম্মা-কা-নূইয়া‘মালূন।

تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ وَلاَ تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ
১৩৫. আর তারা বলে, ‘তোমরা ইয়াহূদী কিংবা নাসারা হয়ে যাও, হিদায়াত পেয়ে যাবে’। বল, ‘বরং আমরা ইবরাহীমের মিলাতের অনুসরণ করি, যে একনিষ্ঠ ছিল এবং যে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।ওয়া কা-লূ কূনূ হূদান আও নাসা-রা তাহতাদূ কূল বাল মিল্লাতা ইবরা-হীমা হানীফাওঁ ওয়ামা-কা-না মিনাল মুশরিকীন।وَقَالُواْ كُونُواْ هُودًا أَوْ نَصَارَى تَهْتَدُواْ قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
১৩৬. তোমরা বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা নাযিল করা হয়েছে আমাদের উপর ও যা নাযিল করা হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানদের উপর আর যা প্রদান করা হয়েছে মূসা ও ঈসাকে এবং যা প্রদান করা হয়েছে তাদের রবের পক্ষ হতে নবীগণকে। আমরা তাদের কারো মধ্যে তারতম্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত’।কুলূ আ-মান্না-বিল্লা-হি ওয়ামাউনঝিলা ইলাইনা-ওয়ামা-উনঝিলা ইলাইবরা-হীমা ওয়াইছমা-ঈলা ওয়াইছহা-কা ওয়াইয়া‘কূবা ওয়াল আছবাতিওয়ামা ঊতিইয়া মূছাওয়া‘ঈছা-ওয়ামা ঊতিইয়ান নাবিইয়ূনা মির রাব্বিহিম লা-নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মিনহুম ওয়ানাহনু লাহূ মুছলিমূন।قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
১৩৭. অতএব যদি তারা ঈমান আনে, তোমরা যেরূপে তার প্রতি ঈমান এনেছ, তবে অবশ্যই তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর যদি তারা বিমুখ হয় তাহলে তারা রয়েছে কেবল বিরোধিতায়, তাই তাদের বিপক্ষে তোমার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।ফাইন আ-মানূ বিমিছলি মাআ-মানতুম বিহী ফাকাদিহ তাদাও ওয়াইন তাওয়াল্লাও ফাইন্নামা-হুম ফী শিকা-কিন ফাছাইয়াকফীকাহুমুল্লা-হু ওয়াহুয়াছছামী‘উল ‘আলীম।
فَإِنْ آمَنُواْ بِمِثْلِ مَا آمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَواْ وَّإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
১৩৮. (বল,) আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করলাম। আর রং এর দিক দিয়ে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক সুন্দর? আর আমরা তাঁরই ইবাদাতকারী।সিবগাতাল্লা-হি ওয়ামান আহছানুমিনাল্লা-হি সিবগাতাওঁ ওয়ানাহনুলাহু ‘আবিদূ ন।
صِبْغَةَ اللّهِ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللّهِ صِبْغَةً وَنَحْنُ لَهُ عَابِدونَ
১৩৯. বল, ‘তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করছ অথচ তিনি আমাদের রব ও তোমাদের রব? আর আমাদের জন্য রয়েছে আমাদের আমলসমূহ এবং তোমাদের জন্য রয়েছে তোমাদের আমলসমূহ এবং আমরা তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ।কুলআতুহাজ্জূনানা-ফিল্লা-হি ওয়াহুওয়া রাব্বুনা-ওয়ারাব্বুকুম ওয়ালানাআ‘মা-লূনা-ওয়ালাকুম আ‘মা-লুকুম ওয়ানাহনূ লাহূ মুখলিসূন।
قُلْ أَتُحَآجُّونَنَا فِي اللّهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ وَلَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُخْلِصُونَ
১৪০. নাকি তোমরা বলছ, ‘নিশ্চয় ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানেরা ছিল ইয়াহূদী কিংবা নাসারা? বল, ‘তোমরা অধিক জ্ঞাত নাকি আল্লাহ’? আর তার চেয়ে অধিক যালিম কে, যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে যে সাক্ষ্য রয়েছে তা গোপন করে? আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন।আম তাকূলূনা ইন্না ইবরা-হীমা ওয়াইছমা-‘ঈলা ওয়াইছহা-কাওয়া ইয়া‘কূবা ওয়াল আছবা-তা কা-নূ হূদান আও নাসা-রা-কুল আআনতুম ‘আলামুআমিল্লা-হু ওয়ামান আজলামু মিম্মান কাতামা শাহা-দাতান ‘ইনদাহূ মিনাল্লা-হি ওয়ামাল্লা-হু বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطَ كَانُواْ هُودًا أَوْ نَصَارَى قُلْ أَأَنتُمْ أَعْلَمُ أَمِ اللّهُ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَتَمَ شَهَادَةً عِندَهُ مِنَ اللّهِ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
১৪১. সেটা ছিল একটি উম্মত, যারা বিগত হয়েছে। তারা যা অর্জন করেছে, তা তাদের জন্য আর তোমরা যা অর্জন করেছ তা তোমাদের জন্য। আর তারা যা করত, সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না।তিলকা উম্মাতুন কাদ খালাত লাহা-মা-কাছাবাত ওয়া লাকুম মা-কাছাব তুম ওয়ালা-তুছআলূনা ‘আম্মা-কা-নূ ইয়া‘মালূন।
تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ وَلاَ تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
১৪২. অচিরেই নির্বোধ লোকেরা বলবে, ‘কীসে তাদেরকে তাদের কিবলা থেকে ফিরাল, যার উপর তারা ছিল?’ বল, ‘পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে চান সোজা পথ দেখান।’ছাইয়াকূলুছ ছুফাহাউ মিনান্না-ছি মা-ওয়াল্লা-হুম ‘আন কিবলাতিহিমুল্লাতী কা-নূ ‘আলাইহা-কুল লিল্লা-হিল মাশরিকু ওয়াল মাগরিবু ইয়াহদী মাইঁ ইয়াশাউ ইলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।سَيَقُولُ السُّفَهَاء مِنَ النَّاسِ مَا وَلاَّهُمْ عَن قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُواْ عَلَيْهَا قُل لِّلّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَن يَشَاء إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
১৪৩. আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত বানিয়েছি, যাতে তোমরা মানুষের উপর সাক্ষী হও এবং রাসূল সাক্ষী হন তোমাদের উপর। আর যে কিবলার উপর তুমি ছিলে, তাকে কেবল এ জন্যই নির্ধারণ করেছিলাম, যাতে আমি জেনে নেই যে, কে রাসূলকে অনুসরণ করে এবং কে তার পেছনে ফিরে যায়। যদিও তা অতি কঠিন (অন্যদের কাছে) তাদের ছাড়া যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত করেছেন এবং আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, পরম দয়ালু।ওয়া কাযা-লিকা জা‘আলনা-কুম উম্মাতাওঁ ওয়াছাতাল লিতাকূনূ শুহাদাআ ‘আলান্না-ছি ওয়া ইয়াকূনার রাছূলু‘আলাইকুম শাহীদাওঁ ওয়ামা-জা‘আলনাল কিবলাতাল্লাতী কুনতা ‘আলাইহা ইল্লা-লিনা‘লামা মাইঁ ইয়াত্তাবি‘উররাছূলা মিম্মাইঁ ইয়ানকালিবু‘আলা-‘আকিবাইহি ওয়া ইন কা-নাত লাকাবীরাতান ইল্লা-‘আলাল্লাযীনা হাদাল্লা-হু ওয়ামা-কা-নাল্লাহু লিইউদী‘আ ঈমা-নাকুম ইন্নাল্লা-হা বিন্না-ছি লারাঊফুররাহীম।وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُواْ شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا وَمَا جَعَلْنَا الْقِبْلَةَ الَّتِي كُنتَ عَلَيْهَا إِلاَّ لِنَعْلَمَ مَن يَتَّبِعُ الرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَى عَقِبَيْهِ وَإِن كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلاَّ عَلَى الَّذِينَ هَدَى اللّهُ وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللّهَ بِالنَّاسِ لَرَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
১৪৪. আকাশের দিকে বার বার তোমার মুখ ফিরানো আমি অবশ্যই দেখছি। অতএব আমি অবশ্যই তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরাব, যা তুমি পছন্দ কর। সুতরাং তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকেই তোমাদের চেহারা ফিরাও। আর নিশ্চয় যারা কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা অবশ্যই জানে যে, তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং তারা যা করে, সে ব্যাপারে আল্লাহ গাফিল নন।কাদ নারা-তাকাল্লুবা ওয়াজহিকা ফিছছামাই ফালানুওয়ালিলয়ান্নাকা কিবলাতান তারদাহা-ফাওয়ালিল ওয়াজহাকা শাতরাল মাছজিদিল হারা-মি ওয়া হাইছুমা-কুনতুম ফাওয়াললূ উজূহাকুম শাতরাহূ ওয়া ইন্নাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা লাইয়া‘লামূনা আন্নাহুল হাক্কুমির রাব্বিহিম ওয়ামাল্লা-হু বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-ইয়া‘মালূন।قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاء فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّواْ وُجُوِهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ
১৪৫. আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তুমি যদি তাদের নিকট সব নিদর্শন নিয়ে আস, তারা তোমার কিবলার অনুসরণ করবে না আর তুমিও তাদের কিবলার অনুসরণকারী নও এবং তারা একে অপরের কিবলার অনুসরণকারী নয়। আর যদি তুমি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কর তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর, তবে নিশ্চয় তুমি তখন যালিমদের অন্তর্ভুক্ত।ওয়ালা ইন আতাইতাল্লাযীনা ঊতূল কিতা-বা বিকুল্লি আ-য়াতিম মা-তাবি‘ঊ কিবলাতাকা ওয়ামা আনতা বিতা-বি‘ইন কিবলাতাহুম ওয়ামা-বা‘দুহুম বিতা-বি‘ইন কিবলাতা বা‘দিওঁ ওয়ালাইনিত্তাবা‘তা আহওয়াআহুম মিম বা‘দি মা-জাআকা মিনাল ‘ইলমি ইন্নাকা ইযাল্লামিনাজ্জা-লিমীন।وَلَئِنْ أَتَيْتَ الَّذِينَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ بِكُلِّ آيَةٍ مَّا تَبِعُواْ قِبْلَتَكَ وَمَا أَنتَ بِتَابِعٍ قِبْلَتَهُمْ وَمَا بَعْضُهُم بِتَابِعٍ قِبْلَةَ بَعْضٍ وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءهُم مِّن بَعْدِ مَا جَاءكَ مِنَ الْعِلْمِ إِنَّكَ إِذَاً لَّمِنَ الظَّالِمِينَ
১৪৬. যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি, তারা তাকে চিনে, যেমন চিনে তাদের সন্তানদেরকে। আর নিশ্চয় তাদের মধ্য থেকে একটি দল সত্যকে অবশ্যই গোপন করে, অথচ তারা জানে।আল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল কিতা-বা ইয়া‘রিফূনাহূ কামা ইয়া‘রিফূনা আবনাূআহুম ওয়া ইন্না ফারীকাম মিনহুম লাইয়াকতুমূনাল হাক্কা ওয়াহুম ইয়া‘লামূন।الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْرِفُونَهُ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَاءهُمْ وَإِنَّ فَرِيقاً مِّنْهُمْ لَيَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
১৪৭. সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহ পোষণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।আলহাক্কু মির রাব্বিকা ফালা-তাকূনান্না মিনাল মুমতারীন।الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلاَ تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
১৪৮. আর প্রত্যেকের রয়েছে একটি দিক, যেদিকে সে চেহারা ফিরায়। সুতরাং তোমরা কল্যাণকর্মে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সবাইকে নিয়ে আসবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।ওয়া লিকুল্লিওঁ বিজহাতুন হুওয়া মুওয়াললীহা-ফাছতাবিকূল খাইরা-তি আইনা মা-তাকূনূ ইয়া’তি বিকুমুল্লা-হু জামী‘আন ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا فَاسْتَبِقُواْ الْخَيْرَاتِ أَيْنَ مَا تَكُونُواْ يَأْتِ بِكُمُ اللّهُ جَمِيعًا إِنَّ اللّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
১৪৯. আর তুমি যেখান থেকেই বের হও, তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও। আর নিশ্চয় তা সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা থেকে গাফিল নন।ওয়ামিন হাইছু খারাজতা ফাওয়ালিল ওয়াজহাকা শাতরাল মাছজিদিল হারা-মি ওয়া ইন্নাহূলালহাক্কুমির রাব্বিকা ওয়ামাল্লা-হু বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِنَّهُ لَلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
১৫০. আর তুমি যেখান থেকেই বের হও, তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকে তোমাদের চেহারা ফিরাও, যাতে তোমাদের বিপক্ষে মানুষের বিতর্ক করার কিছু না থাকে। তবে তাদের মধ্য থেকে যারা যুলম করেছে, তারা ছাড়া। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর। আর যাতে আমি আমার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে পারি এবং যাতে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও।ওয়ামিন হাইছু খারাজতা ফাওয়ালিল ওয়াজহাকা শাতরাল মাছজিদিল হারা-মি ওয়া হাইছুমা-কুনতুম ফাওয়াললূ উজূহাকুম শাতরাহূ লিআল্লা-ইয়াকূনা লিন্না-ছি ‘আলাইকুম হুজ্জাতুন ইল্লাল্লাযীনা জালামূ মিনহুম ফালা-তাখশাওহুম ওয়াখশাওনী ওয়ালিউতিম্মা নি‘মাতী ‘আলাইকুম ওয়া লা‘আল্লাকুম তাহতাদূ ন।وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّواْ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ لِئَلاَّ يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَيْكُمْ حُجَّةٌ إِلاَّ الَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنْهُمْ فَلاَ تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِي وَلأُتِمَّ نِعْمَتِي عَلَيْكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
১৫১. যেভাবে আমি তোমাদের মধ্যে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি তোমাদের মধ্য থেকে, যে তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে, তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। আর তোমাদেরকে শিক্ষা দেয় এমন কিছু যা তোমরা জানতে না।কামাআরছালনা-ফীকুম রাছূলাম মিনকুম ইয়াতলূ‘আলাইকুম আ-য়া-তিনা-ওয়া ইউঝাক্কীকুম ওয়া ইউ‘আলিলমুকুমুল কিতা-বা ওয়াল হিকমাতা ওয়া ইউ‘আলিলমুকুম মা-লাম তাকূনূতা‘লামূন।كَمَا أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولاً مِّنكُمْ يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِنَا وَيُزَكِّيكُمْ وَيُعَلِّمُكُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمْ تَكُونُواْ تَعْلَمُونَ
১৫২. অতএব, তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর আমার শোকর আদায় কর, আমার সাথে কুফরী করো না।ফাযকুরূনী আযকুরকুম ওয়াশকুরূলী ওয়ালা-তাকফুরূন।فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُواْ لِي وَلاَ تَكْفُرُونِ
১৫৩. হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুছতা‘ঈনূ বিসসাবরি ওয়াসসালা-তি; ইন্নাল্লা-হা মা‘আসসাবিরীন।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ اللّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
১৫৪. যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত; কিন্তু তোমরা অনুভব করতে পার না।ওয়ালা-তাকূলূ লিমাইঁ ইউকতালুফী ছাবীলিল্লা-হি আমওয়া-তুন বাল আহইয়াউওঁ ওয়ালা-কিল্লা-তাশ‘উরূন।وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ
১৫৫. আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।ওয়ালানাবলুওয়ান্নাকুম বিশাইয়িম মিনাল খাওফি ওয়ালজূ‘ই ওয়ানাকসিম মিনাল আমওয়া-লি ওয়াল আনফুছি ওয়াছছামারা-তি ওয়া বাশশিরিসসা-বিরীন।وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوفْ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الأَمَوَالِ وَالأنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
১৫৬. যারা, তাদেরকে যখন বিপদ আক্রান্ত করে তখন বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।আল্লাযীনা ইযাআসা-বাতহুম মুসীবাতুন কা-লূইন্না-লিল্লা-হি ওয়াইন্না-ইলাইহি রাজি‘ঊন।الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
১৫৭. তাদের উপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।উলাইকা ‘আলাইহিম সালাওয়া-তুম মির রাব্বিহিম ওয়ারাহমাতুওঁ ওয়া উলাইকা হুমুল মুহতাদূ ন।أُولَـئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
১৫৮. নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে বাইতুল্লাহর হজ্জ করবে কিংবা উমরা করবে তার কোন অপরাধ হবে না যে, সে এগুলোর তাওয়াফ করবে। আর যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কল্যাণ করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ভালো কাজের পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।ইন্নাসসাফা-ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আ-ইরিল্লা-হি ফামান হাজ্জাল বাইতা আবি‘তামারা ফালা-জুনা-হা ‘আলাইহি আইঁ ইয়াত্তাওওয়াফা বিহিমা-ওয়ামান তাতাওওয়া‘আ খাইরান ফাইন্নাল্লা-হা শাকিরুন ‘আলীম।إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَآئِرِ اللّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ
১৫৯. নিশ্চয় যারা গোপন করে সু-স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ ও হিদায়াত যা আমি নাযিল করেছি, কিতাবে মানুষের জন্য তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করার পর, তাদেরকে আল্লাহ লা‘নত করেন এবং লা‘নতকারীগণও তাদেরকে লা‘নত করে।ইন্নাল্লাযীনা ইয়াকতুমূনা মা-আনঝালনা-মিনাল বাইয়িনা-তি ওয়াল হুদা-মিম বা‘দি মা-বাইয়ান্না-হু লিন্না-ছি ফিল কিতা-বি উলাইকা ইয়াল ‘আনুহুমুল্লা-হু ওয়া ইয়াল‘আনুহুমুল্লা-‘ইনূন।إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى مِن بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِي الْكِتَابِ أُولَـئِكَ يَلعَنُهُمُ اللّهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللَّاعِنُونَ
১৬০. তারা ছাড়া, যারা তাওবা করেছে, শুধরে নিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে। অতএব, আমি তাদের তাওবা কবূল করব। আর আমি তাওবা কবূলকারী, পরম দয়ালু।ইল্লাল্লাযীনা তা-বূ ওয়াআসলাহূওয়া বাইয়ানূ ফাউলাইকা আতূবু‘আলাইহিম ওয়া আনাত তাওওয়া-বুর রাহীম।إِلاَّ الَّذِينَ تَابُواْ وَأَصْلَحُواْ وَبَيَّنُواْ فَأُوْلَـئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْ وَأَنَا التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
১৬১. নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের উপর আল্লাহ, ফেরেশতাগণ ও সকল মানুষের লা’নত।ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ ওয়া মা-তূ ওয়াহুম কুফফা-রুন উলাইকা ‘আলাইহিম লা‘নাতুল্লা-হি ওয়াল মালাইকাতি ওয়ান্না-ছি আজমা‘ঈন।إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَمَاتُوا وَهُمْ كُفَّارٌ أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللّهِ وَالْمَلآئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
১৬২. তারা সেখানে স্থায়ী হবে। তাদের থেকে আযাব হালকা করা হবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।খা-লিদীনা ফীহা-লা-ইউখাফফাফু‘আনহুমুল ‘আযা-বুওয়ালা-হুম ইউনজারূন।خَالِدِينَ فِيهَا لاَ يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلاَ هُمْ يُنظَرُونَ
১৬৩. আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুল লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়ার রাহমা-নূর রাহীম।وَإِلَـهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
১৬৪. নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে, সে নৌকায় যা সমুদ্রে মানুষের জন্য কল্যাণকর বস্তু নিয়ে চলে এবং আসমান থেকে আল্লাহ যে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন অতঃপর তার মাধ্যমে মরে যাওয়ার পর যমীনকে জীবিত করেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সকল প্রকার বিচরণশীল প্রাণী ও বাতাসের পরিবর্তনে এবং আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী স্থানে নিয়োজিত মেঘমালায় রয়েছে নিদর্শনসমূহ এমন কওমের জন্য, যারা বিবেকবান।ইন্না ফী খালকিছছামা-ওয়াতি ওয়াল আর দিওয়াখতিলা-ফিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ওয়াল ফুলকিল্লাতী তাজরী ফিল বাহরি বিমা-ইয়ানফা‘উন্না-ছা ওয়ামাআনঝালাল্লা-হু মিনাছছামাই মিম্মাইন ফাআহইয়া-বিহিল আরদা বা‘দা মাওতিহা ওয়া বাছছা ফীহামিন কুল্লি দাব্বাতিওঁ ওয়া তাসরীফির রিয়া-হিওয়াছছাহা-বিল মুছাখখারি বাইনাছ ছামাই ওয়াল আরদিলাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِي تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِمَا يَنفَعُ النَّاسَ وَمَا أَنزَلَ اللّهُ مِنَ السَّمَاء مِن مَّاء فَأَحْيَا بِهِ الأرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِيهَا مِن كُلِّ دَآبَّةٍ وَتَصْرِيفِ الرِّيَاحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخِّرِ بَيْنَ السَّمَاء وَالأَرْضِ لآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
১৬৫. আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালবাসার মত ভালবাসে। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহর জন্য ভালবাসায় দৃঢ়তর। আর যদি যালিমগণ দেখে যখন তারা আযাব দেখবে যে, নিশ্চয় সকল শক্তি আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আল্লাহ আযাব দানে কঠোর।ওয়া মিনান্নাছি মাইঁ ইয়াত্তাখিযুমিন দূ নিল্লা-হি আনদা-দাই ইউহিববূনাহুম কাহুব্বিল্লা-হি ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ আশাদ্দু হুব্বাল লিল্লা-হি ওয়া লাও ইয়ারাল্লাযীনা জালামূ ইয ইয়ারাওনাল ‘আযা-বা আন্নাল কুওওয়াতা লিল্লা-হি জামী‘আও ওয়া আন্নাল্লাহা শাদীদুল ‘আযা-ব।وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللّهِ أَندَاداً يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللّهِ وَالَّذِينَ آمَنُواْ أَشَدُّ حُبًّا لِّلّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُواْ إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلّهِ جَمِيعاً وَأَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ
১৬৬. যখন, যাদেরকে অনুসরণ করা হয়েছে, তারা অনুসারীদের থেকে আলাদা হয়ে যাবে এবং তারা আযাব দেখতে পাবে। আর তাদের সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।ইয তাবাররা আল্লাযীনাত্তুবি‘ঊ মিনাল্লাযীনাত্তাবা‘ঊ ওয়ারাআউল ‘আযা-বা ওয়াতাকাত্তা‘আত বিহিমুল আছবা-ব।إِذْ تَبَرَّأَ الَّذِينَ اتُّبِعُواْ مِنَ الَّذِينَ اتَّبَعُواْ وَرَأَوُاْ الْعَذَابَ وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ الأَسْبَابُ
১৬৭. আর যারা অনুসরণ করেছে, তারা বলবে, ‘যদি আমাদের ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তাহলে আমরা তাদের থেকে আলাদা হয়ে যেতাম, যেভাবে তারা আলাদা হয়ে গিয়েছে’। এভাবে আল্লাহ তাদেরকে তাদের আমলসমূহ দেখাবেন, তাদের জন্য আক্ষেপস্বরূপ। আর তারা আগুন থেকে বের হতে পারবে না।ওয়া কা-লাল্লাযীনাত্তাবা‘ঊ লাও আন্না লানা-কাররাতান ফানাতাবাররাআ মিনহুম কামা-তাবাররাঊ মিন্না-কাযা-লিকা ইউরীহিমুল্লা-হু আ‘মা-লাহুম হাছারা-তিন ‘আলাইহিম; ওয়ামা-হুম বিখা-রিজীনা মিনান্না-র।وَقَالَ الَّذِينَ اتَّبَعُواْ لَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَتَبَرَّأَ مِنْهُمْ كَمَا تَبَرَّؤُواْ مِنَّا كَذَلِكَ يُرِيهِمُ اللّهُ أَعْمَالَهُمْ حَسَرَاتٍ عَلَيْهِمْ وَمَا هُم بِخَارِجِينَ مِنَ النَّارِ
১৬৮. হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্র।ইয়া আইয়ূহান্না-ছু কুলূ মিম্মা-ফিলআরদি হালা-লান তাইয়িাবাওঁ ওয়ালা-তাত্তাবি‘ঊ খুতুওয়া-তিশশাইতা-নি ইন্নাহু লাকুম ‘আদুওউম্মুম মুবীন।يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُواْ مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلاَلاً طَيِّباً وَلاَ تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
১৬৯. নিশ্চয় সে তোমাদেরকে আদেশ দেয় মন্দ ও অশ্লীল কাজের এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলতে, যা তোমরা জান না।ইন্নামা-ইয়া’মুরুকুম বিছছূ ই ওয়াল ফাহশা-ই ওয়া আনতাকূলূ‘আলাল্লা-হি মা-লা-তা‘লামূন।إِنَّمَا يَأْمُرُكُمْ بِالسُّوءِ وَالْفَحْشَاء وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ
১৭০. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা অনুসরণ কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন’, তারা বলে, ‘বরং আমরা অনুসরণ করব আমাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে যার উপর পেয়েছি’। যদি তাদের পিতৃ-পুরুষরা কিছু না বুঝে এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত না হয়, তাহলেও কি?ওয়াইযা-কীলা লাহুমুত্তাবি‘ঊ মাআনঝালাল্লা-হু কা-লু বাল নাত্তাবি‘ঊ মা আলফাইনা ‘আলাইহি আ-বাআনা-আওয়ালাও কা-না আ-বাউহুম লা-ইয়া‘কিলূনা শাইআওঁ ওয়ালা-ইয়াহতাদূন।وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنزَلَ اللّهُ قَالُواْ بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئاً وَلاَ يَهْتَدُونَ
১৭১. আর যারা কুফরী করেছে তাদের উদাহরণ তার মত, যে এমন কিছুর জন্য চিৎকার করছে, হাঁক-ডাক ছাড়া যে কিছু শোনে না। তারা বধির, বোবা, অন্ধ। তাই তারা বুঝে না।ওয়া মাছালুল্লাযীনা কাফারূ কামাছালিলযী ইয়ান‘ইকু বিমা-লা-ইয়াছমা‘ঊ ইল্লা-দু‘আআওঁ ওয়া নিদাআন সুম্মুম বুকমুন ‘উমইউন ফাহুম লা-ইয়া‘কিলূন।وَمَثَلُ الَّذِينَ كَفَرُواْ كَمَثَلِ الَّذِي يَنْعِقُ بِمَا لاَ يَسْمَعُ إِلاَّ دُعَاء وَنِدَاء صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ
১৭২. হে মুমিনগণ, আহার কর আমি তোমাদেরকে যে হালাল রিযক দিয়েছি তা থেকে এবং আল্লাহর জন্য শোকর কর, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদাত কর।ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ কুলূ মিন তাইয়িবা-তি মা-রাযাকনা-কুম ওয়াশকুরূ লিল্লা-হি ইন কুনতুম ইয়্যা-হু তা‘বুদূন।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُلُواْ مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُواْ لِلّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
১৭৩. নিশ্চয় তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশ্ত এবং যা গায়রুল্লার নামে যবেহ করা হয়েছে। সুতরাং যে বাধ্য হবে, অবাধ্য বা সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে, তাহলে তার কোন পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।ইন্নামা-হাররামা ‘আলাইকুমুল মাইতাতা ওয়াদ্দামা ওয়া লাহমাল খিনঝীরি ওয়ামা উহিল্লা বিহী লিগাইরিল্লা-হি ফামানিদতুররা গাইরা বা-গিওঁ ওয়ালা-‘আ-দিন ফালা-ইছমা ‘আলাইহি ইনাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلاَ عَادٍ فَلا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
১৭৪. নিশ্চয় যারা গোপন করে যে কিতাব আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং এর বিনিময়ে সামান্য মূল্য গ্রহণ করে, তারা শুধু আগুনই তাদের উদরে পুরে। আর আল্লাহ কিয়ামতের দিনে তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।ইন্নাল্লাযীনা ইয়াকতুমূনা মা আনঝালাল্লা-হু মিনাল কিতা-বি ওয়া ইয়াশতারূনা বিহী ছামানান কালীলান উলাইকা মা-ইয়া’কুলূনা ফী বুতূনিহিম ইল্লান্না-রা ওয়ালাইউকালিলমুহুমুল্লা-হু ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়ালা-ইউঝাক্কীহিম ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلَ اللّهُ مِنَ الْكِتَابِ وَيَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنًا قَلِيلاً أُولَـئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ إِلاَّ النَّارَ وَلاَ يُكَلِّمُهُمُ اللّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
১৭৫. তারাই হিদায়াতের পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা এবং মাগফিরাতের পরিবর্তে আযাব ক্রয় করেছে। আগুনের উপর তারা কতই না ধৈর্যশীল।উলাইকাল্লাযীনাশতারাউদ্দালা-লাতা বিলহুদা-ওয়াল ‘আযা-বা বিলমাগফিরাতি ফামাআসবারাহুম ‘আলান্না-র।أُولَـئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُاْ الضَّلاَلَةَ بِالْهُدَى وَالْعَذَابَ بِالْمَغْفِرَةِ فَمَا أَصْبَرَهُمْ عَلَى النَّارِ
১৭৬. তা এই কারণে যে, আল্লাহ যথার্থরূপে কিতাব নাযিল করেছেন। আর নিশ্চয় যারা কিতাবে মতবিরোধ করেছে, তারা অবশ্যই সুদূর মতানৈক্যে রয়েছে।যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা নাঝঝলাল কিতা-বা বিলহাক্কিওয়া ইন্নাল্লাযীনাখ তালাফূ ফিল কিতা-বি লাফী শিকা-কিম বা‘ঈদ।ذَلِكَ بِأَنَّ اللّهَ نَزَّلَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ الَّذِينَ اخْتَلَفُواْ فِي الْكِتَابِ لَفِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ
১৭৭. ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা তোমাদের চেহারা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফিরাবে; বরং ভালো কাজ হল যে ঈমান আনে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি এবং যে সম্পদ প্রদান করে তার প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও নিকটাত্মীয়গণকে, ইয়াতীম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে এবং বন্দিমুক্তিতে এবং যে সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং যারা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করে, যারা ধৈর্যধারণ করে কষ্ট ও দুর্দশায় ও যুদ্ধের সময়ে। তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকী।লাইছাল বিররা আন তুওয়াললূ উজূহাকুম কিবালাল মাশরিকিওয়াল মাগরিবি ওয়ালা-কিন্নাল বিররা মান আ-মানা বিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়াল মালাইকাতি ওয়াল কিতা-বি ওয়ান্নাবিইয়ীনা ওয়া আ-তাল মা-লা ‘আলা-হুব্বিহী যাবিল কুরবা-ওয়াল ইয়াতামা-ওয়ালমাছা-কীনা ওয়াবনাছছাবীলি ওয়াছছাইলীনা ওয়াফিররিকা-বি ওয়া আকা-মাসসালা-তা ওয়া আ-তাঝঝাকা-তা ওয়ালমূফূনা বি‘আহদিহিম ইযা-‘আ-হাদূ ওয়াসসা-বিরীনা ফিল বা’ছাই ওয়াদ্দাররাই ওয়া হীনালবা’ছি উলাইকাল্লাযীনা সাদাকূওয়া উলাউকা হুমুল মুত্তাকূন।
لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّواْ وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَـكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْمَلآئِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّآئِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُواْ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاء والضَّرَّاء وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَـئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
১৭৮. হে মুমিনগণ, নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের উপর ‘কিসাস’ ফরয করা হয়েছে। স্বাধীনের বদলে স্বাধীন, দাসের বদলে দাস, নারীর বদলে নারী। তবে যাকে কিছুটা ক্ষমা করা হবে তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে, তাহলে সততার অনুসরণ করবে এবং সুন্দরভাবে তাকে আদায় করে দেবে। এটি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে হালকাকরণ ও রহমত। সুতরাং এরপর যে সীমালঙ্ঘন করবে, তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।ইয়াআইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূ কুতিবা ‘আলাইকুমুল কিসা-সু ফিলকাতলা- আলহুররু বিলহুররি ওয়াল ‘আবদু বিল‘আবদি ওয়াল উনছা-বিলউনছা-ফামান ‘উফিয়া লাহু মিন আখীহি শাইউন ফাত্তিবা-‘উম বিলমা‘রূফি ওয়া আদাউন ইলাইহি বিইহছানিন যা-লিকা তাখফীফুম মিররাব্বিকুম ওয়া রাহমাতুন ফামানি‘তাদা-বা‘দা যা-লিকা ফালাহু ‘আযা-বুন আলীম।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ وَالأُنثَى بِالأُنثَى فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاء إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ ذَلِكَ تَخْفِيفٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَرَحْمَةٌ فَمَنِ اعْتَدَى بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ
১৭৯. আর হে বিবেকসম্পন্নগণ, কিসাসে রয়েছে তোমাদের জন্য জীবন, আশা করা যায় তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে।ওয়ালাকুম ফিল কিসা-সি হায়া-তুঁই ইয়াঊলিল আলবা-বি লা‘আল্লাকুম তাত্তাকূন।وَلَكُمْ فِي الْقِصَاصِ حَيَاةٌ يَاْ أُولِيْ الأَلْبَابِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
১৮০. তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যে, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হবে, যদি সে কোন সম্পদ রেখে যায়, তবে পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের জন্য ন্যায়ভিত্তিক অসিয়ত করবে। এটি মুত্তাকীদের দায়িত্ব।কুতিবা ‘আলাইকুম ইযা-হাদারা আহাদাকুমুল মাওতু ইন তারাকা খাইরানিল ওয়াসিইইয়াতু লিলওয়া-লিদাইনি ওয়াল আকরাবীনা বিলমা‘রূফি হাক্কান ‘আলাল মুত্তাকীন।كُتِبَ عَلَيْكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ إِن تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالأقْرَبِينَ بِالْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى الْمُتَّقِينَ
১৮১. অতএব যে তা শ্রবণ করার পর পরিবর্তন করবে, তবে এর পাপ তাদের হবে, যারা তা পরিবর্তন করে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।ফামাম বাদ্দালাহু বা‘দা মা-ছামি‘আহূ ফাইন্নামা-ইছমুহূ ‘আলাল্লাযীনা ইউবাদ্দিলূনাহূ ইন্নাল্লা-হা ছামীউন ‘আলীম।فَمَن بَدَّلَهُ بَعْدَمَا سَمِعَهُ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى الَّذِينَ يُبَدِّلُونَهُ إِنَّ اللّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
১৮২. তবে কেউ যদি অসিয়তকারীর পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্ব ও পাপের আশঙ্কা করে, অতঃপর তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, তাহলে তার কোন পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।ফামান খা-ফা মিম্মূছিন জানাফান আও ইছমান ফাআসলাহা বাইনাহুম ফালা ইছমা ‘আলাইহি ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।فَمَنْ خَافَ مِن مُّوصٍ جَنَفًا أَوْ إِثْمًا فَأَصْلَحَ بَيْنَهُمْ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
১৮৩. হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ কুতিবা ‘আলাইকুমসসিয়া-মু কামা-কুতিবা ‘আলাল্লাযীনা মিন কাবলিকুম লা‘আল্লাকুম তাত্তাকূন।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
১৮৪. নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া-একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান।আইয়া-মাম্মা‘দূদা-তিন ফামান কা-না মিনকুম মারীদান আও ‘আলা-ছাফারিন ফা‘ইদ্দাতুম মিন আইয়া-মিন উখারা ওয়া ‘আলাল্লাযীনা ইউতীকূনাহূ ফিদইয়াতুন তা‘আ-মু মিছকীনিন ফামান তাতাওওয়া‘আ খাইরান ফাহুওয়া খাইরুল্লাহূ ওয়া আন তাসূমূ খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন।أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ وَأَن تَصُومُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
১৮৫. রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।শাহরু রামাদা-নাল্লাযীউনঝিলা ফীহিল কুরআ-নু হুদাল লিন্না-ছি ওয়া বাইয়িনা-তিম মিনাল হুদা-ওয়াল ফুরকা-নি ফামান শাহিদা মিনকুমুশশাহরা ফালইয়াসুমহু ওয়া মান কা-না মারীদান আও ‘আলা-ছাফারিন ফা‘ইদ্দাতুম মিন আইয়া-মিন উখারা-ইউরীদুল্লা-হু বিকুমুল ইউছরা ওয়ালা-ইউরীদুবিকুমুল ‘উছরা ওয়ালিতুকমিলুল ‘ইদ্দাতা ওয়া লিতুকাব্বিরুল্লা-হা ‘আলা-মা-হাদা-কুম ওয়া লা‘আল্লাকুম তাশকরূন।شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
১৮৬. আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে।ওয়া ইযা-ছাআলাকা ‘ইবা-দী ‘আন্নী ফাইন্নী কারীবুন উজীবুদা‘ওয়াতাদ্দা-‘ই ইযা-দা‘আ-নি ফালইয়াছতাজীবূলী ওয়াল ইউ’মিনূ বী লা‘আল্লাহুম ইয়ারশুদূন।وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُواْ لِي وَلْيُؤْمِنُواْ بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
১৮৭. সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা নিজদের সাথে খিয়ানত করছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদের তাওবা কবূল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান কর। আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মাসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য স্পষ্ট করেন যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।উহিল্লা লাকুম লাইলাতাসসিয়া-মিররাফাছুইলা-নিছাইকুম হুন্না লিবা-ছুল্লাকুম ওয়া আনতুম লিবা-ছুল লাহুন্না ‘আলিমাল্লা-হু আন্নাকুম কুনতুম তাখতা-নূনা আনফুছাকুম ফাতাবা ‘আলাইকুম ওয়া ‘আফা- ‘আনকুম ফালআ-না বা-শিরূহুন্না ওয়াবতাগূ মা-কাতাবাল্লা-হু লাকুম ওয়া কুলূ ওয়াশরাবূ হাত্তা-ইয়াতাবাইয়ানা লাকুমুল খাইতুল আবইয়াদুমিনাল খাইতিল আছওয়াদি মিনাল ফাজরি ছু ম্মা আতিম্মুস সিয়া-মা ইলাল্লাইলি ওয়ালাতুবা-শিরূহুন্না ওয়া আনতুম ‘আ-কিফূনা ফিল মাছা-জিদি তিলকা হুদূদুল্লা-হি ফালাতাকরাবূহা-কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু আ-য়া-তিহী লিন্না-ছি লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূন।أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ عَلِمَ اللّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ فَالآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُواْ مَا كَتَبَ اللّهُ لَكُمْ وَكُلُواْ وَاشْرَبُواْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّواْ الصِّيَامَ إِلَى الَّليْلِ وَلاَ تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ تِلْكَ حُدُودُ اللّهِ فَلاَ تَقْرَبُوهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ
১৮৮. আর তোমরা নিজদের মধ্যে তোমাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং তা বিচারকদেরকে (ঘুষ হিসেবে) প্রদান করো না। যাতে মানুষের সম্পদের কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার।ওয়ালা-তা’কূলূআমওয়া-লাকুম বাইনাকুম বিলবা-তিলি ওয়াতুদ লূবিহাইলাল হুক্কা-মি লিতা’কুলূ ফারীকাম মিন আমওয়া-লিন্না-ছি বিলইছমি ওয়া আনতুম তা‘লামুন।
وَلاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُواْ بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُواْ فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
১৮৯. তারা তোমাকে নতুন চাঁদসমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘তা মানুষের ও হজ্জের জন্য সময় নির্ধারক’। আর ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা পেছন দিক দিয়ে গৃহে প্রবেশ করবে। কিন্তু ভাল কাজ হল, যে তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা গৃহসমূহে তার দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও।ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল আহিল্লাতি কুল হিয়া মাওয়া-কীতু লিন্না-ছি ওয়ালহাজ্জি ওয়া লাইছাল বিররু বিআন তা’তুল বুয়ূতা মিন জুহুরিহা-ওয়ালা-কিন্নালবিররা মানিত্তাকা-ওয়া’তুল বুয়ূতা মিন আবওয়া-বিহা-ওয়াত্তাকুল্লা-হা লা‘আল্লাকুম তুফলিহুন।يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ وَلَيْسَ الْبِرُّ بِأَنْ تَأْتُوْاْ الْبُيُوتَ مِن ظُهُورِهَا وَلَـكِنَّ الْبِرَّ مَنِ اتَّقَى وَأْتُواْ الْبُيُوتَ مِنْ أَبْوَابِهَا وَاتَّقُواْ اللّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
১৯০. আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।ওয়া কা-তিলূ ফী ছাবীলিল্লা-হিল্লাযীনা ইউকা-তিলূনাকুম ওয়ালা-তা‘তাদূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন।وَقَاتِلُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلاَ تَعْتَدُواْ إِنَّ اللّهَ لاَ يُحِبِّ الْمُعْتَدِينَ
১৯১. আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে তাদেরকে পাও এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করেছিল। আর ফিতনা হত্যার চেয়ে কঠিনতর এবং তোমরা মাসজিদুল হারামের নিকট তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সেখানে লড়াই করে। অতঃপর তারা যদি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তবে তাদেরকে হত্যা কর। এটাই কাফিরদের প্রতিদান।ওয়াকতুলূহুম হাইছু ছাকিফতুমূহুম ওয়া আখরিজূহুম মিন হাইছুআখরাজূকুম ওয়াল ফিতনাতু আশাদ্দু মিনাল কাতলি ওয়ালা-তুকা-তিলূহুম ‘ইনদাল মাছজিদিল হারা-মি হাত্তা-ইউকা-তিলূকুম ফীহি ফাইন কা-তালূকুম ফাকতুলূহুম কাযা-লিকা জাঝাউল কা-ফিরীন।وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ وَأَخْرِجُوهُم مِّنْ حَيْثُ أَخْرَجُوكُمْ وَالْفِتْنَةُ أَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ وَلاَ تُقَاتِلُوهُمْ عِندَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ حَتَّى يُقَاتِلُوكُمْ فِيهِ فَإِن قَاتَلُوكُمْ فَاقْتُلُوهُمْ كَذَلِكَ جَزَاء الْكَافِرِينَ
১৯২. তবে যদি তারা বিরত হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।ফাইনিন তাহাও ফাইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।فَإِنِ انتَهَوْاْ فَإِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
১৯৩. আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যে পর্যন্ত না ফিতনা খতম হয়ে যায় এবং দীন আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। সুতরাং তারা যদি বিরত হয়, তাহলে যালিমরা ছাড়া (কারো উপর) কোন কঠোরতা নেই।ওয়া কা-তিলূহুম হাত্তা-লা-তাকূনা ফিতনাতুওঁ ওয়া ইয়াকূনাদ্দীনু লিল্লা-হি ফাইনিন তাহাও ফালা-‘উদওয়া-না ইল্লা-‘আলাজ্জা-লিমীন।وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلّهِ فَإِنِ انتَهَواْ فَلاَ عُدْوَانَ إِلاَّ عَلَى الظَّالِمِينَ
১৯৪. হারাম মাস হারাম মাসের বদলে এবং পবিত্র বিষয়সমূহ কিসাসের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে তোমাদের উপর আক্রমণ করেছে, তোমরা তার উপর আক্রমণ কর, যেরূপ সে তোমাদের উপর আক্রমণ করেছে। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন।আশশাহরুল হারা-মু বিশশাহরিল হারা-মি ওয়াল হুরুমা-তুকিসা-সুন ফামানি‘তাদা‘আলাইকুম ফা‘তাদূ ‘আলাইহি বিমিছলি মা‘তাদা-‘আলাইকুম ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামু আন্নাল্লা-হা মা‘আল মুত্তাকীন।الشَّهْرُ الْحَرَامُ بِالشَّهْرِ الْحَرَامِ وَالْحُرُمَاتُ قِصَاصٌ فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُواْ عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ
১৯৫. আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় কর এবং নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। আর সুকর্ম কর। নিশ্চয় আল্লাহ সুকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন।ওয়া আনফিকূফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়ালা-তুলকূবিআইদীকুম ইলাত্তাহলুকাতি ওয়া আহছিনূ ইন্নাল্লা-হা ইউহিব্বুল মুহছিনীন।وَأَنفِقُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَلاَ تُلْقُواْ بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوَاْ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
১৯৬. আর হজ ও উমরা আল্লাহর জন্য পূর্ণ কর। অতঃপর যদি তোমরা আটকে পড় তবে যে পশু সহজ হবে (তা যবেহ কর)। আর তোমরা তোমাদের মাথা মুণ্ডন করো না, যতক্ষণ না পশু তার যথাস্থানে পৌঁছে। আর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ কিংবা তার মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে তবে সিয়াম কিংবা সদাকা অথবা পশু যবেহ এর মাধ্যমে ফিদয়া দেবে। আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যে ব্যক্তি উমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু সহজ হবে, তা যবেহ করবে। কিন্তু যে তা পাবে না তাকে হজে তিন দিন এবং যখন তোমরা ফিরে যাবে, তখন সাত দিন সিয়াম পালন করবে। এই হল পূর্ণ দশ। এই বিধান তার জন্য, যার পরিবার মাসজিদুল হারামের অধিবাসী নয়। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ আযাবদানে কঠোর।ওয়া আতিম্মুল হাজ্জা ওয়াল ‘উমরাতা লিল্লা-হি ফাইন উহসিরতুম ফামাছ তাইছারা মিনাল হাদয়ি ওয়ালা-তাহলিকূরুঊছাকুম হাত্তা-ইয়াবলুগাল হাদইউ মাহিল্লা-হূ ফামান কা-না মিনকুম মারীদান আও বিহীআযাম মির রা’ছিহী ফাফিদইয়াতুম মিন সিয়া-মিন আও সাদাকাতিন আও নুছুকিন ফাইযা-আমিনতুম ফামান তামাত্তা‘আ বিল ‘উমরাতি ইলাল হাজ্জি ফামাছতাইছারা মিনাল হাদয়ি ফামাল্লাম ইয়াজিদ ফাসিয়া-মু ছালা-ছাতি আইয়া-মিন ফিল হাজ্জি ওয়া ছাব‘আতিন ইযা-রাজা‘তুম তিলকা ‘আশারাতুন কা-মিলাতুন যা-লিকা লিমাল্লাম ইয়াকুন আহলুহূহা-দিরিল মাছজিদিল হারা-মি ওয়াত্তাকূল্লা-হা ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।وَأَتِمُّواْ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ وَلاَ تَحْلِقُواْ رُؤُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضاً أَوْ بِهِ أَذًى مِّن رَّأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ فَإِذَا أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
১৯৭. হজের সময় নির্দিষ্ট মাসসমূহ। অতএব এই মাসসমূহে যে নিজের উপর হজ আরোপ করে নিল, তার জন্য হজে অশ্লীল ও পাপ কাজ এবং ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। আর তোমরা ভাল কাজের যা কর, আল্লাহ তা জানেন এবং পাথেয় গ্রহণ কর। নিশ্চয় উত্তম পাথেয় তাকওয়া। আর হে বিবেক সম্পন্নগণ, তোমরা আমাকে ভয় কর।আলহাজ্জু আশহুরুম মা‘লূমা-তুন ফামান ফারাদাফীহিন্নাল হাজ্জা ফালা-রাফাছা ওয়ালা-ফুছূকা ওয়ালা-জিদা-লা ফিল হাজ্জি ওয়ামা-তাফ‘আলূ মিন খাইরিইঁ ইয়া‘লাম হুল্লা-হু ওয়া তাঝাওওয়াদূ ফাইন্না খাইরাঝঝা-দিত্তাকওয়া-ওয়াত্তাকূনি ইয়া ঊলিল আলবা-ব।الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلاَ رَفَثَ وَلاَ فُسُوقَ وَلاَ جِدَالَ فِي الْحَجِّ وَمَا تَفْعَلُواْ مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللّهُ وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى وَاتَّقُونِ يَا أُوْلِي الأَلْبَابِ
১৯৮. তোমাদের উপর কোন পাপ নেই যে, তোমরা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে। সুতরাং যখন তোমরা আরাফা থেকে বের হয়ে আসবে, তখন মাশআরে হারামের নিকট আল্লাহকে স্মরণ কর এবং তাকে স্মরণ কর যেভাবে তিনি তোমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও তোমরা এর পূর্বে অবশ্যই পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।লাইছা ‘আলাইকুম জুনা-হুন আন তাবতাগূ ফাদলাম মিররাব্বিকুম ফাইযাআফাদতুম মিন ‘আরাফা-তিন ফাযকুরুল্লা-হা ‘ইনদাল মাশ‘আরিল হারা-মি ওয়াযকুরুহু কা-মাহাদা-কুম ওয়া ইন কুনতুম মিন কাবলিহী লামিনাদ্দাল্লীন।لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَبْتَغُواْ فَضْلاً مِّن رَّبِّكُمْ فَإِذَا أَفَضْتُم مِّنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُواْ اللّهَ عِندَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ وَاذْكُرُوهُ كَمَا هَدَاكُمْ وَإِن كُنتُم مِّن قَبْلِهِ لَمِنَ الضَّآلِّينَ
১৯৯. অতঃপর তোমরা প্রত্যাবর্তন কর, যেখান থেকে মানুষেরা প্রত্যাবর্তন করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।ছু ম্মা আফীদূ মিন হাইছুআফা-দান্না-ছুওয়াছতাগফিরুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।ثُمَّ أَفِيضُواْ مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
২০০. তারপর যখন তোমরা তোমাদের হজের কাজসমূহ শেষ করবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তোমরা স্মরণ করতে তোমাদের বাপ-দাদাদেরকে, এমনকি তার চেয়ে অধিক স্মরণ। আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যে বলে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতেই দিয়ে দিন। বস্তুত আখিরাতে তার জন্য কোন অংশ নেই।ফাইযা-কাদাইতুম মানা-ছিকাকুম ফাযকুরুল্লা-হা কাযিকরিকুম আ-বাআকুম আও আশাদ্দা যিকরান ফামিনান্না-ছি মাইঁ ইয়াকূলু রাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-ওয়ামা-লাহু ফিল আ-খিরাতি মিন খালা-ক।فَإِذَا قَضَيْتُم مَّنَاسِكَكُمْ فَاذْكُرُواْ اللّهَ كَذِكْرِكُمْ آبَاءكُمْ أَوْ أَشَدَّ ذِكْرًا فَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا وَمَا لَهُ فِي الآخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ
২০১. আর তাদের মধ্যে এমনও আছে, যারা বলে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।ওয়া মিনহুম মাইঁ ইয়াকূলুরাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়া কিনা-‘আযা-বান্না-র।
وِمِنْهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
২০২. তারা যা অর্জন করেছে তার হিস্যা তাদের রয়েছে। আর আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।উলাইকা লাহুম নাসীবুম মিম্মা-কাছাবূ ওয়াল্লা-হু ছারী‘উল হিছা-ব।أُولَـئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌ مِّمَّا كَسَبُواْ وَاللّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ
২০৩. আর আল্লাহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে। অতঃপর যে তাড়াহুড়া করে দু’দিনে চলে আসবে। তার কোন পাপ নেই। আর যে বিলম্ব করবে, তারও কোন অপরাধ নেই। (এ বিধান) তার জন্য, যে তাকওয়া অবলম্বন করেছে। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমাদেরকে তাঁরই কাছে সমবেত করা হবে।ওয়াযকুরুল্লা-হা ফীআইয়া-মিম মা‘দূদা-তিন ফামান তা‘আজ্জালা ফী ইয়াওমাইনি ফালা-ইছমা ‘আলাইহি ওয়ামান তাআখখারা ফালা-ইছমা ‘আলাইহি লিমানিত্তাকা- ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামূআন্নাকুম ইলাইহি তুহশারূন।وَاذْكُرُواْ اللّهَ فِي أَيَّامٍ مَّعْدُودَاتٍ فَمَن تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلا إِثْمَ عَلَيْهِ لِمَنِ اتَّقَى وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
২০৪. আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যার কথা দুনিয়ার জীবনে তোমাকে অবাক করে এবং সে তার অন্তরে যা রয়েছে, তার উপর আল্লাহকে সাক্ষী রাখে। আর সে কঠিন ঝগড়াকারী।ওয়া মিনান্না-ছি মাই ইউ‘জিবুকা কাওলুহূ ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া-ওয়া ইউশহিদুল্লা-হা ‘আলামা-ফী কালবিহী ওয়াহুওয়া আলাদ্দুল খিসা-ম।وَمِنَ النَّاسِ مَن يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللّهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ
২০৫. আর যখন সে ফিরে যায়, তখন যমীনে প্রচেষ্টা চালায় তাতে ফাসাদ করতে এবং ধ্বংস করতে শস্য ও প্রাণী। আর আল্লাহ ফাসাদ ভালবাসেন না।ওয়া ইযা-তাওয়াল্লা-ছা‘আ-ফিল আরদিলিইউফছিদা ফীহা-ওয়া ইউহলিকাল হারছা ওয়ান্নাছলা ওয়াল্লা-হু লা-ইউহিব্বুল ফাছা-দ।وَإِذَا تَوَلَّى سَعَى فِي الأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيِهَا وَيُهْلِكَ الْحَرْثَ وَالنَّسْلَ وَاللّهُ لاَ يُحِبُّ الفَسَادَ
২০৬. আর যখন তাকে বলা হয়, ‘আল্লাহকে ভয় কর’ তখন আত্মাভিমান তাকে পাপ করতে উৎসাহ দেয়। সুতরাং জাহান্নাম তার জন্য যথেষ্ট এবং তা কতই না মন্দ ঠিকানা।ওয়াইযা-কীলা লাহুত্তাকিল্লা-হা আখাযাতহুল ‘ইঝঝাতু বিলইছমি ফাহাছবহু জাহান্নামু ওয়ালাবি’ছাল মিহা-দ।وَإِذَا قِيلَ لَهُ اتَّقِ اللّهَ أَخَذَتْهُ الْعِزَّةُ بِالإِثْمِ فَحَسْبُهُ جَهَنَّمُ وَلَبِئْسَ الْمِهَادُ
২০৭. আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজকে বিকিয়ে দেয়। আর আল্লাহ (তার) বান্দাদের প্রতি স্নেহশীল।ওয়া মিনান্না-ছি মাইঁ ইয়াশরী নাফছাহুব তিগাআ মারদা-তিল্লাহি ওয়াল্লা-হু রাঊফুম বিল‘ইবা-দ।وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاء مَرْضَاتِ اللّهِ وَاللّهُ رَؤُوفٌ بِالْعِبَادِ
২০৮. হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না । নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্র“।ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুদ খুলূ ফিছছিলমি কাফফাতাওঁ ওয়ালা-তাত্তাবি‘ঊ খুতুওয়া-তিশশাইতা-নি ; ইন্নাহু লাকুম ‘আদুওউম মুবীন।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ ادْخُلُواْ فِي السِّلْمِ كَآفَّةً وَلاَ تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
২০৯. অতএব তোমরা যদি পদস্খলিত হও, তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আসার পর, তবে জেনে রাখ যে, আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।ফাইন ঝালালতুম মিম বা‘দি মা-জাআতকুমুল বাইয়িনা-তু ফা‘লামূআন্নাল্লা-হা, ‘আঝীঝুন হাকীম।فَإِن زَلَلْتُمْ مِّن بَعْدِ مَا جَاءتْكُمُ الْبَيِّنَاتُ فَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
২১০. তারা কি এরই অপেক্ষা করছে যে, মেঘের ছায়ায় আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ তাদের নিকট আগমন করবেন এবং সব বিষয়ের ফয়সালা করে দেয়া হবে। আর আল্লাহর নিকটই সব বিষয় প্রত্যাবর্তিত হবে।হাল ইয়ানজুরূনা ইল্লা-আইঁয়া’তিয়াহুমুল্লা-হু ফী জুলালিম মিনাল গামা-মি ওয়ালমালাইকাতু ওয়া কুদিয়াল আমরু ওয়া ইলাল্লা-হি তুর জা‘উল উমূর।هَلْ يَنظُرُونَ إِلاَّ أَن يَأْتِيَهُمُ اللّهُ فِي ظُلَلٍ مِّنَ الْغَمَامِ وَالْمَلآئِكَةُ وَقُضِيَ الأَمْرُ وَإِلَى اللّهِ تُرْجَعُ الأمُورُ
২১১. বনী ইসরাইলকে জিজ্ঞাসা কর, আমি তাদেরকে কত সুস্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছি। আর যে আল্লাহর নি‘আমত তার কাছে আসার পর তা বদলে দেবে তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ আযাব দানে কঠোর।ছাল বানীইছরাঈলা কাম আ-তাইনা-হুম মিন আ-য়াতিম বাইয়িনাতিওঁ ওয়া মাইঁ ইউবাদ্দিল নি‘মাতাল্লা-হি মিম বা‘দি মা-জাআতহু ফাইন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।سَلْ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَمْ آتَيْنَاهُم مِّنْ آيَةٍ بَيِّنَةٍ وَمَن يُبَدِّلْ نِعْمَةَ اللّهِ مِن بَعْدِ مَا جَاءتْهُ فَإِنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
২১২. যারা কুফরী করেছে, দুনিয়ার জীবনকে তাদের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে। আর তারা মুমিনদের নিয়ে উপহাস করে। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তারা কিয়ামত দিবসে তাদের উপরে থাকবে। আর আল্লাহ যাকে চান, বেহিসাব রিয্ক দান করেন।ঝুইয়িনা লিল্লাযীনা কাফারুল হায়া-তুদ্দুনইয়া-ওয়া ইয়াছখারূনা মিনাল্লাযীনা আ-মানূ। ওয়াল্লাযী নাত্তাকাও ফাওকাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়াল্লা-হু ইয়ারঝুকুমাইঁ ইয়াশাউ বিগাইরি হিছা-ব।زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ اتَّقَواْ فَوْقَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَاللّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَاء بِغَيْرِ حِسَابٍ
২১৩. মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদেরকে প্রেরণ করলেন এবং সত্যসহ তাদের সাথে কিতাব নাযিল করলেন, যাতে মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত। আর তারাই তাতে মতবিরোধ করেছিল, যাদেরকে তা দেয়া হয়েছিল, তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পরও পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষবশত। অতঃপর আল্লাহ নিজ অনুমতিতে মুমিনদেরকে হিদায়াত দিলেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন।কা-নান্না-ছু উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাবা‘আছাল্লা-হুন্নাবিইয়ীনা মুবাশশিরীনা ওয়া মুনযিরীনা ওয়া আনঝালা মা‘আহুমুল কিতা-বা বিলহাক্কিলিইয়াহকুমা বাইনান্না-ছি ফীমাখ তালাফূ ফীহি ওয়ামাখ তালাফা ফীহি ইল্লাল্লাযীনা ঊতূহু মিম বা‘দি মাজাআতহুমুল বাইয়িনা-তুবাগইয়াম বাইনাহুম ফাহাদাল্লা-হুল্লাযীনা আ-মানূ লিমাখতালাফূ ফীহি মিনাল হাক্কিবিইযনিহী ওয়াল্লা-হু ইয়াহদী মাইঁ ইয়াশাউ ইলাসিরা-তিম মুছতাকীম।كَانَ النَّاسُ أُمَّةً وَاحِدَةً فَبَعَثَ اللّهُ النَّبِيِّينَ مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَأَنزَلَ مَعَهُمُ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِيَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ فِيمَا اخْتَلَفُواْ فِيهِ وَمَا اخْتَلَفَ فِيهِ إِلاَّ الَّذِينَ أُوتُوهُ مِن بَعْدِ مَا جَاءتْهُمُ الْبَيِّنَاتُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ فَهَدَى اللّهُ الَّذِينَ آمَنُواْ لِمَا اخْتَلَفُواْ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِهِ وَاللّهُ يَهْدِي مَن يَشَاء إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
২১৪. নাকি তোমরা ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে অথচ এখনো তোমাদের নিকট তাদের মত কিছু আসেনি, যারা তোমাদের পূর্বে বিগত হয়েছে। তাদেরকে স্পর্শ করেছিল কষ্ট ও দুর্দশা এবং তারা কম্পিত হয়েছিল। এমনকি রাসূল ও তার সাথি মুমিনগণ বলছিল, ‘কখন আল্লাহর সাহায্য (আসবে)’? জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী।আম হাছিবতুম আন তাদখুলুল জান্নাতা ওয়া লাম্মা-ইয়া’তিকুম মাছালুল্লাযীনা খালাও মিন কাবলিকুম মাছছাতহুমুল বা’ছাউ ওয়াদ্দাররাউ ওয়াঝুলঝিলূ হাত্তা-ইয়াকূলার রাছূলু ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমা‘আহূ মাতা-নাসরুল্লা-হি আলা-ইন্না নাসরাল্লা-হি কারীব।أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُواْ الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ الَّذِينَ خَلَوْاْ مِن قَبْلِكُم مَّسَّتْهُمُ الْبَأْسَاء وَالضَّرَّاء وَزُلْزِلُواْ حَتَّى يَقُولَ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ مَعَهُ مَتَى نَصْرُ اللّهِ أَلا إِنَّ نَصْرَ اللّهِ قَرِيبٌ
২১৫. তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তারা কী ব্যয় করবে? বল, ‘তোমরা যে সম্পদ ব্যয় করবে, তা পিতা-মাতা, আত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফিরদের জন্য। আর যে কোন ভাল কাজ তোমরা কর, নিশ্চয় সে ব্যাপারে আল্লাহ সুপরিজ্ঞাত’।ইয়াছআলূনাকা মা-যা ইউনফিকূনা কুল মাআনফাকতুম মিন খাইরিন ফালিলওয়া-লিদাইনি ওয়াল আকরাবীনা ওয়াল ইয়াতা-মা-ওয়াল মাছা-কীনি ওয়াবনিছছাবীলি ওয়ামাতাফ‘আলূমিন খাইরিন ফাইন্নাল্লা-হা বিহী ‘আলীম।يَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلْ مَا أَنفَقْتُم مِّنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالأَقْرَبِينَ وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا تَفْعَلُواْ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللّهَ بِهِ عَلِيمٌ
২১৬. তোমাদের উপর লড়াইয়ের বিধান দেয়া হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় এবং হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।কুতিবা ‘আলাইকুমুল কিতা-লুওয়া হুওয়া কুরহুল্লাকুম ওয়া ‘আছা-আন তাকরাহূ শাইআওঁ ওয়া হুওয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া ‘আছাআন তুহিববূ শাইআওঁ ওয়া হুওয়া শাররুল্লাকুম ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুওয়া আনতুম লা-তা‘লামূন।كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
২১৭. তারা তোমাকে হারাম মাস সম্পর্কে, তাতে লড়াই করা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘তাতে লড়াই করা বড় পাপ; কিন্তু আল্লাহর পথে বাধা প্রদান, তাঁর সাথে কুফরী করা, মাসজিদুল হারাম থেকে বাধা দেয়া এবং তার অধিবাসীদেরকে তা থেকে বের করে দেয়া আল্লাহর নিকট অধিক বড় পাপ। আর ফিতনা হত্যার চেয়েও বড়’। আর তারা তোমাদের সাথে লড়াই করতে থাকবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফিরিয়ে দেয়, তারা যদি পারে। আর যে তোমাদের মধ্য থেকে তাঁর দীন থেকে ফিরে যাবে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, বস্তুত এদের আমলসমূহ দুনিয়া ও আখিরাতে বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।ইয়াছআলূনাকা আনিশশাহরিল হারা-মি কিতা-লিন ফীহি কুল কিতা-লুন ফীহি কাবীরুওঁ ওয়াসাদ্দুন ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়া কুফরুম বিহী ওয়াল মাছজিদিল হারা-মি ওয়া ইখরা-জুআহলিহী মিনহু আকবারু ‘ইনদাল্লা-হি ওয়াল ফিতনাতুআকবারু মিনাল কাতলি ওয়া লা-ইঝা-লূনা ইউকা-তিলূনাকুম হাত্তা-ইয়ারুদ্দূকুম ‘আন দীনিকুম ইনিছতাতা‘ঊ ওয়া মাইঁ ইয়ারতাদিদ মিনকুম ‘আন দীনিহী ফাইয়ামুত ওয়া হুওয়া কা-ফিরুন ফউলাইকা হাবিতাত আ‘মা-লুহুম ফিদ্দুনইয়া-ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া উলাইকা আসহা-বুন্নারি হুম ফীহা-খা-লিদুন।يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ اللّهِ وَكُفْرٌ بِهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِ مِنْهُ أَكْبَرُ عِندَ اللّهِ وَالْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ الْقَتْلِ وَلاَ يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّىَ يَرُدُّوكُمْ عَن دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُواْ وَمَن يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُوْلَـئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
২১৮. নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে ও যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের আশা করে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ ওয়াল্লাযীনা হা-জারূওয়া জা-হাদূফী ছাবীলিল্লা-হি উলাইকা ইয়ারজূনা রাহমাতাল্লা-হি ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম।إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَاجَرُواْ وَجَاهَدُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ أُوْلَـئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَتَ اللّهِ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
২১৯. তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, এ দু’টোয় রয়েছে বড় পাপ ও মানুষের জন্য উপকার। আর তার পাপ তার উপকারিতার চেয়ে অধিক বড়। আর তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তারা কী ব্যয় করবে। বল, ‘যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত’। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা কর।ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল খামরি ওয়াল মাইছিরি কুল ফীহিমা ইছমুন কাবীরুওঁ ওয়া মানাফি‘উ লিন্না-ছি ওয়া ইছমুহুমাআকবারু মিন নাফ‘ইহিমা-ওয়া ইয়াছআলূনাকা মা যা-ইউনফিকূনা কুল্লি ‘আফওয়া কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুমুল আ-য়াতি লা‘আল্লাকুম তাতাফাক্কারুন।يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلِ الْعَفْوَ كَذَلِكَ يُبيِّنُ اللّهُ لَكُمُ الآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ
২২০. দুনিয়া ও আখিরাতের ব্যাপারে। আর তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে ইয়াতীমদের সম্পর্কে। বল, সংশোধন করা তাদের জন্য উত্তম। আর যদি তাদেরকে নিজদের সাথে মিশিয়ে নাও, তবে তারা তোমাদেরই ভাই। আর আল্লাহ জানেন কে ফাসাদকারী, কে সংশোধনকারী এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, অবশ্যই তোমাদের জন্য (বিষয়টি) কঠিন করে দিতেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।ফিদ্দুনইয়া-ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া ইয়াছআলূনাকা ‘আনিলইয়াতা-মা কুলইসলাহুল্লাহুম খাইরুওঁ ওয়া ইন তুখা-লিতূহুম ফাইখওয়া-নুকুম ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুল মুফছিদা মিনাল মুসলিহিওয়ালাও শাআল্লা-হু লাআ‘নাতাকুম ইন্নাল্লা-হা ‘আঝীঝুন হাকীম।فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ إِصْلاَحٌ لَّهُمْ خَيْرٌ وَإِنْ تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ الْمُفْسِدَ مِنَ الْمُصْلِحِ وَلَوْ شَاء اللّهُ لأعْنَتَكُمْ إِنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
২২১. আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে এবং মুমিন দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ তাঁর অনুমতিতে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন এবং মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।ওয়া লা-তানকিহুল মুশরিকা-তি হাত্তা-ইউ’মিন্না ওয়া লাআমাতুম মু’মিনাতুন খাইরুম মিম মুশরিকাতিওঁ ওয়ালাও আ‘জাবাতকুম ওয়ালা-তুনকিহুল মুশরিকীনা হাত্তা-ইউমিনূ ওয়ালা ‘আবদুম মু’মিনুন খাইরুম মিম মুশরিকিওঁ ওয়া লাও আ‘জাবাকুম উলাইকা ইয়াদ‘ঊনা ইলান্না-রি ওয়াল্লা-হু ইয়াদ‘ঊইলাল জান্নাতি ওয়াল মাগফিরাতি বিইযনিহী ওয়া ইউবাইয়িনুআ-য়া-তিহী লিন্না-ছি লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারুন।
وَلاَ تَنكِحُواْ الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَلأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلاَ تُنكِحُواْ الْمُشِرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُواْ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُوْلَـئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَاللّهُ يَدْعُوَ إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
২২২. আর তারা তোমাকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা ঋতুস্রাবকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে।ওয়া ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল মাহীদি কুল হুওয়া আযান ফা‘তাঝিলুন্নিছাআ ফিল মাহীদি ওয়ালা-তাকরাবূহুন্না হাত্তা-ইয়াতহুরনা ফাইযা-তাতাহহারনা ফা’তূহুন্না মিন হাইছুআমারাকুমুল্লা-হু ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুত্তাওওয়া-বীনা ওয়াইউহিব্বুল মুতাতাহহিরীন।وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
২২৩. তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের ফসলক্ষেত্রে গমন কর, যেভাবে চাও। আর তোমরা নিজদের কল্যাণে উত্তম কাজ সামনে পাঠাও। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমরা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে । আর মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও।নিছাউকুম হারছুল্লাকুম ফা’তূহারছাকুম আন্না-শি’তুম ওয়া কাদ্দিমূ লিআনফুছিকুম ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামূ আন্নাকুম মুলা-কূহু ওয়া বাশশিরিল মু’মিনীন।نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
২২৪. আর আল্লাহকে তোমরা তোমাদের শপথ পূরণে প্রতিবন্ধক বানিয়ো না যে, তোমরা (আল্লাহর নামে এই বলে শপথ করবে যে) ভালো কাজ করবে না, তাকওয়া অবলম্বন করবে না এবং মানুষের মধ্যে সংশোধন করবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।ওয়ালা-তাজ‘আলুল্লা-হা ‘উরদাতাল লিআইমা-নিকুম আন তাবাররূওয়াতাত্তাকূওয়াতুসলিহু বাইনান্না-ছি ওয়াল্লা-হু ছামী‘উন ‘আলীম।وَلاَ تَجْعَلُواْ اللّهَ عُرْضَةً لِّأَيْمَانِكُمْ أَن تَبَرُّواْ وَتَتَّقُواْ وَتُصْلِحُواْ بَيْنَ النَّاسِ وَاللّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
২২৫. আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য পাকড়াও করবেন না। কিন্তু পাকড়াও করবেন যা তোমাদের অন্তরসমূহ অর্জন করেছে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।লা-ইউআ-খিযু কুমুল্লা-হু বিল্লাগবিফী আইমা-নিকুম ওয়ালা-কিই ইউআ-খিযু কুম বিমাকাছাবাত কুলূবুকুম ওয়াল্লা-হু গাফরুন হালীম।لاَّ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِيَ أَيْمَانِكُمْ وَلَكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا كَسَبَتْ قُلُوبُكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
২২৬. যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলিত না হওয়ার শপথ করবে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর তারা যদি ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।লিল্লাযীনা ইউ’লূনা মিন্নিছাইহিম তারাব্বুসু আরবা‘আতি আশহুরিন ফাইন ফাউ ফাইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।لِّلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِن نِّسَآئِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ فَإِنْ فَآؤُوا فَإِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
২২৭. আর যদি তারা তালাকের দৃঢ় ইচ্ছা করে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।ওয়া ইন ‘আঝামুত্তালা-কা ফাইন্নাল্লা-হা ছামী‘উন ‘আলীম।وَإِنْ عَزَمُواْ الطَّلاَقَ فَإِنَّ اللّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
২২৮. আর তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে এবং তাদের জন্য হালাল হবে না যে, আল্লাহ তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন, তা তারা গোপন করবে, যদি তারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে। আর এর মধ্যে তাদের স্বামীরা তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অধিক হকদার, যদি তারা সংশোধন চায়। আর নারীদের রয়েছে বিধি মোতাবেক অধিকার। যেমন আছে তাদের উপর (পুরুষদের) অধিকার। আর পুরুষদের রয়েছে তাদের উপর মর্যাদা এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।ওয়াল মুতাল্লাকা-তুইয়াতারাব্বাসনা বিআনফুছিহিন্না ছালা-ছাতা কুরূইওঁ ওয়ালা-ইয়াহিল্লুলাহুন্না আইয়াকতুম না মা-খালাকাল্লা-হু ফী আরহা-মিহিন্না ইন কুন্না ইউ’মিন্না বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়া বু‘ঊলাতুহুন্না আহাক্কুবিরাদ্দিহিন্না ফী যা-লিকা ইন আরা-দূ ইসলা-হাওঁ ওয়া লাহুন্না মিছলুল্লাযী ‘আলাইহিন্না বিলমা‘রূফি ওয়া লিররিজা-লি ‘আলাইহিন্না দারাজাতুওঁ ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম।وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلاَثَةَ قُرُوَءٍ وَلاَ يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤْمِنَّ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَلِكَ إِنْ أَرَادُواْ إِصْلاَحًا وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ وَاللّهُ عَزِيزٌ حَكُيمٌ
২২৯. তালাক দু’বার। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে। আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে। তবে উভয়ে যদি আশঙ্কা করে যে, আল্লাহর সীমারেখায় তারা অবস্থান করতে পারবে না। সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে না তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজকে মুক্ত করে নেবে তাতে কোন সমস্যা নেই। এটা আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। আর যে আল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাই যালিম।আত্তালা-কুমার রাতা-নি ফাইমছা-কুম বিমা‘রূফিন আও তাছরীহুম বিইহছা-নিওঁ ওয়ালা-ইয়াহিল্লুলাকুম আন তা’খুযূমিম্মা আ-তাইতুমূহুন্না শাইআন ইল্লাআইঁ ইয়াখাফা আল্লা-ইউকীমা-হুদূদাল্লা-হি ফাইন খিফতুম আল্লা-ইউকীমা-হুদাল্লা-হি ফালা-জুনা-হা ‘আলাইহিমা-ফীমাফতাদাতবিহী তিলকা হুদূদুল্লা-হি ফালা-তা‘তাদূ হা-ওয়ামাইইয়াতা‘আদ্দা হুদূদাল্লা-হি ফাউলাইকা হুমুজ্জা-লিমূন।الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُواْ مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلاَّ أَن يَخَافَا أَلاَّ يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللّهِ فَلاَ تَعْتَدُوهَا وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللّهِ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
২৩০. অতএব যদি সে তাকে তালাক দেয় তাহলে সে পুরুষের জন্য হালাল হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ভিন্ন একজন স্বামী সে গ্রহণ না করে। অতঃপর সে (স্বামী) যদি তাকে তালাক দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের অপরাধ হবে না যে, তারা একে অপরের নিকট ফিরে আসবে, যদি দৃঢ় ধারণা রাখে যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে। আর এটা আল্লাহর সীমারেখা, তিনি তা এমন সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট করে দেন, যারা বুঝে।ফাইন তাল্লাকাহা-ফালা-তাহিল্লু লাহূ মিম বা‘দুহাত্তা-তানকিহা ঝাওজান গাইরাহূ ফাইন তাল্লাকাহা-ফালা-জুনা-হা ‘আলাইহিমা-আই ইয়াতারা-জা‘আইন জান্না-আইঁ ইউকীমা-হুদূদাল্লা-হি ওয়া তিলকা হুদূদুল্লা-হি ইউবাইয়িনুহা-লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىَ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
২৩১. আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছে যাবে তখন হয়তো বিধি মোতাবেক তাদেরকে রেখে দেবে অথবা বিধি মোতাবেক তাদেরকে ছেড়ে দেবে। তবে তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সীমালঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটকে রেখো না। আর যে তা করবে সে তো নিজের প্রতি যুলম করবে। আর তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে উপহাসরূপে গ্রহণ করো না। আর তোমরা স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত এবং তোমাদের উপর কিতাব ও হিকমত যা নাযিল করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয় সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত।ওয়া ইযা-তাল্লাকতুমুন নিছাআ ফাবালাগনা আজালাহুন্না ফাআমছিকূহুন্না বিমা‘রূফিন আও ছাররিহুহুন্না বিমা‘রূফিওঁ ওয়ালা-তুম ছিকূহুন্না দিরা-রাল লিতা‘তাদূ ওয়া মাইঁ ইয়াফ‘আল যা-লিকা ফাকাদ জালামা নাফছাহূ ওয়ালা-তাত্তাখিযূআ-য়া-তিল্লা-হি হুঝুওয়াও ওয়াযকুরূ নি‘মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম ওয়ামা-আনঝালা ‘আলাইকুম মিনাল কিতা-বি ওয়াল হিকমাতি ইয়া‘ইজু কুম বিহী ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইইন ‘আলীম।
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النَّسَاء فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ وَلاَ تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لَّتَعْتَدُواْ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ وَلاَ تَتَّخِذُوَاْ آيَاتِ اللّهِ هُزُوًا وَاذْكُرُواْ نِعْمَتَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَمَا أَنزَلَ عَلَيْكُمْ مِّنَ الْكِتَابِ وَالْحِكْمَةِ يَعِظُكُم بِهِ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
২৩২. আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছবে তখন তোমরা তাদেরকে বাধা দিয়ো না যে, তারা তাদের স্বামীদেরকে বিয়ে করবে যদি তারা পরস্পরে তাদের মধ্যে বিধি মোতাবেক সম্মত হয়। এটা উপদেশ তাকে দেয়া হচ্ছে, যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে। এটি তোমাদের জন্য অধিক শুদ্ধ ও অধিক পবিত্র। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।ওয়া ইযা-তাল্লাকতুমুন্নিছাআ ফাবালাগনা আজালাহুন্না ফালা-তা‘দুলূহুন্না আইঁ ইয়ানকিহনা আঝওয়া-জাহুন্না ইযা-তারা-দাও বাইনাহুম বিলমা‘রূফি যা-লিকা ইঊ‘আজুবিহী মান কা-না মিনকুম ইয়ুমিনুবিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি যা-লিকুম আঝকা-লাকুম ওয়াআতহারু ওয়াল্লাহু ইয়া‘লামুওয়া আনতুম লা-তা‘লামুন।وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاء فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ أَن يَنكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ إِذَا تَرَاضَوْاْ بَيْنَهُم بِالْمَعْرُوفِ ذَلِكَ يُوعَظُ بِهِ مَن كَانَ مِنكُمْ يُؤْمِنُ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكُمْ أَزْكَى لَكُمْ وَأَطْهَرُ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
২৩৩. আর মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, (এটা) তার জন্য যে দুধ পান করাবার সময় পূর্ণ করতে চায়। আর পিতার উপর কর্তব্য, বিধি মোতাবেক মায়েদেরকে খাবার ও পোশাক প্রদান করা। সাধ্যের অতিরিক্ত কোন ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় না। কষ্ট দেয়া যাবে না কোন মাকে তার সন্তানের জন্য, কিংবা কোন বাবাকে তার সন্তানের জন্য। আর ওয়ারিশের উপর রয়েছে অনুরূপ দায়িত্ব। অতঃপর তারা যদি পরস্পর সম্মতি ও পরামর্শের মাধ্যমে দুধ ছাড়াতে চায়, তাহলে তাদের কোন পাপ হবে না। আর যদি তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে অন্য কারো থেকে দুধ পান করাতে চাও, তাহলেও তোমাদের উপর কোন পাপ নেই, যদি তোমরা বিধি মোতাবেক তাদেরকে যা দেবার তা দিয়ে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা।ওয়াল ওয়া-লিদা-তু ইউরদি না আওলা-দাহুন্না হাওলাইনি কা-মিলাইনি লিমান আরা-দা আই ইউতিম্মাররাদা-‘আতাওঁ ওয়া আলাল মাওলূদি লাহু রিঝকুহুন্না ওয়া কিছওয়াতুহুন্না বিলমা‘রূফি লা-তুকাল্লাফুনাফছুন ইল্লা-উছ‘আহা-লা-তুদাররা ওয়া-লিদাতুম বিওয়ালাদিহা-ওয়ালা-মাওলূদুল্লাহু বিওয়ালাদিহি ওয়া ‘আলাল ওয়া-রিছিমিছলুযালিকা ফাইন আরা-দা-ফিসা-লান ‘আন তারা-দিম মিনহুমা-ওয়াতাশা-উরিন ফালাজুনা-হা ‘আলাইহিমা- ওয়া ইন আরাত্তুম আন তাছতারদি‘ঊ আওলা-দাকুম ফালা-জুনাহা ‘আলাইকুম ইযা-ছাল্লামতুম মাআ-তাইতুম বিলমা‘রূফি ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ وَعلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ لاَ تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلاَّ وُسْعَهَا لاَ تُضَآرَّ وَالِدَةٌ بِوَلَدِهَا وَلاَ مَوْلُودٌ لَّهُ بِوَلَدِهِ وَعَلَى الْوَارِثِ مِثْلُ ذَلِكَ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالاً عَن تَرَاضٍ مِّنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا وَإِنْ أَرَدتُّمْ أَن تَسْتَرْضِعُواْ أَوْلاَدَكُمْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِذَا سَلَّمْتُم مَّا آتَيْتُم بِالْمَعْرُوفِ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
২৩৪. আর তোমাদের মধ্য থেকে যারা মারা যাবে এবং স্ত্রীদেরকে রেখে যাবে, তাদের স্ত্রীগণ চার মাস দশ দিন অপেক্ষায় থাকবে। অতঃপর যখন তারা ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন তারা নিজদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যা করবে, সে ব্যাপারে তোমাদের কোন পাপ নেই। আর তোমরা যা কর, সে ব্যাপারে আল্লাহ সম্যক অবগত।ওয়াল্লাযীনা ইউতাওয়াফফাওনা মিনকুমওয়া ইয়াযারূনা আঝওয়া-জাইঁ ইয়াতারাব্বাসনা বিআনফুছিহিন্না আরবা‘আতা আশহুরিওঁ ওয়া‘আশরান ফাইযা-বালাগনা আজালাহুন্না ফালা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ফীমা-ফা‘আলনা ফীআনফুছিহিন্না বিলমা‘রূফি ওয়াল্লা-হু বিমা-তা‘মালূনা খাবীর।وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَاللّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
২৩৫. আর এতে তোমাদের কোন পাপ নেই যে, তোমরা নারীদেরকে ইশারায় যে প্রস্তাব করবে কিংবা মনে গোপন করে রাখবে। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে স্মরণ করবে। কিন্তু বিধি মোতাবেক কোন কথা বলা ছাড়া গোপনে তাদেরকে (কোন) প্রতিশ্র“তি দিয়ো না। আর আল্লাহর নির্দেশ (ইদ্দত) তার সময় পূর্ণ করার পূর্বে বিবাহ বন্ধনের সংকল্প করো না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।ওয়ালা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ফীমা-‘আররাদতুম বিহী মিন খিতবাতিন নিছাই আও আকনানতুম ফী-আনফুছিকুম ‘আলিমাল্লা-হু আন্নাকুম ছাতাযকুরূনাহুন্না ওয়ালা-কিল্লাতুওয়া-‘ইদূ হুন্না ছিররান ইল্লাআন তাকূলূ কাওলাম মা‘রূফাওঁ ওয়ালা-তা‘ঝিমূ ‘উকদাতান নিকা-হিহাত্তা-ইয়াবলুগাল কিতা-বুআজালাহূ ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমা-ফী আনফুছিকুম ফাহযারূহু ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা গাফুরুন হালীম।وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُم بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاء أَوْ أَكْنَنتُمْ فِي أَنفُسِكُمْ عَلِمَ اللّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَـكِن لاَّ تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلاَّ أَن تَقُولُواْ قَوْلاً مَّعْرُوفًا وَلاَ تَعْزِمُواْ عُقْدَةَ النِّكَاحِ حَتَّىَ يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ يَعْلَمُ مَا فِي أَنفُسِكُمْ فَاحْذَرُوهُ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ
২৩৬. তোমাদের কোন অপরাধ নেই যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এমন অবস্থায় যে, তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করনি কিংবা তাদের জন্য কোন মোহর নির্ধারণ করনি। আর উত্তমভাবে তাদেরকে ভোগ-উপকরণ দিয়ে দাও, ধনীর উপর তার সাধ্যানুসারে এবং সংকটাপন্নের উপর তার সাধ্যানুসারে। সুকর্মশীলদের উপর এটি আবশ্যক।লা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ইন তাল্লাকতুমুন্নিছাআ মা-লাম তামাছছূহুন্না আও তাফরিদূ লাহুন্না ফারীদাতাওঁ ওয়ামাত্তি‘ঊহুন্না ‘আলাল মূছি‘ই কাদারুহূ ওয়া ‘আলাল মুকতিরি কাদারুহু মাতা-‘আম বিলমা‘রূফি হাক্কান ‘আলাল মুহছিনীন।لاَّ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن طَلَّقْتُمُ النِّسَاء مَا لَمْ تَمَسُّوهُنُّ أَوْ تَفْرِضُواْ لَهُنَّ فَرِيضَةً وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى الْمُوسِعِ قَدَرُهُ وَعَلَى الْمُقْتِرِ قَدْرُهُ مَتَاعًا بِالْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى الْمُحْسِنِينَ
২৩৭. আর যদি তোমরা তাদেরকে তালাক দাও, তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে এবং তাদের জন্য কিছু মোহর নির্ধারণ করে থাক, তাহলে যা নির্ধারণ করেছ, তার অর্ধেক (দিয়ে দাও)। তবে স্ত্রীরা যদি মাফ করে দেয়, কিংবা যার হাতে বিবাহের বন্ধন সে যদি মাফ করে দেয়। আর তোমাদের মাফ করে দেয়া তাকওয়ার অধিক নিকটতর। আর তোমরা পরস্পরের মধ্যে অনুগ্রহ ভুলে যেয়ো না। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা।ওয়া ইন তাল্লাকতুমূহুন্না মিন কাবলি আন তামাছছূহুন্না ওয়াকাদ ফারাদতুম লাহুন্না ফারীদাতান ফানিসফুমা-ফারাদতুম ইল্লাআই ইয়া‘ফূনা আও ইয়া‘ফুওয়াল্লাযী বিয়াদিহী ‘উকদাতন নিকা-হিওয়া আন তা‘ফূআকরাবুলিত্তাকওয়া-ওয়ালা-তানছাউল ফাদলা বাইনাকমু ইন্নাল্লা-হা বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।وَإِن طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِن قَبْلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إَلاَّ أَن يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ وَأَن تَعْفُواْ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَلاَ تَنسَوُاْ الْفَضْلَ بَيْنَكُمْ إِنَّ اللّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
২৩৮. তোমরা সালাতসমূহ ও মধ্যবর্তী সালাতের হিফাযত কর এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে।হা-ফিজূ‘আলাসসালাওয়া-তি ওয়াসসালা-তিল উছতা-ওয়াকূমূলিল্লা-হি কানিতীন।حَافِظُواْ عَلَى الصَّلَوَاتِ والصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُواْ لِلّهِ قَانِتِينَ
২৩৯. কিন্তু যদি তোমরা ভয় কর, তবে হেঁটে কিংবা আরোহণ করে (আদায় করে নাও)। এরপর যখন নিরাপদ হবে তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিখিয়েছেন, যা তোমরা জানতে না।ফাইন খিফতুম ফারিজা-লান আও রুকবা-নান ফাইযা-আমিনতুম ফাযকুরুল্লা-হা কামা‘আল্লামাকুম মা-লাম তাকূনূ তা‘লামূন।فَإنْ خِفْتُمْ فَرِجَالاً أَوْ رُكْبَانًا فَإِذَا أَمِنتُمْ فَاذْكُرُواْ اللّهَ كَمَا عَلَّمَكُم مَّا لَمْ تَكُونُواْ تَعْلَمُونَ
২৪০. আর তোমাদের মধ্য থেকে যারা মারা যাবে এবং স্ত্রীদেরকে রেখে যাবে, তারা তাদের স্ত্রীদের জন্য ওসিয়ত করবে এক বছরের ভরণ-পোষণের বের না করে দিয়ে; কিন্তু যদি তারা (স্বেচ্ছায়) বের হয়ে যায়, তাহলে তারা নিজদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যা করেছে, সে ব্যাপারে তোমাদের কোন পাপ নেই। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।ওয়াল্লাযীনা ইউতাওয়াফফাওনা মিনকুম ওয়া ইয়াযারূনা আঝওয়াজাওঁ ওয়াসিইইয়াতাল লিআঝওয়া-জিহিম মাতা‘আন ইলাল হাওলি গাইরা ইখরা-জিন ফাইন খারাজনা ফালাজুনা-হা ‘আলাইকুম ফী মা-ফা‘আলনা ফীআনফুছিহিন্না মিম্মা‘রূফিওঁ ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম।وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لِّأَزْوَاجِهِم مَّتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِي مَا فَعَلْنَ فِيَ أَنفُسِهِنَّ مِن مَّعْرُوفٍ وَاللّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
২৪১. আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের জন্য থাকবে বিধি মোতাবেক ভরণ-পোষণ। (এটি) মুত্তাকীদের উপর আবশ্যক।ওয়ালিল মুতাল্লাকা-তি মাতা-‘উম বিলমা‘রূফি হাক্কান ‘আলাল মুত্তাকীন।وَلِلْمُطَلَّقَاتِ مَتَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى الْمُتَّقِينَ
২৪২. এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দেন, যাতে তোমরা উপলব্ধি কর ।কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুম আ-য়া-তিহী লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
২৪৩. তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা তাদের গৃহসমূহ থেকে বের হয়েছে মৃত্যুর ভয়ে এবং তারা ছিল হাজার-হাজার? অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা মরে যাও’! তারপর তিনি তাদেরকে জীবিত করলেন। নিশ্চয় আল্লাহ তো মানুষের উপর অনুগ্রহশীল। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ শুকরিয়া আদায় করে না।আলাম তারা ইলাল্লাযীনা খারাজূ মিন দিয়া-রিহিম ওয়া হুম উলূফুন হাযারাল মাওতি ফাকা-লা লাহুমুল্লা-হু মূতূ ছু ম্মা আহইয়া-হুম; ইন্নাল্লা-হা লাযূ ফাদলিন ‘আলান্নাছি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়াশকুরূন।أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُواْ مِن دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللّهُ مُوتُواْ ثُمَّ أَحْيَاهُمْ إِنَّ اللّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لاَ يَشْكُرُونَ
২৪৪. আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই কর এবং জেনে রাখ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।ওয়াকা-তিলূ ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়া‘লামূ আন্নাল্লা-হা ছামী‘উন ‘আলীম।وَقَاتِلُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
২৪৫. কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহু গুণে বাড়িয়ে দেবেন? আর আল্লাহ সংকীর্ণ করেন ও প্রসারিত করেন এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরানো হবে।মান যাল্লাযী ইউকরিদুল্লা-হা কারদান হাছানান ফাইউদা-‘ইফাহূলাহুআদ‘আ ফান কাছীরাতাওঁ ওয়াল্লা-হু ইয়াকবিদুওয়া ইয়াবছুতুওয়াইলাইহি তুরজা‘ঊন।مَّن ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً وَاللّهُ يَقْبِضُ وَيَبْسُطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
২৪৬. তুমি কি মূসার পর বনী ইসরাঈলের প্রধানদেরকে দেখনি? যখন তারা তাদের নবীকে বলেছিল, ‘আমাদের জন্য একজন রাজা পাঠান, তাহলে আমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করব’। সে বলল, ‘এমন কি হবে যে, যদি তোমাদের উপর লড়াই আবশ্যক করা হয়, তোমরা লড়াই করবে না’? তারা বলল, আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করব না, অথচ আমাদেরকে আমাদের গৃহসমূহ থেকে বের করা হয়েছে এবং আমাদের সন্তানদের থেকে (বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে)’? অতঃপর যখন তাদের উপর লড়াই আবশ্যক করা হল, তখন তাদের মধ্য থেকে স্বল্প সংখ্যক ছাড়া তারা বিমুখ হল। আর আল্লাহ যালিমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত।আলাম তারা ইলাল মালাই মিমবানী ইছরাঈলা মিম বা‘দি মূছা-। ইযকা-লূ লিনাবিইয়িল্লাহুমুব ‘আছলানা-মালিকান্নুকা-তিল ফী ছাবীলিল্লা-হি কা-লা হাল ‘আছাইতুম ইন কুতিবা ‘আলাইকুমুল কিতা-লুআল্লা-তুকা-তিলূ কা-লূওয়ামা লানাআল্লা-নুকা-তিলা ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়া কাদ উখরিজনা-মিন দিয়া-রিনা-ওয়া আবনাইনা ফালাম্মা কুতিবা ‘আলাইহিমুল কিতা-লুতাওয়াল্লাও ইল্লা-কালীলাম মিনহুম ওয়াল্লাহু ‘আলীমুম বিজ্জা-লিমীন।أَلَمْ تَرَ إِلَى الْمَلإِ مِن بَنِي إِسْرَائِيلَ مِن بَعْدِ مُوسَى إِذْ قَالُواْ لِنَبِيٍّ لَّهُمُ ابْعَثْ لَنَا مَلِكًا نُّقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللّهِ قَالَ هَلْ عَسَيْتُمْ إِن كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ أَلاَّ تُقَاتِلُواْ قَالُواْ وَمَا لَنَا أَلاَّ نُقَاتِلَ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِن دِيَارِنَا وَأَبْنَآئِنَا فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ تَوَلَّوْاْ إِلاَّ قَلِيلاً مِّنْهُمْ وَاللّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ
২৪৭. আর তাদেরকে তাদের নবী বলল, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য তালূতকে রাজারূপে পাঠিয়েছেন। তারা বলল, ‘আমাদের উপর কীভাবে তার রাজত্ব হবে, অথচ আমরা তার চেয়ে রাজত্বের অধিক হকদার? আর তাকে সম্পদের প্রাচুর্যও দেয়া হয়নি’। সে বলল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাকে তোমাদের উপর মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞানে ও দেহে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ যাকে চান, তাকে তাঁর রাজত্ব দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’।ওয়া কা-লা লাহুম নাবিইয়ুহুম ইন্নাল্লা-হা কাদ বা ‘আছা লাকুম তা-লূতা মালিকান কালূআন্না-ইয়াকূনু লাহুল মুলকু‘আলাইনা-ওয়া নাহনুআহাক্কুবিলমুলকি মিনহু ওয়ালাম ইউ’তা ছা‘আতাম মিনাল মা-লি কা-লা ইন্নাল্লা-হাসতাফা-হু ‘আলাইকুম ওয়াঝা-দাহু বাছতাতান ফিল‘ইলমি ওয়াল জিছমি ওয়াল্লা-হু ইউ’তী মুলকাহু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ اللّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًا قَالُوَاْ أَنَّى يَكُونُ لَهُ الْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِالْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةً مِّنَ الْمَالِ قَالَ إِنَّ اللّهَ اصْطَفَاهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُ بَسْطَةً فِي الْعِلْمِ وَالْجِسْمِ وَاللّهُ يُؤْتِي مُلْكَهُ مَن يَشَاء وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
২৪৮. আর তাদেরকে তাদের নবী বলল, নিশ্চয় তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের নিকট তাবূত আসবে, যাতে থাকবে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে প্রশান্তি এবং মূসার পরিবার ও হারূনের পরিবার যা রেখে গিয়েছে তার অবশিষ্ট, যা বহন করে আনবে ফেরেশতাগণ। নিশ্চয় তাতে রয়েছে তোমাদের জন্য নিদর্শন, যদি তোমরা মুমিন হও।ওয়াকা-লা লাহুম নাবিইয়ুহুম ইন্না আ-য়াতা মুলকিহী আই ইয়া’তিয়াকুমুত্তা-বূতু ফীহি ছাকীনাতুম মির রাব্বিকুম ওয়া বাকিইইয়াতুম মিম্মা-তারাকা আ-লুমূছা-ওয়া আ-লু হা-রূনা তাহমিলুহুমুল মালাইকাতু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল্লাকুম ইন কুনতুম মু’মিনীন।وَقَالَ لَهُمْ نِبِيُّهُمْ إِنَّ آيَةَ مُلْكِهِ أَن يَأْتِيَكُمُ التَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَى وَآلُ هَارُونَ تَحْمِلُهُ الْمَلآئِكَةُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
২৪৯. অতঃপর যখন তালূত সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হল, তখন সে বলল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে একটি নদী দ্বারা পরীক্ষা করবেন। অতএব, যে তা হতে পান করবে, সে আমার দলভুক্ত নয়। আর যে তা খাবে না, তাহলে নিশ্চয় সে আমার দলভুক্ত। তবে যে তার হাত দিয়ে এক আজলা পরিমাণ খাবে, সে ছাড়া; কিন্তু তাদের মধ্য থেকে স্বল্পসংখ্যক ছাড়া তা থেকে তারা পান করল। অতঃপর যখন সে ও তার সাথি মুমিনগণ তা অতিক্রম করল, তারা বলল, ‘আজ আমাদের জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর সাথে লড়াই করার ক্ষমতা নেই’। যারা দৃঢ় ধারণা রাখত যে, তারা আল্লাহর সাথে মিলিত হবে, তারা বলল, ‘কত ছোট দল আল্লাহর হুকুমে বড় দলকে পরাজিত করেছে’! আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।ফালাম্মা-ফাসালা তা-লূতু বিলজুনূদি কা-লা ইন্নাল্লা-হা মুবতালীকুম বিনাহারিন ফামান শারিবা মিনহু ফালাইছা মিন্নী ওয়া মাল্লাম ইয়াত‘আমহু ফাইন্নাহু মিন্নী-ইল্লা-মানিগতারাফা গুরফাতাম বিয়াদিহী ফাশারিবূ মিনহু ইল্লা-কালীলাম মিনহুম ফালাম্মা-জা-ওয়াঝাহু হুওয়া ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ মা‘আহু কা-লূ লা-তা-কাতালানাল ইয়াওমা বিজা-লূতা ওয়া জুনূদিহী কালাল্লাযীনা ইয়াজুন্নূনা আন্নাহুম মুলা-কুল্লা-হি কাম মিন ফিআতিন কালীলাতিন, গালাবাত ফিআতান কাছীরাতাম বিইযনিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু মা‘আসসা-বিরীন।فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِالْجُنُودِ قَالَ إِنَّ اللّهَ مُبْتَلِيكُم بِنَهَرٍ فَمَن شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّي وَمَن لَّمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُ مِنِّي إِلاَّ مَنِ اغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ فَشَرِبُواْ مِنْهُ إِلاَّ قَلِيلاً مِّنْهُمْ فَلَمَّا جَاوَزَهُ هُوَ وَالَّذِينَ آمَنُواْ مَعَهُ قَالُواْ لاَ طَاقَةَ لَنَا الْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنودِهِ قَالَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلاَقُو اللّهِ كَم مِّن فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللّهِ وَاللّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ
২৫০. আর যখন তারা জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হল, তখন তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন, আমাদের পা স্থির রাখুন এবং আমাদেরকে কাফের জাতির বিরুদ্ধে সাহায্য করুন’।ওয়া লাম্মা-বারাঝূ লিজা-লূতা ওয়াজুনূদিহী কা-লূরাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফরীন।وَلَمَّا بَرَزُواْ لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ قَالُواْ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
২৫১. অতঃপর তারা আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে পরাজিত করল এবং দাঊদ জালূতকে হত্যা করল। আর আল্লাহ দাঊদকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করলেন এবং তাকে যা ইচ্ছা শিক্ষা দিলেন। আর আল্লাহ যদি মানুষের কতককে কতকের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে অবশ্যই যমীন ফাসাদপূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহ বিশ্ববাসীর উপর অনুগ্রহশীল।ফাহাঝামূহুম বিইযনিল্লা-হি ওয়াকাতালা দা-ঊদু জা-লূতা ওয়া আ-তা-হুল্লা-হুল মুলকা ওয়াল হিকমাতা ওয়া‘আল্লামাহু মিম্মা-ইয়াশাউ ওয়া লাওলা-দাফ‘উল্লা-হিন্না-ছা বা‘দাহুম ব্বিা‘দিল লাফাছাদাতিল আরদুওয়া লা-কিন্নাল্লা-হা যূফাদলিন ‘আলাল ‘আ-লামীন।فَهَزَمُوهُم بِإِذْنِ اللّهِ وَقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ وَآتَاهُ اللّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاء وَلَوْلاَ دَفْعُ اللّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَّفَسَدَتِ الأَرْضُ وَلَـكِنَّ اللّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ
২৫২. এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার উপর যথাযথভাবে তিলাওয়াত করি। আর নিশ্চয় তুমি রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত।তিলকা আ-য়া-তুল্লা-হি নাতলূহা-‘আলাইকা বিলহাক্কিওয়া ইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন।تِلْكَ آيَاتُ اللّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
২৫৩. ঐ রাসূলগণ, আমি তাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি, তাদের মধ্যে কারো সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন এবং কারো কারো মর্যাদা উঁচু করেছেন। আর আমি ঈসা ইবনে মারয়ামকে দিয়েছি সুস্পষ্ট প্রমাণাদি এবং আমি তাকে শক্তিশালী করেছি রূহুল কুদুস এর মাধ্যমে। আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তাদের পরবর্তীরা লড়াই করত না, তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণসমূহ আসার পর। কিন্তু তারা মতবিরোধ করেছে। ফলে তাদের মধ্যে কেউ ঈমান এনেছে, আর তাদের কেউ কুফরী করেছে। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে তারা লড়াই করত না। কিন্তু আল্লাহ যা চান, তা করেন।তিলকার রুছুলুফাদ্দালনা-বা‘দাহুম ‘আলা-বা‘দ। মিনহুম মান কাল্লামাল্লা-হু ওয়া রাফা‘আ বা‘দাহুম দারাজা-তিওঁ ওয়া আ-তাইনা-‘ঈছাবনা মারইয়ামাল বাইয়িনা-তি ওয়া আই ইয়াদনা-হু বিরূহিল কুদুছি ওয়ালাও শাআল্লা-হু মাকতাতালাল্লাযীনা মিম বা‘দিহিম মিম বা‘দি মা-জাআতহুমুল বাইয়িনা-তুওয়ালা-কিনিখ তালাফূ ফামিনহুম মান আমানা ওয়া মিনহুম মান কাফারা ওয়ালাও শাআল্লা-হু মাকতাতালূ ওয়ালা-কিন্নাল্লাহা ইয়াফ‘আলুমা-ইউরীদ।تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ مِّنْهُم مَّن كَلَّمَ اللّهُ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَاتٍ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ وَلَوْ شَاء اللّهُ مَا اقْتَتَلَ الَّذِينَ مِن بَعْدِهِم مِّن بَعْدِ مَا جَاءتْهُمُ الْبَيِّنَاتُ وَلَـكِنِ اخْتَلَفُواْ فَمِنْهُم مَّنْ آمَنَ وَمِنْهُم مَّن كَفَرَ وَلَوْ شَاء اللّهُ مَا اقْتَتَلُواْ وَلَـكِنَّ اللّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ
২৫৪. হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা হতে ব্যয় কর, সে দিন আসার পূর্বে, যে দিন থাকবে না কোন-বেচাকেনা, না কোন বন্ধুত্ব এবং না কোন সুপারিশ। আর কাফিররাই যালিম।ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ আনফিকূমিম্মা-রাঝাকনা-কুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিইয়া ইয়াওমুল্লা-বাই‘উন ফীহি ওয়ালা-খুল্লাতুওঁ ওয়ালা-শাফা-‘আতুওঁ ওয়াল কা-ফিরূনা হুমুজ্জা-লিমূন।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَنفِقُواْ مِمَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ يَوْمٌ لاَّ بَيْعٌ فِيهِ وَلاَ خُلَّةٌ وَلاَ شَفَاعَةٌ وَالْكَافِرُونَ هُمُ الظَّالِمُونَ
২৫৫. আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এ দু’টোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, মহান।আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহী তূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
২৫৬. দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।লাইকরা-হা ফিদ্দীনি কাততাবাইইয়ানার রুশদু মিনাল গাইয়ি ফামাইঁ ইয়াকফুর বিত্তা-গূতি ওয়া ইউ’মিমবিল্লা-হি ফাকাদিছ তামছাকা বিল‘উরওয়াতিল উছকা লানফিসা-মা লাহা-ওয়াল্লা-হু ছামী‘উন ‘আলীম।لاَ إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىَ لاَ انفِصَامَ لَهَا وَاللّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
২৫৭. যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের বন্ধু, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা কুফরী করে, তাদের অভিভাবক হল তাগূত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তারা আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।আল্লা-হু ওয়ালিইয়ূল্লাযীনা আ-মানূ ইউখরিজুহুম মিনাজ্জু লুমা-তি ইলান নূরি ওয়াল্লাযীনা কাফারুআওলিয়াউহুমুত্তা-গুতু ইউখরিজূনাহুম মিনান নূরি ইলাজ্জুলুমা-তি উলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।اللّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُواْ يُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوُرِ وَالَّذِينَ كَفَرُواْ أَوْلِيَآؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
২৫৮. তুমি কি সে ব্যক্তিকে দেখনি, যে ইবরাহীমের সাথে তার রবের ব্যাপারে বিতর্ক করেছে যে, আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছেন? যখন ইবরাহীম বলল, ‘আমার রব তিনিই’ যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমিই জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহীম বলল, নিশ্চয় আল্লাহ পূর্বদিক থেকে সূর্য আনেন। অতএব তুমি তা পশ্চিম দিক থেকে আন। ফলে কাফির ব্যক্তি হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না।আলাম তারা ইলাল্লাযী হাজ্জা ইবরা-হীমা ফী রাব্বিহীআন আ-তা-হুল্লা-হুল মুলক । ইযকা-লা ইবরা-হীমু রাব্বিইয়াল্লাযী ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু কা-লা আনা উহঈ ওয়াউমীতু কা-লা ইবরা-হীমু ফাইন্নাল্লা-হা ইয়া’তী বিশশামছি মিনাল মাশরিকি ফা’তি বিহা- মিনাল মাগরিবি ফাবুহিতাল্লাযী কাফারা ওয়াল্লা-হু লা ইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِي حَآجَّ إِبْرَاهِيمَ فِي رِبِّهِ أَنْ آتَاهُ اللّهُ الْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِـي وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا أُحْيِـي وَأُمِيتُ قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَإِنَّ اللّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
২৫৯. অথবা সে ব্যক্তির মত, যে কোন জনপদ অতিক্রম করছিল, যা তার ছাদের উপর বিধ্বস্ত ছিল। সে বলল, ‘আল্লাহ একে কিভাবে জীবিত করবেন মরে যাওয়ার পর’? অতঃপর আল্লাহ তাকে এক’শ বছর মৃত রাখলেন। এরপর তাকে পুনর্জীবিত করলেন। বললেন, ‘তুমি কতকাল অবস্থান করেছ’? সে বলল, ‘আমি একদিন অথবা দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছি’। তিনি বললেন, ‘বরং তুমি এক’শ বছর অবস্থান করেছ। সুতরাং তুমি তোমার খাবার ও পানীয়ের দিকে তাকাও, সেটি পরিবর্তিত হয়নি এবং তুমি তাকাও তোমরা গাধার দিকে, আর যাতে আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে পারি এবং তুমি তাকাও হাড়গুলোর দিকে, কিভাবে আমি তা সংযুক্ত করি, অতঃপর তাকে আবৃত করি গোশ্ত দ্বারা’। পরে যখন তার নিকট স্পষ্ট হল, তখন সে বলল, ‘আমি জানি, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’।আও কাল্লাযী মাররা ‘আলা-কারইয়াতিওঁ ওয়াহিয়া খা-বিয়াতুন ‘আলা-‘উরুশিহা-কা-লা আন্না-ইউহয়ী হা-যিহিল্লা-হু বা‘দা মাওতিহা-ফাআমাতাহুল্লা-হু মিআতা ‘আমিন ছু ম্মা বা‘আছাহু কা-লা কাম লাবিছতা কা-লা লাবিছতুইয়াওমান আও বা‘দা ইয়াওমিন কা-লা ‘বাল্লাবিছতা মিআতা ‘আ-মিন ফানজু র ইলা-তা‘আ-মিকা ওয়াশারা-বিকা লাম ইয়াতাছান্নাহু ওয়ানজু র ইলা-হিমা-রিকা ওয়া লিনাজ‘আলাকা আয়াতাল লিন্না-ছি ওয়ানজু র ইলাল ‘ইজা-মি কাইফা নুনশিঝুহা- ছু ম্মা নাকছূহা-লাহমান ফালাম্মা-তাবাইয়ানা লাহু কালা আ‘লামুআন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইইন কাদীর।أَوْ كَالَّذِي مَرَّ عَلَى قَرْيَةٍ وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىَ يُحْيِـي هَـَذِهِ اللّهُ بَعْدَ مَوْتِهَا فَأَمَاتَهُ اللّهُ مِئَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُ قَالَ كَمْ لَبِثْتَ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ قَالَ بَل لَّبِثْتَ مِئَةَ عَامٍ فَانظُرْ إِلَى طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْ وَانظُرْ إِلَى حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ آيَةً لِّلنَّاسِ وَانظُرْ إِلَى العِظَامِ كَيْفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًا فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ اللّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
২৬০. আর যখন ইবরাহীম বলল ‘হে, আমার রব, আমাকে দেখান, কিভাবে আপনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনি’? সে বলল, ‘অবশ্যই হ্যাঁ, কিন্তু আমার অন্তর যাতে প্রশান্ত হয়’। তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি চারটি পাখি নাও। তারপর সেগুলোকে তোমার প্রতি পোষ মানাও। অতঃপর প্রতিটি পাহাড়ে সেগুলোর টুকরো অংশ রেখে আস। তারপর সেগুলোকে ডাক, সেগুলো দৌড়ে আসবে তোমার নিকট। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’।ওয়া ইযকা-লা ইবরা-হীমু রাব্বি আরিনী কাইফা তুহয়িলমাওতা-কা-লা আওয়ালাম তু’মিন কা-লা বালা- ওয়ালা-কিল লিইয়াতমাইন্না কালবী কা-লা ফাখুয আরবা‘আতাম মিনাত্তাইরি ফাসুরহুন্না ইলাইকা ছুম্মাজ‘আল ‘আলা-কুল্লি জাবালিম মিনহুন্না জুঝআন ছুম্মাদ ‘উহুন্না ইয়া তীনাকা ছা‘ইয়াওঁ ওয়া‘লাম আন্নাল্লা-হা ‘আঝীঝূন হাকীম।وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ أَرِنِي كَيْفَ تُحْيِـي الْمَوْتَى قَالَ أَوَلَمْ تُؤْمِن قَالَ بَلَى وَلَـكِن لِّيَطْمَئِنَّ قَلْبِي قَالَ فَخُذْ أَرْبَعَةً مِّنَ الطَّيْرِ فَصُرْهُنَّ إِلَيْكَ ثُمَّ اجْعَلْ عَلَى كُلِّ جَبَلٍ مِّنْهُنَّ جُزْءًا ثُمَّ ادْعُهُنَّ يَأْتِينَكَ سَعْيًا وَاعْلَمْ أَنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
২৬১. যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।মাছালুল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম ফী ছাবীলিল্লা-হি কামাছালি হাব্বাতিন আমবাতাত ছাব‘আ ছানা-বিলা ফী কুল্লি ছুমবুলাতিম মিআতুহাব্বাতিওঁ ওয়াল্লা-হু ইউদা‘ইফু লিামইঁ ইয়াশাূউ ওয়াল্লা-হু ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।مَّثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِّئَةُ حَبَّةٍ وَاللّهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاء وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
২৬২. যারা আল্লাহর রাস্তায় তাদের সম্পদ ব্যয় করে, অতঃপর তারা যা ব্যয় করেছে, তার পেছনে খোঁটা দেয় না এবং কোন কষ্টও দেয় না, তাদের জন্য তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান রয়েছে এবং তাদের কোন ভয় নেই, আর তারা চিন্তিত হবে না।আল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম ফী ছাবীলিল্লা-হি ছুম্মা লা-ইউতবি‘ঊনা মাআনফাকূমান্নাওঁ ওয়ালাআযাল লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়ালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানুন।الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللّهِ ثُمَّ لاَ يُتْبِعُونَ مَا أَنفَقُواُ مَنًّا وَلاَ أَذًى لَّهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
২৬৩. উত্তম কথা ও ক্ষমা প্রদর্শন শ্রেয়, যে দানের পর কষ্ট দেয়া হয় তার চেয়ে। আর আল্লাহ অভাবমুক্ত, সহনশীল।কাওলুম মা‘রূফুওঁ ওয়া মাগফিরাতুন খাইরুম মিন সাদাকাতিইঁ ইয়াতবা‘উহাআযা-ওয়াল্লা-হু গানিউয়ুন হালীম।قَوْلٌ مَّعْرُوفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِّن صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَا أَذًى وَاللّهُ غَنِيٌّ حَلِيمٌ
২৬৪. হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেয়ার মাধ্যমে তোমাদের সদাকা বাতিল করো না। সে ব্যক্তির মত, যে তার সম্পদ ব্যয় করে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে এবং বিশ্বাস করে না আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি। অতএব তার উপমা এমন একটি মসৃণ পাথর, যার উপর রয়েছে মাটি। অতঃপর তাতে প্রবল বৃষ্টি পড়ল, ফলে তাকে একেবারে পরিষ্কার করে ফেলল। তারা যা অর্জন করেছে তার মাধ্যমে তারা কোন কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। আর আল্লাহ কাফির জাতিকে হিদায়াত দেন না।ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তুবতিলূ সাদাকা-তিকুম বিলমান্নি ওয়ালআযা-কাল্লাযী ইউনফিকু মা-লাহূ রিআআন্না-ছি ওয়ালা-ইউমিনুবিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ফামাছালুহূকামাছালি সাফওয়া-নিন ‘আলাইহি তুরা-বুন ফাআসা-বাহু ওয়া-বিলুন ফাতারাকাহূ সালদান লা-ইয়াকদিরূনা ‘আলা-শাইইম মিম্মা-কাছাবূ ওয়াল্লা-হু লাইয়াহদিল কাওমাল কা-ফিরীন।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تُبْطِلُواْ صَدَقَاتِكُم بِالْمَنِّ وَالأذَى كَالَّذِي يُنفِقُ مَالَهُ رِئَاء النَّاسِ وَلاَ يُؤْمِنُ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا لاَّ يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِّمَّا كَسَبُواْ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
২৬৫. আর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও নিজদেরকে সুদৃঢ় রাখার লক্ষ্যে সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা উঁচু ভূমিতে অবস্থিত বাগানের মত, যাতে পড়েছে প্রবল বৃষ্টি। ফলে তা দ্বিগুণ ফল-ফলাদি উৎপন্ন করেছে। আর যদি তাতে প্রবল বৃষ্টি নাও পড়ে, তবে হালকা বৃষ্টি (যথেষ্ট)। আর আল্লাহ তোমরা যা আমল কর, সে ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা।ওয়া মাছালুল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুমুব তিগাআ মারদা-তিল্লা-হি ওয়া তাছবীতাম মিন আনফুছিহিম কামাছালি জান্নাতিম বিরাবওয়াতিন আসা-বাহা-ওয়া-বিলুন ফাআ-তাত উকুলাহা-দি‘ফাইনি ফাইল্লাম ইউসিবহা-ওয়া-বিলুন ফাতাল্লুওঁ ওয়াল্লাহু বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।وَمَثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمُ ابْتِغَاء مَرْضَاتِ اللّهِ وَتَثْبِيتًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍ بِرَبْوَةٍ أَصَابَهَا وَابِلٌ فَآتَتْ أُكُلَهَا ضِعْفَيْنِ فَإِن لَّمْ يُصِبْهَا وَابِلٌ فَطَلٌّ وَاللّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
২৬৬. তোমাদের কেউ কি কামনা করে, তার জন্য আঙ্গুর ও খেজুরের এমন একটি বাগান থাকবে, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদ-নদী, সেখানে তার জন্য থাকবে সব ধরনের ফল-ফলাদি, আর বার্ধক্য তাকে আক্রান্ত করবে এবং তার জন্য থাকবে দুর্বল সন্তান-সন্ততি। অতঃপর বাগানটিতে আঘাত হানল ঘূর্ণিঝড়, যাতে রয়েছে আগুন, ফলে সেটি জ্বলে গেল? এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা কর।আইয়াওয়াদ্দুআহাদুকুম আন তাকূনা লাহু জান্নাতুম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু লাহু ফীহা-মিন কুল্লিছছামারা-তি ওয়া আসা-বাহুল কিবারু ওয়ালাহু যুররিইইয়াতুন দু‘আফাউ ফাআসা-বাহা ই‘সা-রুন ফীহি না-রুন ফাহতারাকাত কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুমুল আ-য়া-তি ল‘আল্লাকুম তাতাফাক্কারূন।أَيَوَدُّ أَحَدُكُمْ أَن تَكُونَ لَهُ جَنَّةٌ مِّن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ لَهُ فِيهَا مِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ وَأَصَابَهُ الْكِبَرُ وَلَهُ ذُرِّيَّةٌ ضُعَفَاء فَأَصَابَهَا إِعْصَارٌ فِيهِ نَارٌ فَاحْتَرَقَتْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمُ الآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ
২৬৭. হে মুমিনগণ, তোমরা ব্যয় কর উত্তম বস্তু, তোমরা যা অর্জন করেছ এবং আমি যমীন থেকে তোমাদের জন্য যা উৎপন্ন করেছি তা থেকে এবং নিকৃষ্ট বস্তুর ইচ্ছা করো না যে, তা থেকে তোমরা ব্যয় করবে। অথচ চোখ বন্ধ করা ছাড়া যা তোমরা গ্রহণ করো না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ অভাবমুক্ত, সপ্রশংসিত।ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ আনফিকূমিন তাইয়িবা-তি মা-কাছাবতুম ওয়া মিম্মাআখরাজনা-লাকুম মিনাল আরদিওয়ালা-তাইয়াম্মামুল খাবীছা মিনহু তুনফিকূনা ওয়া লাছতুম বিআ-খিযীহি ইল্লাআন তুগমিদূ ফীহি ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা গানিইয়ুন হামীদ।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَنفِقُواْ مِن طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُم مِّنَ الأَرْضِ وَلاَ تَيَمَّمُواْ الْخَبِيثَ مِنْهُ تُنفِقُونَ وَلَسْتُم بِآخِذِيهِ إِلاَّ أَن تُغْمِضُواْ فِيهِ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ
২৬৮. শয়তান তোমাদেরকে দরিদ্রতার প্রতিশ্র“তি দেয় এবং অশ্লীল কাজের আদেশ করে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার পক্ষ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্র“তি দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।আশশাইতা-নুইয়া‘ইদুকুমুল ফাকরা ওয়া ইয়া’মরুকুম বিলফাহশাই ওয়াল্লা-হু ইয়া‘ইদুকুম মাগফিরাতাম মিনহু ওয়া ফাদলাওঁ ওয়াল্লা-হু ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُم بِالْفَحْشَاء وَاللّهُ يَعِدُكُم مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلاً وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
২৬৯. তিনি যাকে চান প্রজ্ঞা দান করেন। আর যাকে প্রজ্ঞা দেয়া হয়, তাকে অনেক কল্যাণ দেয়া হয়। আর বিবেক সম্পন্নগণই উপদেশ গ্রহণ করে।ইউ’তিল হিকমাতা মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাইঁ ইউ’তাল হিকমাতা ফাকাদ ঊতিয়া খাইরান কাছীরাওঁ ওয়ামা-ইয়াযযাক্কারু ইল্লাউলুল আলবা-ব।يُؤتِي الْحِكْمَةَ مَن يَشَاء وَمَن يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيراً وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ الأَلْبَابِ
২৭০. তোমরা যা কিছু ব্যয় কর অথবা যে কোন মান্নত কর তা অবশ্যই আল্লাহ জানেন। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।ওয়ামাআনফাকতুম মিন নাফাকাতিন আও নাযারতুম মিন নাযরিন ফাইন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুহু ওয়ামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন আনসা-র।وَمَا أَنفَقْتُم مِّن نَّفَقَةٍ أَوْ نَذَرْتُم مِّن نَّذْرٍ فَإِنَّ اللّهَ يَعْلَمُهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
২৭১. তোমরা যদি সদাকা প্রকাশ কর, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন কর এবং ফকীরদেরকে তা দাও, তাহলে তাও তোমাদের জন্য উত্তম এবং তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত।ইন তুবদুসসাদাকা-তি ফানি‘ইমমা-হিয়া ওয়া ইন তুখফূহা-ওয়া তু’তূহাল ফুকারাআ ফাহুওয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া ইউকাফফিরু ‘আনকুম মিন ছাইয়িআ-তিকুম ওয়াল্লা-হু বিমা-তা‘মালূনা খাবীর।إِن تُبْدُواْ الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ وَإِن تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاء فَهُوَ خَيْرٌ لُّكُمْ وَيُكَفِّرُ عَنكُم مِّن سَيِّئَاتِكُمْ وَاللّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
২৭২. তাদেরকে হিদায়াত করার দায়িত্ব তোমার নয়, কিন্তু আল্লাহ যাকে চান হিদায়াত করেন এবং তোমরা যে সম্পদ ব্যয় কর, তা তোমাদের নিজদের জন্যই। আর তোমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যয় কর এবং তোমরা কোন উত্তম ব্যয় করলে তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে দেয়া হবে। আর তোমাদের প্রতি যুল্ম করা হবে না।লাইছা ‘আলাইকা হুদা-হুম ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা ইয়াহদী মাইঁ ইয়াশাূউ ওয়ামা-তুনফিকূ মিন খাইরিন ফালিআনফুছিকুম ওয়ামা-তুনফিকূনা ইল্লাবতিগাআ ওয়াজহিল্লা-হি ওয়ামা-তুনফিকূমিন খাইরিয়ঁ ইউওয়াফফা ইলাইকুম ওয়া আনতুম লা-তুজলামূন।لَّيْسَ عَلَيْكَ هُدَاهُمْ وَلَـكِنَّ اللّهَ يَهْدِي مَن يَشَاء وَمَا تُنفِقُواْ مِنْ خَيْرٍ فَلأنفُسِكُمْ وَمَا تُنفِقُونَ إِلاَّ ابْتِغَاء وَجْهِ اللّهِ وَمَا تُنفِقُواْ مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تُظْلَمُونَ
২৭৩. (সদাকা) সেসব দরিদ্রের জন্য যারা আল্লাহর রাস্তায় আটকে গিয়েছে, তারা যমীনে চলতে পারে না। না চাওয়ার কারণে অনবগত ব্যক্তি তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে চিনতে পারবে তাদের চিহ্ন দ্বারা। তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে চায় না। আর তোমরা যে সম্পদ ব্যয় কর, অবশ্যই আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞানী।লিলফুকারাইল্লাযীনা উহসিরূ ফী ছাবীলিল্লা-হি লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা দারবান ফিল আরদিইয়াহছাবুহুমুল জা-হিলুআগনিয়াআ মিনাত্তা‘আফফুফি তা‘রিফুহুম বিছীমাহুম লা-ইয়াছআলূন্না-ছা ইলাহা-ফাওঁ ওয়ামা-তুনফিকূমিন খাইরিন ফাইন্নাল্লা-হা বিহী ‘আলীম।لِلْفُقَرَاء الَّذِينَ أُحصِرُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ لاَ يَسْتَطِيعُونَ ضَرْبًا فِي الأَرْضِ يَحْسَبُهُمُ الْجَاهِلُ أَغْنِيَاء مِنَ التَّعَفُّفِ تَعْرِفُهُم بِسِيمَاهُمْ لاَ يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا وَمَا تُنفِقُواْ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللّهَ بِهِ عَلِيمٌ
২৭৪. যারা তাদের সম্পদ ব্যয় করে রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। অতএব, তাদের জন্যই রয়েছে তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।আল্লাযীনা ইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম বিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ছিররাওঁ ওয়া‘আলা-নিইয়াতান ফালাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়ালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানূন।الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُم بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ سِرًّا وَعَلاَنِيَةً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
২৭৫. যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।আল্লাযীনা ইয়া’কুলুনার রিবা-লা-ইয়াকূমূনা ইল্লা-কামা-ইয়াকূমুল্লাযী ইয়াতাখাব্বাতুহুশশাইতা-নুমিনাল মাছছি যা-লিকা বিআন্নাহুম কা-লূ ইন্নামাল বাই‘উ মিছলূর রিবা-। ওয়া আহাল্লাল্লা-হুল বাই‘আ ওয়া হাররামার রিবা-ফামান জাআহু মাওইজাতুম মির রাব্বিহী ফানতাহা-ফালাহু মা-ছালাফা ওয়া আমরুহু ইলাল্লা-হি ওয়া মান ‘আ-দা ফাউলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لاَ يَقُومُونَ إِلاَّ كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُواْ إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَن جَاءهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىَ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
২৭৬. আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদকাকে বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ কোন অতি কুফরকারী পাপীকে ভালবাসেন না।ইয়ামহাকুল্লা-হুর রিবা-ওয়া ইউরবিসসাদাকা-তি ওয়াল্লা-হু লা-ইউহিব্বু কুল্লা কাফফা-রিন আছীম।يَمْحَقُ اللّهُ الْرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللّهُ لاَ يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ
২৭৭. নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত প্রদান করে, তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া আকা-মুসসালা-তা ওয়া আ-তাউঝঝাকা-তা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়ালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালাহুম ইয়াহঝানূন।إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُواْ الصَّلاَةَ وَآتَوُاْ الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
২৭৮. হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও।ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুত্তাকুল্লা-হা ওয়াযারু মা-বাকিয়া মিনার রিবাইন কুনতুম মু’মিনীন।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَذَرُواْ مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
২৭৯. কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা যুলম করবে না এবং তোমাদের যুলম করা হবে না।ফাইল্লাম তাফ‘আলূ ফা’যানু বিহারবিম মিনাল্লা-হি ওয়ারাছূলিহী ওয়া ইন তুবতুম ফালাকুম রুঊছুআমওয়া-লিকুম লা-তাজলিমূনা ওয়ালা-তুজলামূন।فَإِن لَّمْ تَفْعَلُواْ فَأْذَنُواْ بِحَرْبٍ مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُؤُوسُ أَمْوَالِكُمْ لاَ تَظْلِمُونَ وَلاَ تُظْلَمُونَ
২৮০. আর যদি সে অসচ্ছল হয়, তাহলে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত তার অবকাশ রয়েছে। আর সদাকা করে দেয়া তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।ওয়া ইন কা-না যূ‘উছরাতিন ফানাযিরাতুন ইলা-মাইছারাতিওঁ ওয়া আন তাসাদ্দাকূ খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন।وَإِن كَانَ ذُو عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ إِلَى مَيْسَرَةٍ وَأَن تَصَدَّقُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
২৮১. আর তোমরা সে দিনের ভয় কর, যে দিন তোমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে সে যা উপার্জন করেছে, তা পুরোপুরি দেয়া হবে। আর তাদের যুলম করা হবে না।ওয়াত্তাকূইয়াওমান তুরজা‘ঊনা ফীহি ইলাল্লা-হি ছু ম্মা তুওয়াফফা-কুল্লু নাফছিম মা-কাছাবাত ওয়াহুম লা-ইউজলামূন।وَاتَّقُواْ يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ
২৮২. হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরস্পর ঋণের লেন-দেন করবে, তখন তা লিখে রাখবে। আর তোমাদের মধ্যে একজন লেখক যেন ইনসাফের সাথে লিখে রাখে এবং কোন লেখক আল্লাহ তাকে যেরূপ শিক্ষা দিয়েছেন, তা লিখতে অস্বীকার করবে না। সুতরাং সে যেন লিখে রাখে এবং যার উপর পাওনা সে (ঋণ গ্রহীতা) যেন তা লিখিয়ে রাখে। আর সে যেন তার রব আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে এবং পাওনা থেকে যেন সামান্যও কম না দেয়। অতঃপর যার উপর পাওনা রয়েছে সে (ঋণ গ্রহীতা) যদি নির্বোধ বা দুর্বল হয়, অথবা সে লেখার বিষয়বস্তু বলতে না পারে, তাহলে যেন তার অভিভাবক ন্যায়ের সাথে লেখার বিষয়বস্তু বলে দেয়। আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ । অতঃপর যদি তারা উভয়ে পুরুষ না হয়, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী- যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর। যাতে তাদের (নারীদের) একজন ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেয়। সাক্ষীরা যেন অস্বীকার না করে, যখন তাদেরকে ডাকা হয়। আর তা ছোট হোক কিংবা বড় তা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করতে তোমরা বিরক্ত হয়ো না। এটি আল্লাহর নিকট অধিক ইনসাফপূর্ণ এবং সাক্ষ্য দানের জন্য যথাযথ। আর তোমরা সন্দিহান না হওয়ার অধিক নিকটবর্তী। তবে যদি নগদ ব্যবসা হয় যা তোমরা হাতে হাতে লেনদেন কর, তাহলে তা না লিখলে তোমাদের কোন দোষ নেই। আর তোমরা সাক্ষী রাখ, যখন তোমরা বেচা-কেনা করবে এবং কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না। আর যদি তোমরা কর, তাহলে নিশ্চয় তা হবে তোমাদের সাথে অনাচার। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দেবেন। আর আল্লাহ সব বিষয়ে সম্যক জ্ঞানী।ইয়া আইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-তাদা-ইয়ানতুম বিদাইনিন ইলা-আজালিম মুছাম্মান ফাকতুবূহু ওয়ালইয়াকতুব বাইনাকুম কা-তিবুম বিল‘আদলি ওয়ালা-ইয়া’বা কাতিবুন আইঁ ইয়াকতুবা কামা-‘আল্লামাহুল্লা-হু ফালইয়াকতুব ওয়াল ইউমলিলিল্লাযী ‘আলাইহিল হাক্কুওয়াল ইয়াত্তাকিল্লা-হা রাব্বাহূওয়ালা-ইয়াবখাছ মিনহু শাইআন ফাইন কা-নাল্লাযী আলাইহিল হাক্কুছাফীহান আও দা‘ঈফান আও লা-ইয়াছতাতী‘উ আই ইউমিল্লা হুওয়া ফাল ইউমলিল ওয়ালিইইয়ুহু বিল‘আদলি ওয়াছতাশহিদূ শাহীদাইনি মিররিজা-লিকুম ফাইল্লাম ইয়াকূনা রাজুলাইনি ফারাজুলুওঁ ওয়ামরাআতা-নি মিম্মান তারদাওনা মিনাশ শুহাদাই আন তাদিল্লা ইহদা -হুমা ফাতুযাককিরা ইহদা-হুমাল উখরা ওয়ালা-ইয়া’বাশশুহাদাউ ইযা-মা দু‘ঊ ওয়ালা-তাছআমূ আন তাকতুবূহু ছাগীরান আও কাবীরান ইলা আজালিহী যা-লিকুম আকছাতু‘ইনদাল্লা-হি ওয়াআকওয়ামুলিশশাহা-দাতি ওয়াআদনা আল্লা-তারতা-বূইল্লা আন তাকূনা তিজারাতান হা-দিরাতান তুদীরূনাহা-বাইনাকুম ফালাইছা ‘আলাইকুম জুনা-হুন আল্লাতাকতুবূহা-ওয়াআশহিদূ ইযা-তাবা-ইয়া‘তুম ওয়ালা-ইউদাররা কা-তিবুওঁ ওয়ালা-শাহীদুওঁ ওয়া ইন তাফ‘আলূফাইষর নযধু -হরহ ওঅষ’সকুম ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া ইউ‘আলিলমুকুমুল্লা-হু ওয়াল্লা-হু বিকুল্লি শাইইন ‘আলীম।يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِذَا تَدَايَنتُم بِدَيْنٍ إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى فَاكْتُبُوهُ وَلْيَكْتُب بَّيْنَكُمْ كَاتِبٌ بِالْعَدْلِ وَلاَ يَأْبَ كَاتِبٌ أَنْ يَكْتُبَ كَمَا عَلَّمَهُ اللّهُ فَلْيَكْتُبْ وَلْيُمْلِلِ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ وَلْيَتَّقِ اللّهَ رَبَّهُ وَلاَ يَبْخَسْ مِنْهُ شَيْئًا فَإن كَانَ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ سَفِيهًا أَوْ ضَعِيفًا أَوْ لاَ يَسْتَطِيعُ أَن يُمِلَّ هُوَ فَلْيُمْلِلْ وَلِيُّهُ بِالْعَدْلِ وَاسْتَشْهِدُواْ شَهِيدَيْنِ من رِّجَالِكُمْ فَإِن لَّمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ مِمَّن تَرْضَوْنَ مِنَ الشُّهَدَاء أَن تَضِلَّ إْحْدَاهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى وَلاَ يَأْبَ الشُّهَدَاء إِذَا مَا دُعُواْ وَلاَ تَسْأَمُوْاْ أَن تَكْتُبُوْهُ صَغِيرًا أَو كَبِيرًا إِلَى أَجَلِهِ ذَلِكُمْ أَقْسَطُ عِندَ اللّهِ وَأَقْومُ لِلشَّهَادَةِ وَأَدْنَى أَلاَّ تَرْتَابُواْ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً حَاضِرَةً تُدِيرُونَهَا بَيْنَكُمْ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَلاَّ تَكْتُبُوهَا وَأَشْهِدُوْاْ إِذَا تَبَايَعْتُمْ وَلاَ يُضَآرَّ كَاتِبٌ وَلاَ شَهِيدٌ وَإِن تَفْعَلُواْ فَإِنَّهُ فُسُوقٌ بِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَيُعَلِّمُكُمُ اللّهُ وَاللّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
২৮৩. আর যদি তোমরা সফরে থাক এবং কোন লেখক না পাও, তাহলে হস্তান্তরিত বন্ধক রাখবে। আর যদি তোমরা একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে কর, তবে যাকে বিশ্বস্ত মনে করা হয়, সে যেন স্বীয় আমানত আদায় করে এবং নিজ রব আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না এবং যে কেউ তা গোপন করে, অবশ্যই তার অন্তর পাপী। আর তোমরা যা আমল কর, আল্লাহ সে ব্যাপারে সবিশেষ অবহিত।ওয়া ইন কুনতুম ‘আলা-ছাফারিওঁ ওয়ালাম তাজিদূকা-তিবান ফারিহা-নুম মাকবূদাতুন ফাইন আমিনা বা‘দুকুম বা‘দান ফালইউআদ্দিল্লাযী’তুমিনা আমা-নাতাহু ওয়াল ইয়াত্তাকিল্লাহা রাব্বাহূ ওয়ালা-তাকতুমুশশাহা-দাতা ওয়া মাইঁ ইয়াকতুমহা-ফাইন্নাহুআছিমুন কালবুহু ওয়াল্লা-হু বিমা-তা‘মালূন ‘আলীম।وَإِن كُنتُمْ عَلَى سَفَرٍ وَلَمْ تَجِدُواْ كَاتِبًا فَرِهَانٌ مَّقْبُوضَةٌ فَإِنْ أَمِنَ بَعْضُكُم بَعْضًا فَلْيُؤَدِّ الَّذِي اؤْتُمِنَ أَمَانَتَهُ وَلْيَتَّقِ اللّهَ رَبَّهُ وَلاَ تَكْتُمُواْ الشَّهَادَةَ وَمَن يَكْتُمْهَا فَإِنَّهُ آثِمٌ قَلْبُهُ وَاللّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ
২৮৪. আল্লাহর জন্যই যা রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা রয়েছে যমীনে। আর তোমরা যদি প্রকাশ কর যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে অথবা গোপন কর, আল্লাহ সে বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন। অতঃপর তিনি যাকে চান ক্ষমা করবেন, আর যাকে চান আযাব দেবেন। আর আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।লিল্লা-হি মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়া ইন তুবদূমা-ফীআনফুছিকুম আও তুখফূহু ইউহা-ছিবকুম বিহিল্লা-হু ফাইয়াগফিরু লি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।لِّلَّهِ ما فِي السَّمَاواتِ وَمَا فِي الأَرْضِ وَإِن تُبْدُواْ مَا فِي أَنفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُم بِهِ اللّهُ فَيَغْفِرُ لِمَن يَشَاء وَيُعَذِّبُ مَن يَشَاء وَاللّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
২৮৫. রাসূল তার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছে, আর মুমিনগণও। প্রত্যেকে ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর, আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ وَقَالُواْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
২৮৬. আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যরে বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

নাম করণ

বাকারাহ মানে গাভী। এ সূরার ৬৭ থেকে ৭৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত হযরত মুসা এর সময়কার বনি ইসরাইল এর গাভী কুরবানীর ঘটনা উল্লেখ থাকার কারণে এর এই নামকরণ করা হয়েছে। কুরআন মাজীদের প্রত্যেকটি সূরার এত ব্যাপক বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে যার ফলে বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে তাদের জন্য কোন পরিপূর্ণ ও সার্বিক অর্থবোধক শিরোনাম উদ্ভাবন করা সম্ভব নয়। শব্দ সম্ভারের দিক দিয়ে আরবি ভাষা অত্যন্ত সমৃদ্ধ হলেও মূলত এটি তো মানুষেরই ভাষা আর মানুষের মধ্যে প্রচলিত ভাষাগুলো খুব বেশি সংকীর্ণ ও সীমিত পরিসর সম্পন্ন। সেখানে এই ধরনের ব্যাপক বিষয়বস্তুর জন্য পরিপূর্ণ অর্থব্যাঞ্জক শিরোনাম তৈরি করার মতো শব্দ বা বাক্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ জন্য নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী কুরআনের অধিকাংশ সূরার জন্য শিরোনামের পরিবর্তে নিছক আলামত ভিত্তিক নাম রেখেছেন। এই সূরার নামকরণ আল বাকারাহ করার অর্থ কেবল এতটুকু যে, এটি এমন সুরা যেখানে গাভীর কথা বলা হয়েছে।

বিঃদ্রঃ কোনো ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন এবং ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন.

1 thought on “সূরা আল বাকারা [০০২] আরবি আয়াত এবং বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ সহ”

Leave a Comment